শামীম আহমদ এর গুচ্ছকবিতা
মৌপিয়াসী ...
প্রচণ্ড তৃষ্ণায় জেগে উঠি সহস্রাব্দের পর !
সুদীর্ঘ পরিক্রমায় ফেরেশতাদের স্তুতিভারে নুয়ে পড়ে কালের শরীর ,আগুনের পরিন্দা নত হতে শিখেনি তাই দাউ দাউ ওড়ে শিরায় শিরায় ।
পিনহোল ক্যামেরার শাটারের মতো পঞ্চভূতে বজ্রমণ্ডিত হয় ধরাতল ।আলোর ছায়া কেটে পাহাড়ের পাদদেশে মরুবেদুইন তাবু গাড়ে ,মনে হয় রসকুঞ্জ পুষ্পিত বনোতল চোরাবালি দ্বীপ !
এখানে দূর্ভিক্ষের মতো মাঝেমধ্যে রামধনুমেঘ উড়ে আসে হাওয়ার মিঠাই
কেউ কেউ এখনও তৃণমণ্ডে আর আমি চন্দনিত নন্দন কাননে ধুতরার ফুলে ফুলে মৌপিয়াসী নেশাখোর !
কবির বিমুগ্ধ শিৎকার
যেমন কবিতায় ফুল ফুটে কিন্তু ঘ্রাণ নেই
চুম্বন আছে ঠোঁট নেই, ঠোঁট লিখলেও আকৃতি নেই
তবুও অনুভুতি জাগ্রত করে প্রমিকের মনে !
চুম্বনের রঙ চেনেনা প্রেমিক
ভ্রমরের মতো পাগল সে আকুল আহ্লাদে ...
কবি আনন্দ খুঁজে ঘ্রাণের বিমূর্ত অন্ধকারে
সময়ের ব্যাসার্ধ ভুলেযায় কল্পলোকের নেশাখোর !
এ নেশায় তামাকের টিকিয়ার মতো কবি পুড়ে
ডিমাআগ্নিতে আমৃত্যু পর্যন্ত !
পুঞ্জিত চেতনায় শাওনরাতে পূর্ণিমায় ভেজা -
কেতকীর বিলাপই যেনো কবিতার গহিনে ওঠা
মূহুর্মূহু কবির বিমুগ্ধ শিৎকার ।
আগুনের আবাবিল ...
আর আমি মেঘের পাহাড় কেটে কেটে পৌঁছেযাই
তার হৃৎপিণ্ডের কাছে ,
সাবানের ফেনার মতো বুদ্বুদ জীবনের ধ্বনি ,
অকস্মাৎ শুনি
চাঁদের কল্পবৃক্ষের ডালে বসে কাকের বিলাপ
তখনও তন্দ্রাবিধুর রাত্রি
ঐ দূরে বেথলেহেমের মরানদে
রক্তের স্রোতে ভাসে নবালেগ সূর্যের হাসি !
অতৃপ্ত জীবনের সাধ ।
যৌবনমাঝি যাঁরা সবাই চলে গেছে ওপারে ,অবেলায় ।
এপারে শুধু রয়ে গেছে পিতার দুহাত- ভরা -
সন্তানের অবশ শরীর !
ক্রোধে টগবগ করে আল-আকসার বিরান উদ্যান
অবলা মায়ের দীর্ঘশ্বাসে
পাথরের জরায়ু ফেটে প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে
আগুনের আবাবিল ...
চোখ,