কালি ও কলম । ছবি: সংগৃহীত
স্টাফ রিপোর্ট :
বাংলাদেশের তরুণদের সাহিত্যচর্চা ও সাধনাকে গতিশীল এবং সাহিত্যের বিকাশ ও সৃজন উদ্যোগকে দীপিত করার লক্ষ্যে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে প্রদান করে আসছে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার।
রই ক্রমান্বয়ে কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার ২০১৮ তে ইমরান মাহফুজের ‘দীর্ঘস্থায়ী শোকসভা’কে পুরস্কৃত করে। দীর্ঘস্থায়ী শোকসভা ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ঐতিহ্য। অথচ এই পুরস্কারের বিপরীতে বই আহবানে কালি ও কলমের শর্ত ছিল-
‘পুরস্কারের জন্যে ১৮ থেকে ৪০ বছর (গ্রন্থ প্রকাশকালে অনূর্ধ্ব ৪০ বছর) বয়সী বাংলাদেশি কবি ও লেখকদের রচিত গ্রন্থ বিবেচিত হবে। ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ এই প্রতিযোগিতায় গ্রহণযোগ্য হবে। আগামী ৩১ অক্টোবর ২০১৮ তারিখের মধ্যে কালি ও কলম দফতরে ছয় কপি বই জমা দিতে হবে।’
বই আহবানের সময় উল্লেখিত শর্ত। ছবি: সংগৃহীতএখানে স্পষ্টতই ইমরান মাহফুজের ‘দীর্ঘস্থায়ী শোকসভা’কে পুরস্কৃত করতে নিজেদের দেওয়া শর্ত লঙ্ঘন করেছে কালি ও কলম।
ইমরান মাহফুজকে দেওয়া কালি ও কলমের চিঠি। ছবি: সংগৃহীত
পুরস্কার সাহিত্যের মান বাড়ায় না। তবে বাংলাদেশে প্রচলিত বিশ্বাসে পুরস্কার সাহিত্যিকের মান বাড়ায়। এর সাথে যুক্ত থাকে প্রকাশকের স্বার্থ, বই বিক্রি তথা বাণিজ্যিক বেশ কিছু দিক। কালি ও কলম সেখানে দাঁড়িয়ে আবারও প্রমাণ করল পুরস্কার সাহিত্যের জন্য নয়। সাহিত্যিকের জন্য।
ইমরান মাহফুজের দীর্ঘস্থায়ী শোকসভা এর প্রকাশকাল। ছবি: সংগৃহীত
এ ধরণের পুরস্কার সাধারণ পাঠকদের একটা নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ করে ফেলে৷ অনেকটা পাঠকদের এজ অ্যা কনজিউমার ট্রিট করা হয়। তারা কী পড়বে সেটা নির্দিষ্ট করে দেওয়া।