অন্য অংগার
জোৎস্নার জল গায়ে দিয়ে দেখো, সক্রেটিস হয়ে যাবে
আর ভেজা গায়ে মনেস্টারিকি পেরুতে পেরুতে
পাতলা হাওয়ার সাথে সাদা আইয়োক্লিমা ফুলের ধাক্কা লাগলে দেখবে
সামনের হেইড্রিয়ান লাইব্রেরীর সব পুরানো পাথর সরে গিয়ে
কমলালেবুর বাগান উথ্লে উঠেছে।
তখন তোমার সব পুরানো প্রেম প্রতিদ্বন্দীদের
ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছে হবে
আর করলে, তোমার চোখজোড়া জয়তুনের সুগন্ধে ভরে উঠবে।
তারপর তুমি তাকালেই মিনিসেক্লেউসের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া
সি-গ্যালগুলো জলফড়িং হয়ে যাবে,
তাদের পাতলা পাখাতে চাঁদের চঞ্চু এসে চুমাতে থাকবে।
খালান্ড্রিতে বেড়েওঠা অর্ফিয়াস এ্যাপারগিসের কবিতা পালটে
পিরিচে পড়ে থাকবে, যেনো এক থোকা জোনাকী
আর সালাদে বসা সফেদ চৌকোন ফেটা চিজ
ঘুরতে ঘুরতে হয়ে যাবে পার্থেনিনের মেঘ।
এথেন্সে আছি বলেই এমন হচ্ছে কিনা ভাবতে ভাবতে
মুখ ধুয়ে শুয়ে পড়তে পড়তে ভাবি,
কাল সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু হয় না। সক্রেটিসের উঠানে বসা অবস্থায়
পাশের মানুষটির আফটার শেভের সুগন্ধ
আমাকে কেবল টানতে থাকে
শ্যাওলা কিংবা সি উইড থেকে বাংলাদেশের বুনোফুল ফুটতে থাকে!
এক বার এথেন্সের চাঁদ্গলা জলে থৈ থৈ ডুবেছি
বলে আমি কি আর তাকাতে পারবো না,
নাকি এ আমার দৃষ্টিভ্রম?
আসলে, জোৎস্না সে যে খানেরই হোক
তার সঙ্গে সম্পর্ক না করাই ভালো
কারন তখন তুমি আর মানুষ থাকবে না।