সাদা সাদা পরিচয়
তুমি বোঝাও ।
মানি,না মানি আমি শুনি ।
বাপে নাই তুমি
শালার সাথে যে গলাগলি
স্বাক্ষী ডুমুর ফল
তাও আমি জানি ।
আমি জানি।
জানে ভাঁটফুল;কলমি লতা
স্বাক্ষী বেতম গাছ
তোমার খোঁয়ারে আন্ধারে আসে-
অজর তুমুল ভাতার।
লোকে বলে"এই ছিলো পেটে!
এমন শোকের দানা ডালিমের ফলে!
আমাদের বুকদুধে ফুলে গেলো
যম কেউকেঁটে!"
তুমি বোঝাও,লোবানের দুধঘ্রান
হরিণওলান
আর ভিআইপিজল-
ঘোরের বাজারে বিকায় উড়াল শহর।
আমি জানি।
লোকে বলে, "এই ছিলো বুকে !
এমন নীলের ফেনা সাধুঅন্তরে !
আমাদের বিশ্বাসে খেলে গেলো
নয়া আইয়্যুবে !"
তুমি বোঝাও;এ এক চেতানাফল-
সমযোতাউন্নয়ন,
কাটা রাইফেলে কাটি আমআদমির মন।
মানি,না মানি আমি শুনি।
প্রেমে নাই তুমি
ব্রোথেলে যে যাওয়া যাওয়ি,
স্বাক্ষী নদের জল
তাও আমি জানি ।
আমি জানি ।
জানে দুই বুক মুখ;ওমের জটিল মূল,
স্বাক্ষী শিমূল গাছ
তোমার উজানে জোঁয়ার আনে
দাদার বেনিয়া পাল ।
ধন্যবাদ
তুমি বলো, এতোটা কাতর কেনো?
এতোটা মলিন কেনো?
আমি বলি,জানে মন এই পোড়ামন
কী গভীর অন্ধকার আমার রাত্রি-ভোর!
বেনাল গজবে জ্বলে নরোম অনঘঘোর।
তুমি বলো,তবুও মধুর
স্বজন,সন্তান
কবিতা ও প্রেম,জলপাই নারী
পোড়াবুকে ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতিবালিহারি।
আমি বলি, এই সব খেরোসুখ দহনের মিথ
গোপন হৃদয় জ্বলে,জলে চোখ গলে
বহুদিন আসে না তো সুখের ওহি
আজ নিখোঁজ যিবরাইল ।
তুমি বলো,স্থির হও।
মানুষের বুকে এখন আনবিক হৃদয়
চোখ দেখো ড্রোনবাড়ি
ঈগল ঈগল প্রেম!
গুগল জ্বালিয়ে দিলো জঙ্গলবাড়ি।
আমি বলি, তাহলে প্রেম?
জীনের বেনাল টান?
ভেতরে যে পাখিস্বাদ?
তার সাথে সংসারের দুর্জেয় পুলসেরাত ।
তুমি বলো,এতোটা অধীর কেনো?
এতোটা কোমল কেনো?
আমি বলি,জানে তেরপাল
কী কঠিন রোদ্দুরে কবির হৃদয় বেনাল!
আর জানে মন এই পোড়ামন-
কী ভীষন তেষ্টাতে কবির স্খলন !
চিৎকার
অনেকদিন মৃত্যুশোকে কাতর আমি
আর কিছু দিন পর হবে চল্লিশা।
অথচ পাখি,নদী কেউ কাঁদল না
কেউ জানল না আমার এই খবর।
আমাকে নিলো না কোলে স্নেহের নরমমাটি।
আমার ওমের জল পান করে
কতোবার ক্লান্ত হলো মধ্য রাতের কুটুম;
যে আমার জলপাই নারী।
অথচ খবর নিলো না আজ,বহুদিন শোকের কাফন ধরে বিরান মনের মনবাড়ি ।
কেউ জানলো না কেনো আজ লাশ হয়ে কাঁদি !
অনেক দিন মৃত্যুস্বাদে বিভোর আমি
আর কিছু দিন পর হবো কঙ্কাল!
অথচ আমার শোকের দিনে কেউ নেই
কেউ নেই!সাধের কিরাত পড়ে জল গলাবার !
আমাকে নিলো না তুলে প্রেমের পরশপাটি।
লেনাদেনা
ইদানিং হঠাৎ হঠাৎ ভুলে যাও তুমি
আবার হঠাৎ হও দিওয়ানা
ইদানিং হঠাৎ হঠাৎ তুমি নদী হয়ে উঠো
আবার তোমাকে দেখি জিন্দা না
হঠাৎ তোমাকে দেখি প্রেমের চাঁদর গায়ে ভেনাসবাতাসে
আবার তোমাকে দেখি সংসারফর্দ হাতে বালির নৌকাতে
এই হঠাৎ হঠাৎ প্রেমের মজনু আমি তো না
বন্ধ করেই দেবো প্রেমের উজান
এই হঠাৎ হঠাৎ ফেলে অবিরল রাখলে না
আমি তো মিটিয়েই নেবো আফিমনিদান
ইদানিং হঠাৎ হঠাৎ করে প্রণোদিনী হয়ে ওঠো
আবার হঠাৎ হও ফসিলরমণী
ইদানিং হঠাৎ হঠাৎ তুমি আন্ধারে আয়না হও
আবার হয়ে ওঠো বনের ব্যালকনি।
হঠাৎ তোমাকে দেখি সমুদ্রের নীল রঙে রেশমিকপোতি
আবার তোমাকে দেখি কুয়োর তলানে থাকা পৌঢ়ামালিনী
এই একটু একটু শখের প্রেমী আমি তো না
বন্ধ করেই দেবো লীলার এলার্ম
এই একটু মরে যে প্রদীপই জ্বালো তুমি
আমি তো নিভিয়ে দেবো বলছি আগাম
সাদা সাদা পরিচয়
তুমি বোঝাও ।
মানি,না মানি আমি শুনি ।
বাপে নাই তুমি
শালার সাথে যে গলাগলি
স্বাক্ষী ডুমুর ফল
তাও আমি জানি ।
আমি জানি।
জানে ভাঁটফুল;কলমি লতা
স্বাক্ষী বেতম গাছ
তোমার খোঁয়ারে আন্ধারে আসে-
অজর তুমুল ভাতার।
লোকে বলে"এই ছিলো পেটে!
এমন শোকের দানা ডালিমের ফলে!
আমাদের বুকদুধে ফুলে গেলো
যম কেউকেঁটে!"
তুমি বোঝাও,লোবানের দুধঘ্রান
হরিণওলান
আর ভিআইপিজল-
ঘোরের বাজারে বিকায় উড়াল শহর।
আমি জানি।
লোকে বলে, "এই ছিলো বুকে !
এমন নীলের ফেনা সাধুঅন্তরে !
আমাদের বিশ্বাসে খেলে গেলো
নয়া আইয়্যুবে !"
তুমি বোঝাও;এ এক চেতানাফল-
সমযোতাউন্নয়ন,
কাটা রাইফেলে কাটি আমআদমির মন।
মানি,না মানি আমি শুনি।
প্রেমে নাই তুমি
ব্রোথেলে যে যাওয়া যাওয়ি,
স্বাক্ষী নদের জল
তাও আমি জানি ।
আমি জানি ।
জানে দুই বুক মুখ;ওমের জটিল মূল,
স্বাক্ষী শিমূল গাছ
তোমার উজানে জোঁয়ার আনে
দাদার বেনিয়া পাল ।