কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি
কথাসাহিত্যিক রিজিয়া রহমান গুরুতর অসুস্থ হয়ে  ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি

ছবি- নেট থেকে


অগ্রজ কথাসাহিত্যিক নিভৃতচারী লেখিকা রিজিয়া রহমান গুরুতর অসুস্থ। শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে রবিবার রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। একুশে পদকপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একমাত্র সন্তান আবদুর রহমান জানান, তার মায়ের বর্তমান অবস্থা ‘কোয়াইট ক্রিটিক্যাল।’ গত প্রায় ছয় মাস ধরেই তিনি কোন না কোন অসুস্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে রবিবার তাকে এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

বর্তমানে তিনি ডাঃ রানা, শামস মনোয়ার ও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে পুত্র আবদুর রহমান বলেন, মা’র শরীরে একসঙ্গে অনেকগুলো অসুখ। কিডনি একদমই কাজ করছে না। হার্ট দুর্বল। এছাড়াও গত বছর থেকে ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। সব মিলিয়ে অবস্থা অত্যন্ত জটিল। বিশেষ করে কিডনি ঠিক না হওয়ায় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। তবে ডায়ালাইসিস চলছে। একইসঙ্গে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে ভর্তির সময় তার হার্টবিট ২০ ছিল। এখন কিছুটা স্বাভাবিক বলে জানান তিনি।

রিজিয়া রহমান বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠতম কথাসাহিত্যিক। তবে রাজধানী শহরে বসবাস করলেও, নাগরিক কোলাহল থেকে নিজেকে সবসময় মুক্ত রেখেছেন। নির্মোহ জীবন কাটিয়েছেন তিনি। আজকের প্রজন্মের পাঠকদের অনেকেই হয়ত তার লেখা সম্পর্কে জানেন না, সাহিত্যের অঙ্গনে রিজিয়া রহমান আলোচিত নাম। বিশেষ শ্রদ্ধার।

রিজিয়া রহমান ১৯৩৯ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে চলে আসেন। লেখালেখির শুরু ষাটের দশকে। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, রম্যরচনা ও শিশুসাহিত্যে তার রয়েছে উল্লেখযোগ্য অবদান। তবে মূল পরিচিতি ঔপন্যাসিক হিসেবেই। তার লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঘর ভাঙা ঘর’, ‘উত্তর পুরুষ’, ‘রক্তের অক্ষর’ ও ‘বং থেকে বাংলা।’

রিজিয়া রহমান উপন্যাসে অবদানের জন্য ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য পরে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান