অমর একুশে গ্রন্থমেলা, আমাদের মেলা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা, আমাদের মেলা

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৯। শনিবার ছিলো মেলার দ্বিতীয় দিন। মাঘের শেষ দিকে নাতিশীতষ্ণ আবহাওয়ায় সন্ধ্যার পর ঘড়ি ধরে ঠিক ৭ টা ৩০ মিনিটে মেলায় প্রবেশ করতে গিয়ে দেখা গেলো কেউ কেউ মেলা থেকে বের হচ্ছেন। অন্যদিকে নগরের ক্লান্তিময় দিন শেষে অথবা ব্যস্ততা শেষে আবার কেউ কেউ মেলায় প্রবেশে করছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়াও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বর্ধিত অংশ হিসেবে মেলা বসেছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণের মূলগেট থেকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর নিরাপত্তাবেষ্ঠনী পার হয়ে মেলার প্রবেশমূখের ডান দিকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির স্টল। এখানে বেশ ভিড় দেখা গেলো। অভিভাবকরা বাচ্চাদের নিয়ে বই দেখছেন ও কিনছেন।

রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এসেছেন গৃহিণী রুমানা। কি ধরনের বই কিনছেন এমন প্রশ্ন করতেই জানালেন, বাচ্চাদের জন্য তিনি গল্পের বই কিনতে এসেছেন। বইমেলা দেখাতে ও বাচ্চাদের পাঠ অভ্যাস তৈরি করতে তিনি বিভিন্ন বই কিনবেন বলে জানালেন।

তবে মেলা এখন জমে উঠেনি। পাশেই দেখা গেলো বইয়ের স্টল সাজাতে এখনও কয়েকজন মিন্ত্রী কাজ করছেন। এছাড়াও অনেক স্টলে বই সাজানোর কাজ চলছে।

অভিভাবকরা শিশুদের হাত ধরে বিভিন্ন স্টলে স্টলে ঘুরছেন। কেউ কেউ বই কিনছেন আবার দেখছেন। অনেকের মেলার বিভিন্ন স্টলের সামনে গিয়ে ছবি তুলতে দেখা গেলো।

এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণটির নামকরণ করা হয়েছে ভাষা শহীদ বরকতের নামে। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে ভাষাশহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে চারটি চত্বরে ভাগ করা হয়েছে।

মেলায় হুয়িল চেয়ারে করে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী নাদিম। এবারের বইমেলা নিয়ে তিনি বলেন, আজ প্রথম আসলাম। বইমেলা প্রাণের মেলা, প্রতিবছরই আসি। প্রাণোচ্ছল একটা অনুভূতি আমাদের জাগ্রত করে এই মেলা।

ঘড়ির কাঁটা ঠিক যখন রাত ৮ টা পার হতে চলেছে, তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতেই দেখা গেলো মূল প্রাঙ্গণ থেকে কিছুটা ভিড়। অনেকেই প্রিয়জনের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্টল দেখছেন ও বই কিনছেন। তবে এখানেও অনেক স্টল এখানো গোছানোর কাজ চলছে।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান