যখন একাকিত্বের হাহাকারে মুখর চারপাশ,
স্তব্ধ হৃদয়ে নেই বাক্যের আনাগোনা,
কবিতার চরণে নেই, শিশিরসিক্ত সজীবতা!
মলিন কাব্যের কষ্টের রোদেপোড়া দাগের চিহ্ন,-
কিবিভৎস, ভয়ঙ্কর ক্ষত !
দিন, মাস, বছর যায়,- কলম ধরি না কবিতার খাতায়।
কি লিখবো?
ভালোবাসা সে কি সুখ? না কি নরকের বিরোহী যন্ত্রনা?
ভেবে ভেবে কেটে যায় প্রতিটা ক্ষন,
আমি ভেবেই যাই,-
একদিন, ভাবনার দ্বারে বেশ জোড়োসোড়ে কড়া পরে,
কে?
চমকে উঠি,প্রশ্ন করি,
তুমি কে?
কি চাও?
প্রশ্ন শুনে তোমার বাঁধভাঙা হাসি,
আমাকে অবাক করে, তুমি বললে-
আমি তোমার ভালোবাসা
এইমাত্র এলাম, বহুক্রোশ পাড়ি দিয়ে এসেছি তোমার দ্বারে।
বরণ করো আমায়, তোমার নিত্য অভিসারে,-
আমি নীল হবো তোমার অসীম নভাঙ্গনে,
চাঁদের স্নিগ্ধ শীতল আলোয়, ভিজে যাবে তোমার তপ্ত তনু।
আমি হিমবাহ হয়ে জুড়িয়ে দিবো,
তোমার অস্থির প্রাণের উষ্ণতা।
আমি তোমার দু'চোখের জল এক নিমেষে শুষে নিবো।
আমি ভালোবাসা,-
আমি মিশে একাকার তোমার রক্তের প্রতিটা কণিকায়।
বাঁচিয়ে রাখবো বলে,
তোমার অস্তিত্ব, আমি আছি,-
তোমার ভালোলাগার গানে, দীঘ' রাত্রিযাপনে আমি আছি।
তোমার শত অভিমান, অভিযোগে আমি আছি, সাদা বেলির গন্ধে তোমার অভিমান ভাঙাবো বলেই, আমি আছি-
আকাশে ঘন মেঘের তুমুল গজ'নে,
যখন তোমার মন প্রাণ অন্ধকার,-
ঝড়োবাতাসে লন্ডভন্ড চারিদিক,
তোমার মনেও যখন ঝড় বয়ে যায়,-
ঠিক তখন যদি আমার নামে ভিজে উঠে তোমার চোখ,-
তবে বুঝে নিও আমি তোমার ভালোবাসা, - আমি আছি -!