কবি : জয়া ঘটক
তর্পন
একদিন আকাশ ছোঁবো ,দেখো।
একদিন সুজাতা হবো , জেনো!
তথাগতকে পায়েস খাওয়াবোই।
একদিন সকলের মাঝে একা হয়ে
যাওয়া তোমার হাত ধরবোই ,দেখো।
সবাইকে সুখ বিলি করে একদিন
নীলকণ্ঠ এই আমি, চলে যাবো,
নীলকণ্ঠ পাখীর খোঁজে ,অজানা
অচেনা এক দেশে।
তারপর
তারা হবো , দেখো।
শোক
যেন নদীর মতো !
প্রবাহ বজায় রেখেই
চলে।
তবুও
কখনও
শোক শেষ হয়ে গেলে
হাতে থাকে শুধু স্মৃতি।
যা বুকে চেপে বসে।
জগদ্দল পাথরের
মতো!
স্মৃতি
স্মৃতি গুলো খড় কুটোর
মতো উড়ে আসে। তাতে
নিজেকেই খুঁজে মরি!
পাই না তো নিজেকেই !
কিন্তু
এমন তো কথা ছিল না!
অথচ যারা ফিরবে না বলে
বেড়িয়েছিল , তারা সবাই
ফিরে আসলো ঘরে!
আমার কোনো নির্দিষ্ট ঘর
নেই।তাই হয়তো ফেরা
হলো না আর !
প্রেম
ভালোবাসা এলে জীবনে , হৃদয়ে শোনা যায় ঝর্ণার
ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। চাঁদের দিক থেকে মুখ সরিয়ে
কোথায় তাকিয়েছিলে প্রিয় ? এঁকেছিলে যাকে
ভালোবাসার তুলিতে, ভালোবাসা /বাসি শেষ হলে
মুছে দিও না তাকে ঘৃণার ইরেজার দিয়ে।
নারী
আমাকে অস্বীকার করতে পারো
কিন্তু আমার অস্তিত্বকে না ...
আমি নেই তো জগৎ মিথ্যা ।