কবি : শৌনক দত্ত
শহরের শীতকালীন উৎসব
আজকের আবহাওয়ায় কোন শোক নেই ।
জাহাজ ভিড়েছে
নাবিকের সমুদ্র ভেজা নিঃশ্বাস ঢুকে পড়ছে... শহরে, অলিতে গলিতে ।
নিশুতি যাপন… খুব অগোচরে,
যেমন করে পড়ে থাকে ঘুমের ভেতর বহুকাল আগের আধুলি স্বপ্ন ।
কবরের নৈঃশব্দ্যে সন্ধ্যা নামছে ৷গ্রীলে ঝুলছে তরুনী বউদের রাত্রিকালীন পোষাক ।
এখানে আমার কোন উপাসনালয় নেই ।
মাঝেমধ্যেই রানিপুরম ধরে ধরে একটা সুড়ঙ্গ পথে যেতে সাধ হয়
যে পাহাড়ের নিচে রেখে এসেছি সোনারঙ দুপুর,
রাতের ডুব, কিছু ভেজা আঙুল ।
আমি বাড়ি ফিরে এসেছি... অগোচরে
দূরে... দূরে সরে যাচ্ছে বন্দর
ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে গুটিয়ে থাকা পথের রঙ ।
ডুবসাঁতার ~৮০
বিষাদ গলে গলে রাতভর কুয়াশার মতন ঝরে স্মৃতির বনে ।
অথচ আমার কিছুই জানা হয়না…
শুধু সারাটা কৈশোরের শীত জুড়ে জেনকিন্স স্কুল
সাগরদীঘির ঘাটে সবুজ পাড়ের শাড়ি পোড়ায়, হাউমাউ
মধ্যদুপুর গুলো
হতভম্ব আমি তোর্ষার কাছে
অবসন্ন ছায়ায়
নিজের মুখের বানান ছড়িয়ে দিয়ে
একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকি
শহরের দুয়ারে ভ্যাবাচ্যাকা সময়,আততায়ী আলোয় নদীর
গতজন্মগুলো উড়ে যাচ্ছে, উড়ে যাচ্ছে রেইনট্রী গাছের ছায়ারা,
উড়ে উড়ে যাচ্ছে পরিত্যক্ত ট্রেনের বগী,
পারফিউমের মতন কান্নার গন্ধ।
আবছায়ায় বসবাস
২০ বছর আগের একটা মফঃস্বল সন্ধ্যা হারিকেন আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে আমার ব্যালকনিতে, প্রায়শ ।
আমার খুব উসখুস ৷ আমার একা একা এক মগ কফি দহন ঘ্রাণ এবং কতিপয় দৃশ্যের অধিস্বপ্ন ৷
শীতের বৈকল্য ঘোর জেকে বসলে আজকাল আমার অনেক কিছু জানতে ইচ্ছা করে,
চোখের সামন থেকে সন্ধ্যাটা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেউ ।
সন্ধ্যাটা কেউ গুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নাটাইয়ে সুতোর মতন করে ।
আমি বিষাদে মুখ ঘুরিয়ে নিই, আয়নায় চুরি যাই
দূরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা
ওখানে বহুকাল আগে ঘুড়ি ওড়া সন্ধ্যাগুলোর নির্বাসন...
জানালার ফিসফিসানি
চোখের জানালায় এখন ডুয়ার্স…
এখানকার গ্রাম গুলো দুপুর হারিয়েছে, শরীরে ছোপ ছোপ কুয়াশার ঘোর… ঐ দূরে যে সন্ধ্যাটা দাঁড়িয়ে সেখানে গুড়োগুড়ো আলো কাটাকুটি খেলছে…
সন্ধ্যা নামছে,
জোনাকির বিবিধ আলোয়
কে যেন গলে গলে যায়…