সময়ের কবি মানিক বৈরাগী ,শৈশব থেকেই পারিবারিক সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক সচেতন পরিবারে জন্মগ্রহন করেন ।
শৈশব থেকেই জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন খেলাঘর আসর মাতামুহুরি খেলাঘর আসর দিয়ে সাহিত্য সৃংস্কৃতি পরিবেশে বড়ে উঠা পরিচয়। সেই শৈশব থেকেই গণ সঙ্গীত, আবৃত্তি শেখা আর খেলাঘর এর দেয়ালিকায় লেখা ছাপানোর উৎসাহ থেকে ছড়া'র সাথে সখ্যতা
ক্লাস সেভেনে প্রথম প্রিন্ট আকারে ছড়া প্রকাশিত হয়।
অধ্যাপক কবি রাহগীর মাহমুদ এর ছোট কাগজে সেখান থেকে ছড়া লেখা কৈশোরে নিজ উদ্যোগে ছড়া পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদক
'পন্ড শ্রম"
তারুণ্যে এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও কাব্য আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন সেই সময় প্রকাশ করেন ভাজ পত্রিকা " মুক্তির উল্লাস"
এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন হত্যার উদ্যেশ্য হামলা করলে
পড়ালেখায় ছেদ পড়ে।
কক্সবাজার কলেজে বিএ পাশ পরিক্ষা ও তিন টি দেয়া হয়নি
কারণ তখন ছাত্র সংসদ ছিল সেই মৌলবাদী ছাত্র সংগঠনের দখলে। তাদের চাঁদা দিয়ে পরিক্ষা দিতে ইচ্ছে না করায় আর দি নাই
এরপর ধারাবাহিক ছাত্ররাজনীতি ও দলিয় রাজনীতি।
বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন।
জেলা ছাত্রলীগের ও গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন।
বিগত চার দলিয় জোট সরকারের সময়ে বহু মামলার ফেরারি জীবন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার, রিমান্ড, ও জেল খাটা।পুলিশি রিমান্ডের কারণে আজ শারিরীক সক্ষমতা রহিত অবস্থায় আছি।
জেল ও ফেরারি জীবনের কারণে জন্মদাতা পিতা মাতার নামাজে জানাজা ও পড়তে দেয়া হয়নি
জোট সরকারের সময়ে ছাত্রদল যুবদলের ক্যাড়ারা আমার থাকার ঘর হামলা করে ভেঙ্গে দেয়
পুড়িয়ে কয়েক লক্ষ টাকার নিজ সংগ্রামের বই , জেল থেকে বের হয়ে দেখি আমার জন্য রাজনীতিতে শূণ্য স্থান কোথাও নেই
তারপর আবার ও ফিরে আসা লেখালেখির জগতে
প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থ
তিনটি
১গহিনে দ্রোহ নীল
২-শুভ্রতার কলঙ্ক মুখস্থ করেছি
৩-নৈনিতালের দিন
শিশুতোষ গল্প গ্রন্থ দুটি
১-বন বিহঙ্গের কথা
২-ইরাবতী ও কালাদান
২০২০এ আসছে শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে কবিতা গ্রন্থ মৃত্যুর গান প্রচ্ছদ করেছেন নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
বর্ণচাষ থেকে কবিতা গ্রন্থ
শের এ মানিক বৈরাগী
প্রচ্ছদ
নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
বিয়ে
বিবাহ বিরোধী অবস্থান ও ঘোষণা থেকেও
ভাই বোন মিলে হটাৎ এসে জোরপূর্বক কক্সবাজারের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আটকে রেখে বিয়েতে সম্মতি আদায়
জন্মদিনের কবিতা
যিশুর বুক
হেই দুনিয়া তোমার রাজ্যে কখনোই মানুষ হয়ে জন্মাতে চাইনি
মানুষ তো হাবিল কাবিলের জাত তাই মানুষের মাঝে রক্তপাত
হে মানুষ তোমরা কি কখনো দেখেছো উদ্ভিদ উদ্ভিদের করেছে ক্ষতি
হে মানুষ তোমরা কি কখনো দেখেছো গোলাপ কতৃক গন্ধরাজের ক্ষতি
হে মানুষ তোমরা কি কখনো দেখেছো বাঘ সিংহ খাবার মজুদ করতে
হে মানুষ তোমরা কি কখনো চিন্তা করেছো বিনাবাক্যে কাকের উপকার
হে মানুষ তোমরা কি কখনো দেখেছো উড়ন্ত শকুন কে মানুষ খুন করতে
আমি যুদ্ধবিধ্বস্ত বিংশ শতকে মানুষ রূপে জন্মাতে চাইনি
পিতা মাতার অন্তিম বিনোদনের সর্বকনিষ্ঠ হাবিল কাবিলের জাত
প্রভুর কাছে প্রার্থনয় বলেছি , অন্তত অর্জুন গাছ করে যেনো পাঠায়
মহাপ্রভু আমার কথা রাখেনি,আমাকে হাবিল কাবিলের উত্তরাধিকার করলো
হে মহাপ্রভু জীবনের অর্ধশতকের প্রারম্ভিকে তাকিয়ে দেখি পেরেক বিদ্ধ জিশুর বুক।