পুরুষ সমকামিতার বর্ণনা দিয়ে উপন্যাস লেখা ও বিক্রি করার কারণে চীনে একজন নারী লেখককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই লেখকের নাম লিউ। তবে তিনি পরিচিত তিয়ান ই নামে। তার লেখা বইটির শিরোনাম "অকিউপেশন।"
আনহুই প্রদেশের একটি আদালত গত মাসে তাকে এই সাজা দিয়েছে গ্রন্থে "অশ্লীল দৃশ্য" রাখার কারণে।
আদালত বলছে, "উপন্যাসটিতে পুরুষদের সমকামী আচরণ তুলে ধরা হয়েছে... যার মধ্যে রয়েছে বিকৃত যৌন আচরণ যেমন বলাৎকার এবং গালিগালাজ।"
কিন্তু তাকে এতো দীর্ঘ মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। অনেকেই আদালতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করছেন।
চীনা সংবাদ মাধ্যম বেইজিং নিউজ বলছে, লেখিকা লিউ এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছেন। চীনে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ।
"বাড়াবাড়ি হয়েছে"
লিউকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৩১শে অক্টোবর। পিপলস কোর্ট তাকে এই সাজা দিয়েছে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে "অশালীন বিষয়" তৈরি ও বিক্রি করার দায়ে।
তবে এবিষয়ে বিস্তারিত জানা যেতে শুরু করে এ-সপ্তাহেই। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর এনিয়ে জানাজানি হয়, বিশেষ করে সোশাল মিডিয়াতে এর বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে শুরু করে।
বইটি অনলাইনে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করলে প্রথমে পুলিশকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয়।
থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, লিউ অনলাইনে সাত হাজারেরও বেশি বই বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি আরো কিছু যৌন উদ্দীপনামূলক বই বিক্রি করে আয় করেছেন দেড় লাখ ইউয়ান।
সোশাল মিডিয়াতে অনেকেই বলছেন, লিউকে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটা খুব বেশি বাড়াবাড়ি।
ওয়েইবোতে একজন লিখেছেন, "একটা উপন্যাস লেখার কারণে ১০ বছরের জেল! এটা তো বাড়াবাড়ি হয়ে গেল!"
আরেকজন ২০১৩ সালে চার বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার উল্লেখ করে লিখেছেন, তখন তো ধর্ষণকারীর মাত্র আট বছরের সাজা হয়েছিল!
"ধর্ষণের দায়ে যিনি দোষী সাব্যস্ত হলেন তার সাজা হলো ১০ বছরেরও কম। আর নারী এই লেখককে দেওয়া হলো ১০ বছর!" লিখেছেন অন্য আরেকজন।
সূত্র: বিবিসি