মাননীয় আদালত,
এখন গভীর রাত--আপনি কি ঘুমোচ্ছেন?
জেগে থাকলে বলতাম, একটা
ঘুমপাড়ানি গান গান।
আমি জানি না, এটা আমার
সাংবিধানিক অধিকার কি-না,
বা এই অস্থিরতার জন্য আপনাকে
অভিযুক্ত করা সঙ্গত কি-না।
কিন্তু এটা তো ঠিক
বিশ্ব-চরাচর যখন প্রগাঢ় ঘুমে আচ্ছন্ন
আমারও তো ঘুমোতে ইচ্ছে করে!
রাত বড় সাংঘাতিক, আপনি তা নিশ্চয় জানেন
মাননীয় আদালত,
অন্ধকার বড় মর্মান্তিক, তা-ও নিশ্চয় আপনি জানেন;
অন্ধকারেও দৃশ্য রচিত হয়,
শব্দ-তরঙ্গ উদ্ভ্রান্তের মতো দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে
ফুল তো বটেই এমনকী ঘাসের বুক থেকেও
উঠে আসে অলৌকিক গন্ধ
আমি তো তেমন কোনো অপরাধ করিনি, মাননীয় আদালত!
নক্ষত্রপল্লীর সব ষড়যন্ত্র
কেন আমারই কানের কাছে ফিসফিস করবে?
অন্ধকারে ফিনকি-দেয়া রক্তের কোনো রঙ নেই
কিন্তু আপনি তো জানেন,
রক্ত রক্তই।
আমাকেই কেন দেখতে হবে, অন্ধতার দুর্যোগে
গাছেদেরও জায়গা বদল করতে হয়?
স্বপ্ন ছাড়া আমার কোনো বাস্তবতা নেই, তাই
শান্তির জন্য নয়, শারীরিক স্বস্তির জন্য নয়
একটু মুক্তির জন্য, অন্তস্থ ডানা মেলবার জন্য
আমার এখন ঘুমানো দরকার, এখুনি--
আপনি কি তার ব্যবস্থা করবেন, মাননীয় আদালত?