কবি ফরিদ কবিরের জন্ম ২২ জানুয়ারি ১৯৫৯ সালে ঢাকায়।
ফরিদ কবির প্রচলিত কবিতা রচনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীকালে ক্রমাগত নিরীক্ষায় তিনি ও তাঁর বন্ধুরা বাংলা কবিতাকে নিয়ে যান এক নতুন গন্তব্যের দিকে। আশির দশকে নিজস্ব কাব্যভাষাণ্বেষী একদল কবি যাদের সচেতন বাছ-বিচার দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলেছিল বাংলাদেশের তৎপরবর্তী ভাষা-সাহিত্যে, তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। দেশভাগোত্তর দুই বাংলার কবি লেখকদের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ পুনর্গঠনে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ও সাংগঠনিক।
সবশেষ বইমেলায় তাঁর প্রেমের কবিতার সংকলন ‘প্রেমমন্ত্র’ প্রকাশিত হয়েছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে। স্বনামধন্য ৩১ জন শিল্পীর পেইন্টিংকে বাঁপাশে রেখে বইটিতে স্থান পাওয়া কবিতার সংখ্যাও ৩১টি, যা এক অমূল্য চিত্রকর্ম ও কাব্যের স্মারক হয়ে উঠেছে। কবিরের কবিতাসংগ্রহ ‘আমার কবিতা’ এবং আত্মজৈবনিক বই ‘আমার গল্প’ আলোড়ন তুলেছে বাংলা ভাষার পাঠকদের মধ্যে।
ওড়ে ঘুম ওড়ে গাঙচিল, অনন্ত দরোজাগুচ্ছ, মন্ত্র, ‘ওম প্রকৃতি ওম প্রেম’ ফরিদ কবিরকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে বাংলা ভাষার একজন অনস্বীকার্য কবি হিসেবে। ব্যাংকিং ও সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু করা ফরিদ কবিরের উল্লেখযোগ্য অবদান আছে দেশের মুদ্রণসাংবাদিকতার বিকাশে। এছাড়াও সাপ্তাহিক কাগজ ও মাসিক নতুনধারা সম্পাদনা করেছেন।
পেশায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির পরিচালক ফরিদ কবির বেশ কিছু কবিতা ও গল্প সংকলন সম্পাদনা করেছেন। অনুবাদ করেছেন দুটি বই। তাঁর জন্মদিনে সাহিত্যবাতার্ পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও লাল গোলাপের শুভেচ্ছা ।