১.
শিবসা নদীর বুকে যত আনন্দ আমরা ছড়িয়ে দিচ্ছিলাম, পেছন পেছন ফিরে আসছিল একেকটা গাঙচিল হয়ে। সমুদ্রের শিথানে শোয়া হয়তো সে আইবুড়ো মেয়েটিই হবে, সমুদ্রপ্রমাণ হাহাকার তুলেছিল মনে। আমরা শিহরিত হচ্ছি তার পাশ ফিরে শোয়া দেখে।
ভরাকাটালের জোছনায় সারারাত জেগে থাকল তার নাভি, যেন একটা নিদ্রাহীন চোখ। যখন আকাশজোড়া অন্ধকার, ধীরে ধীরে জেগে ওঠে নিখিল নগ্নতা। যখন তার আড়মোড়া ভাঙা দেখি, আমাদের জলযান কেঁপে ওঠে ঢেউয়ে। ঘুমের ভেতর তার নিশ্বাসের শব্দ শোনা যায়। হয়তো সে স্বপ্ন দেখে সাগরের কিংবা চাঁদের, হয়তো তা-ও নয়, ডোরাকাটা একটি বাঘের, যার স্বপ্ন দেখছিলাম আমরাও ।
শুধু তার হৃদয়ের বোন, ডাকছিল বানিশান্তা থেকে । উচ্চৈঃস্বরে, নাম ধরে। এখান থেকে শোনা যাচ্ছিল কেবলই মৃদু একটা গোঙানির ধ্বনি।
২.
জোছনায় উড়ে উড়ে অনন্তমুগ্ধ চাতক শালিককে জিগ্যেস করে, এই কসমস, অনন্ত যদিÑ কিভাবে তুমি চিহ্নিত করবে তোমার অবস্থান?
শালিক হেসে কুটিকুটি। ঠোঁট নাচিয়ে সে একটা গাছের দিকে দেখায়। ডিমগুলোর দিকে ইশারা করে। সে আছে নিজের পাড়া ডিমের অত্যন্ত কাছে আর ডিমগুলো, তারই সন্নিকটে।