আজ প্রয়াত গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের প্রয়াণ দিবস। ২০২১ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে শক্তিশালী এই লেখকের বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪৭ সালের পরে পারিবারিকভাবেই তারা বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) চলে আসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবেই জীবন কাটিয়েছেন।
সমকালীন বাংলা সাহিত্যকে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যারা সমৃদ্ধ করেছেন তাদের অন্যতম হাসান আজিজুল হক। বাংলা ভাষাভাষী সাহিত্য প্রিয় মানুষের কাছে এ সময়ের অন্যতম কথাসাহিত্যক হিসেবেও পরিগণিত তিনি। হাসান আজিজুল হক তার সুঠাম গদ্য এবং মর্মস্পর্শী বর্ণনাভঙ্গির জন্য প্রসিদ্ধ। জীবন সংগ্রামে লিপ্ত মানুষের কথকতা তার গল্প-উপন্যাসের প্রধানতম অনুষঙ্গ। রাঢ বঙ্গ তার অনেক গল্পের পটভূমি।
হাসান আজিজুল হকের প্রথম উপন্যাস ‘আগুনপাখি’। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হচ্ছে আত্মজা ও একটি করবী গাছ, নামহীন গোত্রহীন, আমরা অপেক্ষা করছি, সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য, জীবন ঘষে আগুন, পাতালে হাসপাতালে, রোদে যাব, রাঢ় ও বঙ্গের গল্প, মা ও মেয়ের সংসার বিধবার কথা ও অন্যান্য গল্প।
প্রয়াত এই লেখক লেখালেখি জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ’সাহিত্যরত্ন’ উপাধি লাভ করেন।