সাধু সাবধান!
প্রফুল্লতার খামে ভরে আসে না প্
তবুও তো সে আসে
বাতাসে ছড়িয়ে আলোর রেণু, রুটিন
ত্বক হতে ছাড়িয়ে নিয়ে আঁশ
জল ছেড়ে স্থলে করি বাস—- নদীর
নগর বাড়াই, আয়েশ খুঁজতে অট্রা
কথা হতে কেড়ে নিলে সুর, তানপু
যায় একাকী বাদকের হাতে...সুর হে
গুমরে কাঁদে হাত ও আঙ্গুল কোরাস
পেখমের আর্জি মঞ্জুর হয়েছিলো তা
ময়ূর পেয়েছে ঈর্ষণীয় আকর্ষণ
আনন্দও যে ঈর্ষা জাগাতে পারে মনে, আন্দাজ করা দায়।
পাখি থেকে কেড়ে নিলে উড়ালের অ
সকাল-সন্ধ্যা চলবে নিঃসঙ্গতার প
যে পত্রের লাইনে লাইনে লেখা থা
মানবজাতির অপরাধের ডক্যুমেন্ট,
ফলে, আক্রোশে ফেটে পড়বে বন
দাবানলে উজাড় করে দেবে মাইলের
অতএব, সাধু সাবধান!
নিজ ঈর্ষায় ডেকে এনো না নিজেরই
সাধু সাবধান!
গণনা
যোগ-বিয়োগ, গুন-ভাগ
শেখার পর...করে যাচ্ছি যথেচ্ছ ব্য
সহযোগিতার বদলে
জীবন গড়ে তুলেছি প্রতিযোগিতার
বিয়োগ হয়ে গ্যাছে ইমোশন
মোশন বেড়েছে যত্রতত্র, এমন কি
শুধু বিয়োগ করছি না রিপু ও রোষ
সুবিধাবাদে ভরিয়ে ফেলেছি দেহের
গুণন করে চলেছি লোভ-লালসা
কামনা-আকাঙ্খা, ক্ষোভ ও ঈর্ষা
গনায় ধরতে ভুলে গ্যাছি দায় ও দ্
স্বার্থ এবং আত্মকেন্দ্রিকতা করে আয়ত্ব।
অথচ, পুস্তকে পাঠ ছিলো পরোপকারী
পরিবর্তে, আমরা পর-
হতে শিখে গ্যাছি দ্রুত; আপনজন
পরের ধন, পরের মন ও পরের সম্মান
খেলতে আমাদের বেশ আনন্দ আনন্দ লা
কিন্তু, আনন্দ পাবার কথা ছিলো
সুখ ও স্বাচ্ছন্দের ভাগাভাগিতে,
খাদ্যের সুষম বন্টনে...মানুষে-মা
মনের হরষে, মনখারাপে নয় ঘুণাক্
বলতেই পারি, আমরা শিখেছি
যোগ-বিয়োগ ও গুন-ভাগের স্বার্থক
যা পরিহারে, দিন নিভে গেলে
লণ্ঠন জ্বলে উঠবে মানুষের প্রা