কলকাতায় অষ্টম বাংলাদেশ বইমেলা শুরু
কলকাতায় অষ্টম বাংলাদেশ বইমেলা শুরু

কলকাতা থেকে: অষ্টম বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় শুরু হলো বাংলাদেশ বইমেলা-২০১৮। কলকাতার রবীন্দ্র সদনের বিপরীতে মোহরকুঞ্জে শুক্রবার ( ২ নভেম্বর) শুরু হওয়া এ মেলা দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা রেখে চলবে আগামী ১১তারিখ পর্যন্ত ।

তবে শনিবার ও রবিবার মেলা খোলা থাকবে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত । এবার মেলায় অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশের ৬৯ টি প্রকাশনা সংস্থা।

কলকাতাস্থত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি-ঢাকার সম্মিলিত উদ্যোগ্র এই মেলার সঙ্গেই প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা। এতে অংশগ্রহণ করবেন বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা।

শুক্রবার বিকালে এই বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র দেবাশিস কুমার, বাংলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর শামসুজ্জামান খান, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশের লেখক ও গবেষক প্রফেসর রতন সিদ্দিকী, কলকাতার প্রকাশক ও লেখক ত্রিদিব চ্যাটার্জী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন ‘বাংলা কেবলমাত্র বাংলাদেশের মানুষের ভাষাই নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভাষাও বাংলা। তাই বাংলাদেশের লেখকদের বইয়ের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বইমেলা সে আগ্রহ পূরণের কাজটি করে থাকে।’

তিনি বলেন ‘ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রসার পাওয়ার মুদ্রণ আকারে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই ধরনের বইমেলার মাধ্যমে মুদ্রণ আকারে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকবে যা আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ তৈরির জন্য খুব জরুরি।’

তার মতে- ‘যতই প্রযুক্তির বিকাশ হোক না কেন, তার মধ্যেও বইয়ের কদর রয়েছে। বই এখনও প্রকাশিত হচ্ছে এবং বই সংগ্রহের প্রবৃত্তি থাকবে। সর্বোপরি প্রকাশিত বই ধরে যে আনন্দ পাওয়া যায় সেটাও থাকবে বলেই মনে হয়।’

লেখক ও গবেষক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, বই বাঙালির কাছে অনেক প্রিয় একটি বিষয়। তা বাংলাদেশের বাঙালি হোক বা পশ্চিমবঙ্গের। বইয়ের প্রতি সকলেই প্রবল আগ্রহ থাকে।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান