কবি: মোহাম্মদ জসিম
মার্বেল
খোলাচোখে খেলছিলাম—আলো ও ধুলোর
সাতটি অন্ধ গাছ নিজেদের বিষদাঁত ভাঙছে!
রক্তজবার শিরায় মুখ ফিরিয়ে থাকা অন্যটি;
কাঁটার আঁচড় খুলে—নাচপিপাসায় হাসে—
ক্ষয়েছি খুনের রঙ; দুঃখের মার্বেল বিন্যাসে...
হাওয়া খেতে এসে
আলাভোলা দেয়ালের ওপাড়ে রয়েছে এক রঙিন
সেখানে—হাওয়া, রোদ, দাদনের ব্যাবসা করা ভূত...
এখানে—পাতাল খুড়ে সরাসরি জলের ঘটনায়—
ডুবে যাওয়া ডানাজোড়া বিক্রি হয় বাতিল টাকায়!
পাগলা গারদ থেকে দুঃখের বন্ধুটি ফিরে এলে
অন্তত আটদিন কাটিয়ে দেবো তাস খেলে খেলে!
বনজ
পাখিরা খুলছে; আর—কুয়াশার মধ্যে দু'টি গাছ
নিজেদের মধ্যে বদলাবদলি করছে অলস জীবন!
অনেকেই চলে গেছে—খুব সস্তায় মিলছে আগুন!
শ'খনেক খোলাচোখ ঘুরছে রাস্তায়—
উপযুক্ত বিশেষন খুঁজে খুঁজে হাতগুলো পাগল হয়ে যায়
এতটা দ্বিধা নিয়ে কোনদিনও শীতকাল কাটানো যায় না!
ইনসোমনিয়া
আসবাব বিছিয়ে রেখে খুন হতে চলে যাওয়া যাক—
রূপসীর রুগ্ন হাত মাতালের করতালি ধরার ছলে
নিজেই ফড়িং হয়ে গেছে...
বেদখল খোয়াবেরা খুলে রাখা অস্তগামী চাঁদ,
বেজান জোৎস্নাকেও মুছে ফেলে অশ্রুর নিয়মে!
বিছিয়ে রেখেছি ছিন্নমূল মুখেরও মৃদুভাষী শোক;
আরোপিত ইনসোমনিয়ার পাশে পুষ্পবৃষ্টি হোক।
শীতকালীন মানুষ
সাঁতারু নৈঃশব্দে এসে মরে যায় শীতকালীন
প্রচ্ছায়া উপচে পড়া চকচকে মানুষটি আসুক!
শীতের প্রতিভা নিয়ে গণিতের বই লেখা হয়
তোমার গল্পটি তবু হিমরাতে বিকল্প আশ্রয়...
শীত ও শোকের রাতে তুমি আমি নিমগ্ন ডাহুক।