এ্যালার্জি
ময়লা যা আছে
তোমার মনে ভাইরে,
তা আমারো আছে-
হয়তো আছে তা আরো অনেকেরই
ধরা পড়ে শুধু অবহেলার ক্ষণে।
যা নেই সবার তা হল তোমার
ঐ দু’গাছি গচ্ছিত গান
দিলে দাও সে লকলকে বাগান
শুনেছি সেখানে বিধাতাও যান
উড়িয়ে দিয়ে আখের ভাবনা
তিনিও নাকি চা’ করেন পান!
বিধাতার চা’য়ে কে ভেজায় চিরকুট
চিনির আদলে কে দেয় বিদ্যুৎ
সেই কি তখন বিধাতার ক্লাশে
লাফ দিয়ে উঠে আমার ফুসফুসে
আর গরম গরম লেপের ভেতর করে যায় কুটকুট!
সানসেট রাইজ
তুমি তোমার মিটিং কর
যেখানে যতদিন লাগে-
কেপ টাউন, প্রিটোরিয়া থেকে নেপাল ভূপাল
আমাকে শুধু আমার মত পান করতে দাও।
ঐ সব মিটিং মানচিত্রের
চীনে জোঁক ক্রিয়াকলা,
অস্ত্রপ্রাপ্ত অস্থির ঘোড়া,
অর্ধাংশ ঊট আর অর্ধাংশ নেকাব,
বার বার বিসমিল্লাহ বলা
বংশীবিদদের বহু দেখিয়াছি।
ওরা তোমার ব্লাড সাক করে
আমি করি জোছনা তোমার।
জানেও না গাধারা
কি পাইলো আর
আমি কেন আধেক মানবী আর
অর্ধেক মীনের দেহে ধরে আছি
বর্ধিষ্নু বীণ।
হয়তো ওরা ভাবে
এ আমার এক খেয়ালি হার্মলেস হিউমার,
কফি টেবিলের ক্যারট কেকের উপর
সূতিকাগার থেকে ছড়িয়ে দেয়া সুগার কোট।
তাতে ওরা স্প্যানিশ পর্যটকের মত বিভ্রান্ত হয়
আর তুমি পাও ব্রেক,
পাও হাওয়া, ফল ও আমার তরল
সে অবসরে ঠিক বুঝে যাও
উহাদের রুহূর রহস্য।
আগে তো আমরা জানতামই না
ব্রক্ষ্মচারীরও বীর্য থাকে
সব জল থিতু হয় না অপরাহ্ন বেলায়
বালির বর্ধিষ্ণু সীমান্তে রেখা টানা ভুল
যে কোন কালেই তাহা ঝুরঝুর ঝরে ঝরে
হয়ে উঠতে পারে শিউলী অথবা বকুল।
তোমাকে সেই সব সংরক্ষিত আসন
থেকে তাই আমি নিয়ে আসি এখানে-
যেখানে লাখ লাখ নদী ও
বুনো বাদামী নারীর পাহাড়
আর আমি কনুই ডুবিয়ে
জলে সিম্ফনি তুলে
পান করি তোমাকে।।
বেবুজ
এখনো আপনার নামে ছুটে আসে মধু ও মাখন
এই যে কাচের শহর,
ঘাসের জরায়ূ ঘ্রাণ,
রাত্রিকালীন পুরাণপাখিদের উৎপাত,
মাছরঙা নদজলে সেমিজ পরা ডুবন্ত সাঁতার
সব পেরিয়ে-
হে মহাত্মণ
সেদিনও দারিদা সূত্রে ওয়েস্টএন্ড দুপুরে
স্যূশির মলাটে আপনকেই করেছি বিনির্মাণ
আর আপনি কিনা নতুন বেনিয়া বিধায়
রঙ বিক্রিবাট্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেন
প্রিয়তম,
সেই থেকে আপনার ঔরসে জন্ম নিচ্ছে
পূর্ণিমাজীবি পাপ
তাতেই আয়ু:প্রাপ্ত যুবক যুবতীরা হয়ে যাচ্ছে তষ্কর
আপনার দীর্ঘ খাদি পাঞ্জাবি হয়ে গেছে
চোখ ধাঁধাঁনো বর্নিল
এখন সেলফি আক্রান্ত এই আপনি’র কাছে আর
পৌঁছতেই পারি না
মধ্যে তাড়া খাওয়া এক মহা তেপান্তর
অথচ এই আপনিই আংগুর বাগান ফেলে
শিখিয়েছ্লেন গৌরবের ঘ্রাণ নেবার পবিত্র কৌশল
অস্থিশূন্য অহংকারের ঘাড়ে পুঁতেছিলেন রজনী গন্ধা
তবুও আপনার নামে ছুটে আসে মধু ও মাখন
জন্মান্ধ বলেইকি আমি এখনো অন্ধকারে
পোড়া পোড়া দেহে নিরন্তর জল ঢেলে চলেছি!
বাড়তি লোহা
এই নিদারুনকে, আর আমার বাস্তব মনে হচ্ছে না।
এই সব অপ-সংবাদ, এই অকস্মাৎ নাই হয়ে যাওয়া পরস্পর।পর পর।
এই এত কষ্ট, এত ব্যাধি, এত অভিমান, এত থিতু মুখ!
আর আমি অথবা কেউ কেউ
কেনো বেঁচে আছি এতগুলো বছর!!
এক এক করে শংকার সব পাথর ডুবিয়েছি
তবু যেন আরো ভারী গেছে
রিক্ত এ অশ্বত্থ বাগান।
মনে হয়, বুকের সব পশম খালি করা ঠিক না
সব নদীতে বাঁধও দেয়া উচিত না
খেয়ালের অবশিষ্ট রেখে দিলে হয়তো
চন্দন ঘ্রান উজ্জিবীত হবার একটা অজুহাত পেতো
আর কাফনে কপাট বন্ধ করার আগেও তো
দু’একটা বাড়তি পেরেক লাগে!