দশ হাজার বছরে এতোটুকু হইনি তো ম্লান,
কাগজ ছিলো না তাই কেউ কেউ
গুহাগাত্রে লিখেছে আমাকে। তালপাতা,
কলাপাতা, গাছের বাকলে আমি
কতোবার আনন্দে হেসেছি।
প্রেমিকের মুখ থেকে প্রেমিকার চুলে
বিলি কেটে সকালের নরম হাওয়ায়
শিশিরের সাথে মিশে
শ্রাবণী ঘাসের সাথে আমার মিতালী
কখনো অজানা নয়। ফুলে ফুলে ফুটে থেকে
তোমাদের সৌন্দর্যানুভূতি বাড়িয়ে দিয়েছি;
প্রজাপতি মৌমাছির পায়ে ও পাখায় আমি
হীরকের দ্যুতি নিয়ে
বয়সে বেড়েছি। সাগরের ঢেউয় ঢেউয়ে
ছড়িয়েছি পৃথিবীর কোণায় কোণায়।
মহাকাশে উঠে গেছি রকেটে চড়েও।
তোমাদের লোকালয় আর লোকাল ট্রেনের কামরায়
আমাকে আমোদে তোমরাই স্বযত্নে রেখেছো।
বুট জুতো পরা পায়ে যখন মানুষ আর সব মানুষের
বুকে করেছে আঘাত, দিন কিম্বা রাত
না বুঝেই আমি এসে পাশে দাঁড়িয়েছি।
বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন দেহকেও
দিয়েছি সান্ত্বনা ঢের সকাল বিকেল।
ক্ষুধার্থের বিরান থালায় রেখে
দু'মুঠো প্রত্যাশা, চোখে চোখে রোদের ঝিলিক দেখে
পরিপূর্ণ যৌবনে আমিও নিয়মিত এভাবে হেঁটেছি।