আজ জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ এর জন্মদিন।
একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত আইনজীবী এড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ১৯৫৭ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জামালপুর জেলা, মাদারগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নলছিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পিতা- এম. এ সামাদ, মাতা- জহুরা খাতুন । ০৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি বাবা-মা’র দ্বিতীয় সন্তান।জীবন সঙ্গী ডা: সাজ্দা -ই-জান্নাত, গাইনী বিশেষজ্ঞ, উপ-পরিচালক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, জামালপুরে কর্মরত। ১৯৮৫ সালের ০৯ আগস্ট তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পারিবারিক জীবনে তাদের এক কন্যা- রিহান তাইয়্যাবা বিল্লাহ্ ও এক পুত্র- মাহিন মুতাসিম বিল্লাহ্।
পিতার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির মাধ্যমে তার শিক্ষা জীবনের শুরু এবং সেখান থেকেই ১৯৭৪ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা (ম্যাট্রিক), ১৯৭৯ সালে জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা (ইন্টারমিডিয়েট), এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালে এম.এস.এস ( রাষ্ট্রবিজ্ঞান) ও এল.এল.বি সম্পন্ন করেন।
‘বক্তৃতা যদি কোন শিল্প হয়, নিঃসন্দেহে সেই শিল্পের একজন নিপুণ কারিগর’- মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ। ১৯৭৯ সালে তিনি জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ১৯৭৯-৮০, ও ১৯৮০-৮১ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলে পরপর দুই বার সাধারণ সম্পাদক (জি.এস) নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে জামালপুর জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এরপর ১৯৯১-৯৬ সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৯৬-২০১১ সহ-সভাপতি ২০১১-২০১৫ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ২০১৫ সাল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি তার মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা ও আন্তরিকতার অসম্ভব সমন্বয় ঘটিয়ে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ কে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
মিষ্টভাষী, সদালাপী, প্রখ্যাত আইনজীবী এড.মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইনজীবী এবং ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী হিসাবে তালিকা ভুক্ত হন। ১৯৯৫ সালে তিনি জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং চারবার যথাক্রমে ২০০৭, ২০০৮, ২০১১,ও ২০১৯ সালে সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
একজন দক্ষ সংগঠক, কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী এড. মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ’র প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “লাবন্যে জড়ানো পাপ” ইতোমধ্যে যথেষ্ট পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে।রাজনীতি ও পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া খেলাধুলা সহ নানামুখী কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে চলেছেন। একাধারে তিনি জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ক্রীড়া সংস্থা, শিল্পকলা একাডেমি, পাবলিক লাইব্রেরী-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত আছেন। গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে একটি মাদ্রাসা ও মসজিদসহ কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন ।
সৌখিন, ভ্রমণ-পিপাসু, প্রতিশ্রুতিশীল, পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসাবে তিনি সর্ব মহলে সমাদৃত। ইতোমধ্যে সস্ত্রীক পবিত্র হজ্ব ব্রত পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, ডেনমার্ক সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।