হাদিউল ইসলাম এর গুচ্ছকবিতা
হাদিউল ইসলাম এর গুচ্ছকবিতা
বর্তুলা পৃথিবী♦
বর্তুলা পৃথিবী করতলে নাচে
তেপান্তরের ওপাশ হতে ভেসে আসে গান
মায়াবী সঘন উষ্ণ, সুখের আদলে কর্পূরিত হাওয়ায়
মাঘের প্রধান কুয়াশায়
দমে ও কদমে, বিবিধ ছন্দে ও অনুপ্রাসে
মাহফিল জমে, মূলত স্লোগান,ঘাই হরিণী কি জয়
শিথানে পৈথানে ডানে বাঁয়ে
বাতাসে কাঁদানেগ্যাস, প্রণয় দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়
তেপান্তরের এপাশে বর্তুলা পৃথিবী পাথর গড়ায়

মফস্বল♦
মফস্বল মানে উত্থিত সবুজ, অথই দিগন্ত
মৌনী পাহাড়, কাঁটাতার, ফেলানী ঝুুলন্ত
আলপথে হাঁটা লোক
বুকে তার শস্যের প্রতি পক্ষপাত, ক্ষেতের অসুখ
মফস্বল; শস্যের চিবুকে ভোরের শিশির
বিম্বিত সূর্যের অনুফুল অথবা জোছনাপ্রিয় নিশির

একটি তুলসি গাছ♦
একটি তুলসি গাছ
সবুজ সমগ্র নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে
মুজিবের সমর্থিত,বলবান তর্জনীর মতো একা
এখন বসন্তপ্রধান দুপুর
তদ্ভব প্রণয়ে ঈষৎ চঞ্চল ভ্রমরের দল
ডানায় বিবিধ গান কম্পমান হাওয়ায় হাওয়ায়
একটি তুলসি গাছ
বিবিধ ভেষজ গুণে অসাম্প্রদায়িক
পয়ার থেকে অমিত্রাক্ষরে লিখছে বাংলাদেশ
জিজ্ঞাসা♦
এতোগুলো রক্তাক্ত কবিতা লেখার পরেও
যদি আমাকে পাপিই ভাবো,
তাহলে বুঝবো; তুমি আমার কবিতাই পড়োনি
রক্তমাখা, ঘামঝরা
একটা সরু পংক্তির মতো এ জীবনে এতোদিন
আমি তবে কাকে পেঁচিয়ে রইলাম রূপকে-প্রতীকে?
বলো বটবৃক্ষ, তোমার ছায়া রাতের অন্ধকারে
নিজের অস্তিত্ব নিয়ে কখনও কি প্রশ্ন তুলেছে?
অজস্র মানুষ♦
অজস্র মানুষ শুধু নড়েচড়ে, নিয়ত চক্কর খায়
প্রকৃত প্রস্তাবে বেঁচে নেই
হাঁটু ভেঙ্গে পড়ে যত্রতত্র, স্বীয় শব্দ গিলে ফেলে
গেরিলার মতো হামাগুড়ি দিতে গিয়ে
দারুণ আক্রুশে নিজের ছায়াকে শত্রু ভেবে লয়
অজস্র মানুষ শুধু নড়েচড়ে, নিয়ত চক্কর খায়
প্রকৃত প্রস্তাবে বেঁচে নেই,
মানুষ তো নেই; পোকা, মানুষের থাকবে না কোনো খেই?



সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান