সবুজ নক্ষত্রের পতন
জোনাক পোকার মতো
নক্ষত্রগুলোও মিটিমিটি জ্বলে,আলো দেয়,
শোভা বর্ধণ করে আকাশের ,
রেল লাইনের মতো এদিক সেদিক হওয়ার সাধ্য নেই
মহাজাগতিক অভিকর্ষবলে ওরা নিজকক্ষপথে ধাবমান
চলতে চলতে এক সময় ব্ল্যাকহোলের জ্বালা মুখে
পতিত হয়ে হারিয়ে যাবে চিরতরে ;
আমরা উৎফুল্ল হয়ে দেখি
জামদানি আকাশের রাত্রির সামিয়ানা ভেঙে
বিজলীদণ্ডের মতো
বায়ুমণ্ডল ছিন্ন করে উল্কাগ্নির নিশ্চিহ্ন হওয়া ।
ওখান থেকেও হয়তো কেউ কেউ কিংবা এলিয়্যান জনগোষ্টি
আমাদের সবুজ পৃথিবীকে সবুজ নক্ষত্রই মনে করে
নগরগুলো এক একটি ছায়াপথ, ল্যাম্পপোষ্টে আর -
বাতি গুলো এক একটি নক্ষত্র !
সভ্যতা ধ্বংসকারি নিউক্লিয়ার মিসাইলের ওয়ারহ্যাডের-
ছুটে চলাকে হয়তো ওরা উল্কাগ্নিই ভাবে কে জানে !
হয়তো সেই বিধ্বংসী মিসাইলের ওয়ারহ্যাডেই
মহাজাগতিক ডেবরিতে পরিনত করে দেবে ,
আমাদের এই চিরচেনা চির সবুজ নক্ষত্রকে
আর ওরা দিব্যি মজা নেবে ,উল্কাগ্নি ভেবে ।
দশচক্রের কারসাজি
শুরুতেই বিষধর সাপের দংশন
মনে হয় এখানেই নুয়েছে আকাশ ;
জিরাফের জিহ্বা যেনো চেটেপুটে খাচ্ছে
গোধুলীর শেষ আলো টুকুনও
বন্যার ঢলের মতো তেড়ে আসছে অন্ধকারের ব্যাকরণ
সাথে অসংখ্য প্রেতস্বত্বাধারী বিধান !
আমি রাতের মতো একা
বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়ে আছি অসহায় ,
নিজেকে সমর্পিত করে ; সময়ের সহযাত্রি ।
আমার দশদিকে দশচক্রের কারসাজি
কুণ্ডলিচক্র খুলতে পারিনা আর ,
পথ শেষ হলেই পথিক নতুন পথের সন্ধান করে
আমিও তাই ,এবার ভাঙতে হবে কু্ণ্ডলির-
কুণ্ডলিত অন্ধকার ,আমি বিদ্যান নই তবে বিদ্যার পূজারী
তথ্যের সত্য অনুসন্ধান করি মগজে প্রজ্বলিত করে তৃষ্ণার আগুন ;
এ আগুন নেভাতে এসোনা কেউ
পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে যেমন শ্মশানে শবদেহ পোড়ে ।
পাতার শিকলে বন্দি এক ব্যর্থ তাপস
ক্ষয়ে যাওয়া জুতোকে মনে হয় যেনো চন্দ্রযান
উড়াল- অশ্বের খুর ,
হাঁটতে হাঁটতে এক সময় পৌছে যাবো মহাশূন্যে!
সবুজ অরণ্যের হাসি ধূসর হয় শুকনো পাতার মতোন
সময়কে শুষে নেয় দিকশূন্য অন্ধকার ।
আঙুলের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে আঙুল,চোখের ভিতরে চোখ !
উদাস চকোরীর মতো নিস্ফল যাত্রা শেষে
আর একটি উড্ডয়নের অপেক্ষা কেবল !
এ যনো প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে থাকা
অসহায় এক ব্যর্থ তাপস।
পাতার শিকলে বন্দি,নিঃশ্বাসের কারাগার
যেনো টর্চারসেল !