কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৭তম প্রয়াণ দিবস
কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৭তম প্রয়াণ দিবস

রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের ৬৭তম প্রয়াণ দিবস আজ । ১৯৫৪ সালের এই দিনে পরাবাস্তববাদী কবি কোলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় মারা যান।

‘শরীর রয়েছে, তবু মরে গেছে আমাদের মন/
হেমন্ত আসেনি মাঠে/ হলুদ পাতায় ভরে গেছে হৃদয়ের বন’

কবিতায় এমন ভাষা, রূপ-রস-গন্ধ জীবনান্দ ছাড়া আর কে বিলোতে পারেন?

জন্ম ১৮৯৯ সালে বরিশালে। ১৯২১ সালে কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ। পরে যুক্ত হন শিক্ষকতায়। ভারত ভাগের কিছুদিন আগে স্থায়ী হন কোলকাতায়।

জীবনানন্দ দাশ বাংলা কবিতাকে ঋদ্ধ করেছেন পরম যত্নে। তাঁর কবিতা জুড়ে বাংলার প্রকৃতি, নারী, প্রেম আর একাকিত্ব এসেছে ঘুরেফিরে। কবিতার বালিশে মাথা রেখে শুনেছেন বিপন্ন মানুষের দীর্ঘশ্বাস। যেখানে প্রেম পরিগণিত হয়েছে নিরাক দুপুর কিংবা মৃতপ্রায় হলুদ ঘাসের মতো।

জীবনানন্দ দাশ তাঁর সাহিত্যে ফুটিয়ে তুলেছেন বিপন্ন মানবতার ছবি। আধুনিক নগরজীবনের অবক্ষয়, হতাশা, নিঃসঙ্গতা, সংশয়বোধ উদ্ভাসিত তাঁর লেখনি সত্তায়। ঘুরেফিরে এসেছে পরাবাস্তবতা।  

তাঁর ভাবনার জগৎ জীবনের চেয়ে অধিকতর। বাংলার রূপ দেখে পৃথিবীর ঐশ্বর্য খোঁজার ইচ্ছে জাগেনি তাই। 

কবির মা কুসুম কুমারি দেবী হয়তো পুত্রের মধ্যে তাঁর স্বপ্ন জাগরণের আলো দেখেছিলেন। তাই তো লিখেছিলেন ‘আমাদের দেশে কবে সেই ছেলে হবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।’

এ পৃথিবী একবার পায় তারে, পায় নাকো আর। ২২ অক্টোবর কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চিরন্তন এ কবির। নিজের লেখা কবিতার মতোই হারিয়ে গেছেন। কিন্তু বেঁচে আছেন অনবদ্য কবিতায়।  



সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান