হাদিউল ইসলাম এর গুচ্ছকবিতা
বর্তুলা পৃথিবী
বর্তুলা পৃথিবী করতলে নাচে
তেপান্তরের ওপাশ হতে ভেসে আসে গান
মায়াবী সঘন উষ্ণ, সুখের আদলে কর্পূরিত হাওয়ায়
শিথানে পৈথানে ডানে বাঁয়ে
বাতাসে কাঁদানেগ্যাস, প্রণয় দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়
তেপান্তরের এপাশে বর্তুলা পৃথিবী পাথর গড়ায়
মফস্বল
মফস্বল মানে উত্থিত সবুজ, অথই দিগন্ত
মৌনী পাহাড়, কাঁটাতার, ফেলানী ঝুুলন্ত
আলপথে হাঁটা লোক
মফস্বল; শস্যের চিবুকে ভোরের শিশির
বিম্বিত সূর্যের অনুফুল অথবা জোছনাপ্রিয় নিশির
একটি তুলসি গাছ
একটি তুলসি গাছ
সবুজ সমগ্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
মুজিবের সমর্থিত,বলবান তর্জনীর মতো একা
একটি তুলসি গাছ
বিবিধ ভেষজ গুণে অসাম্প্রদায়িক
পয়ার থেকে অমিত্রাক্ষরে লিখছে বাংলাদেশ
জিজ্ঞাসা
এতোগুলো রক্তাক্ত কবিতা লেখার পরেও
যদি আমাকে পাপিই ভাবো,
তাহলে বুঝবো; তুমি আমার কবিতাই পড়োনি
বলো বটবৃক্ষ, তোমার ছায়া রাতের অন্ধকারে
নিজের অস্তিত্ব নিয়ে কখনও কি প্রশ্ন তুলেছে?
অজস্র মানুষ
অজস্র মানুষ শুধু নড়েচড়ে, নিয়ত চক্কর খায়
প্রকৃত প্রস্তাবে বেঁচে নেই
গেরিলার মতো হামাগুড়ি দিতে গিয়ে
দারুণ আক্রুশে নিজের ছায়াকে শত্রু ভেবে লয়
অজস্র মানুষ শুধু নড়েচড়ে, নিয়ত চক্কর খায়
প্রকৃত প্রস্তাবে বেঁচে নেই,
মানুষ তো নেই; পোকা, মানুষের থাকবে না কোনো খেই?