কবি: আবদুল কাইউম
কুট-লী
কুট-লী মানে কুট-কৌশলী; কুট-বুদ্ধির রিয়েক্শনে যখন মাথার চুলগুলো সব পড়ে যায় চান্দি তখন পার্সোনাল জেট-রানওয়ে হয়ে উঠে-- আর ব্যংক একাউন্টে জমা হতে থাকে অগুনিত প্রফিট ৷ টাকার সাথে টাকের সম্পর্ক মুদ্রার জন্মলগ্ন থেকেই তাই সেলফি দেখেই পড়া যায় কারো সফলতার দলিল;আর দাঁত দেখে পেপসোডেন্টের বিজ্ঞাপন মনে হলেও ভেতরে কিন্তু থাকে ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকার ৷
সাবধান! কুট-লীরা'ই কিন্তু একদিন গ্রুপলিডার হয়ে যায়; তেলতেলে চামড়া দেখে গলে যেও না-- শকুনের নজর কিন্তু সব সময়'ই হাড্ডির ভেতর থাকে ৷
জন্মই মেপে দেয় পা'য়ের ছাপ
জন্মই নির্ধারণ করে দেয়—
জীবনদৌড়ের শেষ সীমানা; কেউ জন্ম নেয় ভাগ্য
সাথে নিয়ে কেউ ভাবে নিজভাগ্য নিজেই গড়ে ৷
একদিন ব্যারিকেড ভেঙে স্রোতের উজানে—
শিকারীর বিরুদ্ধে চিটিংএর অভিযোগে মিছিলে নামে পুঁটিমাছের দল;আর সংবাদ সিরোনাম হয়ে যায় কিন্তু...
টোপের ভেতর কৌশলে বড়শি নামক বাঁকালোহা— ঢুকিয়ে ধোঁকাকারী শিকারীও বড়শি আজীবন বাঁকাই
রয়ে যায়;আর পুঁটি শেষমেশ পাতিলেই সাঁতার কাটে ৷
জলে জন্ম পুঁটির দৌড় জল থেকে পাতিল পর্য্যন্তই ৷
ভালবাসা
এসো আকাশ নামাই...
সাথে চাঁদও; ভরা পূর্ণিমায় স্নান করিয়ে পবিত্র করি
পৃথিবীকে আর ভাবুক করে তুলি—
তার পর তার সব সন্তানদের কাব্য প্রেমিক করে দেই
আর ভালবাসায় ভেসে যাক সব পঙ্খিলতা ৷
অসহায় মনুষের জন্য জেগে উঠুক প্রেম;
অবহেলিত শিশু আর নিগৃহীত নারীরাও হয়ে উঠুক ভালবাসাও সম্মানের— ব্যবসা আর নোংরামী নয় পবিত্র ভালবাসায় ভরে উঠুক মন ৷