লেখক- লিপি কাজী
অদ্রির এখন আর এই শহরে ইদ করতে ইচ্ছে করেনা, ইচ্ছে করে এই দীর্ঘ ছুটিতে নিজেকে নিয়ে পালাতে, খুব একটা নির্জন কোথাও, যেখানে কোন শব্দ নেই, কোলাহল নেই, এত এত শব্দ, যানজট, গাড়ীর হর্ন নেই, খোলা আকাশ, অচেনা পথ, অচেনা মানুষ, যেখানে গেলে ওকে কেউ জিজ্ঞেস করবেনা কেমন আছ/ আছেন? এরকম কোথাও।
জীবনে কত চমৎকার সব ইদ আনন্দের স্মৃতি রয়েছে, কত অদ্ভুত অদ্ভুত মিথ্যেকথার স্মৃতিও রয়েছে, সেসবও অতীত, এখন আর কোন সত্যি মিথ্যের বালাই নেই অদ্রির জীবনে, অদ্রি এখন যা খুশি তাই করতে পারে যেখানে খুশি চলে যেতে পারে ওকে কেউ রাগ বা শাসন করবে এরকম কোন মানুষই নেই। তবু অদ্রি যেতে পারেনা, ইচ্ছেগুলোর সাথে প্রতারণা করে বসে বসে, কখনো কখনো ভীষন মায়া হয় ইচ্ছেগুলোর জন্যে, নিজের জন্যেও।
আর তাই এবার ঠিক প্রথম রোজা থেকেই প্ল্যান করেছে অদ্রি চাঁদ রাতে ঠিক বেরিয়ে পরবে, ২৯ রোজা পর্যন্ত কনফার্ম অদ্রি যাচ্ছে, ট্রাভেল ব্যাগে প্রতিদিনই টুকি টাকি একটা কিছু গুছিয়ে রাখছে যাতে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার প্ল্যানটা মাথা থেকে হাপিশ না হয়।
ইদ শপিং লিস্টে সবার আগে যে জিনিসটা থাকত সেটা হল আব্বুর পাঞ্জাবী, অনেকগুলো শপিং মল ঘুরে ঘুরে আব্বুর পাঞ্জাবীটা কেনা ছিল অদ্রির ইদ হবি, ইদ আনন্দ। পাঞ্জাবি নিয়ে কত কত মজার স্মৃতি আছে, ডাইবেটিসের কারনে বেশ দু তিন বছর আব্বুর চোখে সমস্যা ছিল, অপারেশন করা হয়েছিল, লুকিং গ্লাস দিয়েও খুব ভাল দেখতে পেতেননা। পাঞ্জাবীর সুক্ষ্ম কারুকাজ, জলছাপ কিছুই দেখতে পেতেন ,না, আব্বুর চোখ নিয়ে ভীষণ মন খারাপ থাকত অদ্রির।
আব্বুকে কোন কিছু নিয়েই কোনদিন অযথা আক্ষেপ করতে দেখেনি, কিন্ত কোরআন শরিফ পড়তে পারছেনা, এজন্য ভীষণ মন খারাপ করত, অদ্রির খুব কষ্ট হত কত মানুষ চোখ দিয়ে কত খারাপ জিনিস দেখে, মেয়েদের দিকে তাকায়,সেসব দেখার জন্য আল্লাহ তুমি তাদের দৃষ্টি বাড়িয়ে দাও, চাইলেই নোংড়া জিনিস দেখা চোখদুটো অন্ধ করে দিতে পার,কিন্ত তুমি তা করনা।
অথচ আমার আব্বু তোমার কোরআন পড়তে পারছেনা চোখের জন্যে, সেজন্য তার কত মন খারাপ আল্লাহ তুমি আব্বুকে চোখের দৃষ্টি বাড়িয়ে দাও । খুব কেঁদেছিল সেদিন অদ্রি, একমাস রোযা রাখবে এটাও মানত করেছিল,সত্যি সত্যি রোযাও রেখেছিল একমাস। আল্লাহ তাই হয়ত ওর কথা শুনেছিলেন।
দুবছর পর আবার চোখ ঠিক হয়ে যায়, সেই সুন্দর কারুকাজগুলো দেখে আব্বু খুব খুশি হয়, খুশি হয় অদ্রিও, আব্বুর চোখ সত্যি সত্যি ভাল হয়ে গেছে, এজন্য স্রষ্টাকে আবারো ধন্যবাদ দেয় অদ্রি।
আজ দু'বছর আব্বু নেই, অদ্রি আর কোনদিন পাঞ্জাবী কিনতে পারবেনা। পাঞ্জাবীর বুনন ছুঁয়ে আব্বুর হাসি মুখটা দেখতে পাবেনা, শপিংএ এর চেয়ে কষ্টের আর কি হতে পারে আর তাই গত দুবছর কোন ইদ শপিং করতে যায়নি অদ্রি।
"ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এল খুশির ইদ", ফেরদৌসী রহমানের কন্ঠে এই গানটি দিয়ে শুরু হত অদ্রিদের ইদ আনন্দ, সব ভাইবোন মিলে পরি কি মরি করে ছাদে ছুটে যাওয়া, ওই যে চাঁদ উঠেছে, সবার আগে আমি দেখেছি, কই কই আমিতো দেখতে পাচ্ছিনা, কই চাঁদ প্লিজ দেখাও আমাকে, অইতো অইযে, কানা, তুমি দেখতে পাবেনা, কখনো সত্যি চাঁদ,কখনো মেঘের আড়ালে লুকোনো মিথ্যে চাঁদ দেখা হৈ-হুল্লোড় করে কে আগে নিচে নেমে দাদু আব্বু আম্মুকে সালাম করবে, সে সব খুব খুব মনে পরে অদ্রির।
তারপর শুরু হত ভাইবোনের মধ্যে মেহেদি লাগানো, মাশা আল্লাহ কার আগে কাকে মেহেদি লাগানো হবে সেটা নিয়েও ঝগড়া, ঠিক হত ছোট থেকে বড় সিরিয়ালে একে একে লাগান হবে।
অদ্রিদের বাসার নিয়ম ছিল আম্মু খুব ভোড়ে উঠে জর্দা,ফিরনি,সেমাই, খিচুরি আর মাংস রান্না করে ফেলত, আব্বু আর ভাইয়েরা সকালে গোসল করে নতুন পাজামা-পাঞ্জাবি পরে সেমাই খেয়ে ইদগাহে যেত, ফিরে এসে সবাই এক সাথে টেবিলে বসে খিচুড়ি মাংস খেত, তারপর আম্মু পোলাও, রোস্ট, কাবাব,বিফ, এই সব রান্না করত, দুপুরে সব বন্ধু বান্ধব বাসায় আসত, যার যত বন্ধু থাক অদ্রির বাসায় দুপুরে একসাথে খাবে তারপর যেখানে খুশি যাও এটাই অলিখিত নিয়ম, যতদিন ভাইবোন কারো বিয়ে হয়নি এভাবেই চলে আসছিল।
অদ্রির বিয়ের পর অদ্ভুত এক ইদের সন্ধান পায় অদ্রি। সকাল আটটায় সবাই ঘুম থেকে ওঠে, কারো ইদের নামাজে যাবার তাড়া নেই, নাস্তার টেবিলে গিয়ে দেখে প্রতিদিন অনেক মাছ সব্জি আইটেম থাকলেও আজ শ্বশুর ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খাচ্ছে, অদ্রিকেও ভাত খেতে ডাকা হল, অদ্রি আর শুভ শ্বাশুড়ির সাথে ভাত খেল, তারপর কেমন অদ্ভুত টাইপের একটা সেমাই, দুধ একদিকে তো সেমাই একদিকে শুভর দিকে তাকাতে পারেনা অদ্রি পাছে ও ওর মুখ দেখে কিছু বুঝে যায়।
দুপুর একটার দিকে আব্বু আম্মু ফোন দিয়ে জানতে চায় অদ্রি কেমন আছো, ইদ কেমন হয়েছে? কি রান্না হয়েছে?
অদ্রি বলে খুব মজা হচ্ছে আব্বু, অনেক আনন্দ, কত কি রান্না করেছেন মা সেই ভোর রাত থেকে, এটা খাও ওটা খাও সেমাই, জর্দা, পায়েশ, খিচুড়ি, রোস্ট পোলাও, একদম বাসার মত আব্বু, আম্মুর হাতের খিচুরির মতই খুব মজা, আমি তোমাদের একটু মিস করছি, বাদ বাকি সব ঠিকঠাক।
ফোন রেখে ছুটে ওয়াশ রুমে ঢুকে অদ্রি সে কি কান্না, যে কান্না গুলো শুভকেও সেদিন দেখায়নি অদ্রি, কারন শুভ সেটা ঠিক বুঝতে পারতনা, ৬৪ টা জেলায় হয়ত ৬৪ রকমের অদ্রি আর শুভ রয়েছে যাদের কালচার, উতসব, আনন্দ,সবই ভিন্ন ভিন্ন হবে, যা মনে না নিলেও মেনে নিতে হবে! অদ্রিও সেভাবেই মানিয়ে নিয়েছিল।
এসব ভাবতে ভাবতেই মোবাইল চার্জার ল্যাপটপ গুছিয়ে নিয়ে চাঁদ রাতে বেরিয়ে পরে অদ্রি। অদ্রি জানেনা কোথায় যাবে, গতরাতে অনেকগুলো গ্রুপ ঘুরে ঘুরে দেখেছে সবাই ইদের রাত অথবা ইদের পরদিন থেকে ট্যুর প্ল্যান করেছে, প্রচন্ড গরমে সাজেক কিংবা সিলেট কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা, এতদিনের বন্ধ কক্স বাজারও নিশ্চয়ই অনেক ভিড় হবে।
বাস স্টেশনে এসে ভাবছে অদ্রি কোথায় যাবে ও, এমন সময় ওর হোম ম্যনেজার ফোন দেয় আফা প্রচুর জাম অহন আইসা বাড়িত হামাইলাম, চিন্তা করুইননাজে, রাইক্যা দেই, পরে কতা কমুনে।
ফোন রেখে ভাবছে অদ্রি, তুমিত বাড়িত হামাইলা আমি যে বের হলাম কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছিনা।
বাস স্ট্যান্ডে ব্যাগ কাঁধে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে, রিক্সাঅয়ালা, সি,এন,জিওয়ালা সবাই জিজ্ঞেস করছে মামা কোথায় যাবেন চলেন। এটাত বাংলাদেশ, এখানে এই মামা ওয়ালাদের কে বোঝাবে কোথায় কখন যাবে সেটা তার নিজস্ব স্বাধীনতা, তাকে অকারনে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবার তোমরা কে?
আরো আধ ঘন্টা বাস স্টপে দাঁড়িয়ে থেকে সি,এন,জি তে ওঠে অদ্রি, সেই ছোটবেলাকার একবার গ্রামে ইদ করেছিল অদ্রিরা মনে পরে যায় ওর, তখন ফোর ফাইভে পরে, ইদের সকালে সব ভাইবোন কাজিনরা নতুন পানি আসা উপলক্ষ্যে পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল, আব্বু সবাইকে সাবান শ্যাম্পু দিয়ে ডলে গোসল করাচ্ছিল, ওর চেয়ে একটু বড় কাজিন বলে আয় অদ্রি তোকে একবার পানিতে ফেলে দিয়েছিলাম মনে আছে?
-হুম,প্রায় মরেই গিয়েছিলাম।
-চল এবার সাঁতার শিখিয়ে দেব,আর ডুবে যাবিনা।
-সত্যিই
-হুম সত্যি,আমি সাঁতার দেব তুই আমার পা ধরে সাঁতার দিবি
-ঠিক আছে
বেশ কিছুদূর যাবার পর ও আর ভার সহ্য করতে পারেনি,অদ্রিকে আবারো পানিতে ছেড়ে দিয়ে ও উঠে গিয়েছিল, আব্বু অদ্রির কথা ওকে জিজ্ঞেস করতেই ও বলেছিল অদ্রি গোসল করে বাড়ি ফিরে গেছে।
আব্বু সেদিন ওর কথা বিশ্বাস করলে সলিল সমাধি হত, আব্বুর আগেই হয়ত অদ্রি পৃথিবী ছেড়ে চলে যেত। কিন্ত আব্বু বিশ্বাস করেনি, দুরে খুজে দেখে অদ্রির চুল ভাসছে।
মামা নামবেন না? বইসা আছেন ক্যা আমার তো খ্যাপ ধরন লাগব।
-হুম নামছি, ভাড়া মিটিয়ে রাস্তায় নেমে আবার ভাবছে অদ্রি এখানে আনল কেন সি,এন,জি ওয়ালা? ওতো বলেনি কোথায় যাবে?
আবার অনন্তের উদ্দ্যেশ্যে দাঁড়িয়ে থাকে অদ্রি, বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় দুটো টোকাই ছেলে মেয়ে ঘুরঘুর করে ওর চারপাশে, আফা আমার বইনডারে একটা জামা দিবেন, ইদে অয় কুনু নতুন জামা পায় নাই,
-তুই পেয়েছিস?
-না আমি ও পাইনাই আমার লাগব না আফা বইনেরে দিলেই হইব
-আমার জামা তোর বইনের গায়ে হইব?
-না আফনে বড় অয় ছডু
-তাইলে?
-১০০ ট্যাহা দেন ফুটপাথ থিকা কিনা দিমু, আমার কাছে ১৫০ ট্যাকা আছে, মায় জানেনা, লুকায়া জমাইছি, মায় জানলে বাইংগালাইব, অয়তো ইদের দিন নতুন জামা না পাইলে হারাদিন্ডাই কানব, অয় অইল "কান্দনের মেশিন" অভাব বুজেনা।
মনে পরে যায় আমাদেরও কান্দনের মেশিন ছিল, আব্বু সব ভাইবোন গুলোকে এক সাথে শপিং এ নিয়ে যেত, সবার পছন্দের,জামা,জুতো কিনে দিত,চাঁদ রাতে ঘুরতে বের হত আমাদের কে নিয়ে ইচ্ছে করেই কিছু কস্মেটিক বাকি থাকত সেগুলো কেনার বাহানায়। কিন্ত যে বোনটা এখন বাংলাদেশের বাইরে থাকে, ও ইচ্ছে করেই কারন ছাড়াই ইদের দিন কাঁদত, একবার ইদে ৬ টা জামা ছিল ওর তবু কেঁদেছে, ও কি এখনো ইদে কাঁদে কিনা জানিনা।
-ও আফা দেবেন ১০০ ট্যাহা,কন্না দেবেন
-তুই আমাকে ১৫০ টাকা দিবি?
-কেন আফা? আফনেরে দিলে সুমির জামা কিনুন কেম্নে,দিমুনা
-তাইলে আমিও দিমুনা যা।
ভাইবোন দুটো চলে যেতে থাকে অন্য কারো কাছে ১০০ টাকার জন্যে
-চল আমি সুমিকে জামা কিনে দেব, কইত্থিকা কিনবি বল
-অই যে সামনেই ফুটপাথে দেখছি হইলদা একটা জামা চলেন আফা
-উহুম ফুটপাথে না একটা মার্কেটে চল,
-সত্যি আফা! সুমিরে বড় মার্কেট থিকা জামা কিননা দিবেন?
-হুম বড় মার্কেট চিনিস আমাকে নিয়ে যেতে পারবি?
-হ খুব পারুম,গাড়ীতে যাওন লাগব। যমুনা পার্ক মার্কেট, কুনুদিন ভিত্রে ডুকিনাই, আমগো ডুক্তে দেয়না, কয় বড়লোক অইলে তারপর আইবি, কেম্নে বড়লুক হমু কন আফা?
-আচ্ছা চল,আজ ঢুকব।
যমুনা ফিউচার পার্কে শার্ট, জামা, সুমির মায়ের জন্য একটা শাড়ি আর ওর বাবার জন্য একটা পাঞ্জাবী কিনে দেয় অদ্রি
শপিং শেষে ফাস্টফুডে ওদেরকে নিয়ে খেতে খেতে রাত একটা
-তোরা থাকিস কোথায়?
-কাঠের ব্রিজ বস্তিতে,
-১২ নং কাঠের ব্রিজ?
-হ আফা আপ্নে চিনেন?
১২ নং চিনি, চল তোদের বাড়ি পৌছে দেই।
এবার একটা ট্যাক্সি ডেকে গন্তব্য পেয়ে যায় অদ্রি, রাত দুটোয় বস্তিতে গিয়ে দেখে ছেলে মেয়ে দুটোর জন্য অধির আগ্রহে ওদের বাবা মা অপেক্ষা করছে, দুশ্চিন্তায় এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে প্রতিটি বাবা মা-ইদের সময় তার সন্তান তার বুকে ফিরে আসবে সেই অপেক্ষায় থাকে, সব সন্তানরাও অপেক্ষায় থাকে বাবা মায়ের বুকে ফিরে যাবে, শুধু হতভাগ্য কিছু সন্তান থাকে যাদের বাবারা আর ফিরে আসেনা, চাইলেও আসতে পারেনা
অদ্রিকে দেখে সুমি, সুমনের বাবা মা অবাক হয়, ওরা আনন্দে সব কাপড় শাড়ি গুলো দেখায়, পাঞ্জাবী টা সুমি নিজের হাতে সুমনের বাবার হাতে দিয়ে বলে আমি কি আপনাকে একটু ছুয়ে দেখতে পারি, আপনাকে খুব জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে, বলে এক ছুটে ঘর থেকে বেরিয়ে যায় অদ্রি
সুমি দৌরে এসে বলে আফা আর একটু থাকেন আমাদের সাথে, অদ্রি বলে আমি আমার গন্তব্য পেয়ে গেছি, আমার সময় নেই আরেকদিন আসব, হন্তদন্ত হয়ে বের হয়ে রিক্সায় উঠে বলে মামা ১২ নং চলেন,
-মামা এইটাইত ১২ নং
-তো কি হইছে যাইতে কইছি যান
-মামা কই যাব সেইটা কন
-ডাইনে যান,বেশ কিছুদুর যাবার পর রিক্সওয়ালা আবার বলে কোন রোডে যাবেন মামা সামনে ডাইনে কবরস্থান
-অদ্রি নেমে যায় ওর গন্তব্যে,মাঝরাতে চিৎকার করে কেঁদে বলে আব্বু, তুমি দেখ আজ চাঁদরাত এখনো ঘুমাবে তুমি আমাদের যে এখনো চাঁদ রাতের শপিং করা হয়নি,তুমি জান তোমাকে ছাড়া আমাদের আর কোন ইদ হয়না, তোমাকে ছাড়া আমরা একটু ও ভাল নেই।