জন্ম: ০৮ নভেম্বর। যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলায়। তিনি বাংলাদেশের প্রচ্ছদশিল্পে অবদান রেখে চলেছেন তার তুলির আঁচড়ে। ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনায় গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ ও লিটলম্যাগে নান্দনিক প্রচ্ছদ এঁকে চলেছেন নিয়মিতভাবে। এ পর্যন্ত ৮ হাজারেরও বেশি প্রচ্ছদ নির্মান করেছেন তিনি। তরুণ এই চিত্রশিল্পী তরুণ লেখকদের প্রচ্ছদ আঁকতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চারুকলা অনুষদ, ইউডা থেকে ড্রইং এ্যান্ড পেইন্টিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রচ্ছদ কে বেছে নিয়েছেন সেই ছাত্রাবস্থা থেকেই। তিনি একজন বাংলাদেশী চারুকলা শিল্পী, যিনি একজন প্রচ্ছদ শিল্পী হিসেবে দুই বাঙলায় বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন।
সব সুন্দরই শিল্প আর প্রচ্ছদই একটি বইকে আঙ্গিকগত সুন্দর করে তোলে, বিষয়কে প্রকাশ করে। প্রচ্ছদশিল্প মূল্যায়িত হওয়ার বিষয়টি বইয়ের ধরন, বিষয়বস্তু এবং ভেতরকার গতিশীলতার ওপর নির্ভর করে প্রচ্ছদের ধরণ-ঢং ও রং ব্যবহারিত হয়। সে ক্ষেত্রে একজন শিল্পীর যতটা ভূমিকা থাকে তার চেয়ে বেশি ভূমিকা থাকে একজন লেখকের। প্রচ্ছদশিল্পের একজন কর্মী হিসেবে তিনি অবশ্যই মূল্যায়ন করবো লেখকের লেখনিকে। তিনি বিশ্বাস করেন মানুষ যতটা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়, তাকে যেকোনো পোশাকেই ভালো লাগে। প্রচ্ছদটা এমনই। তবুও প্রচ্ছদ একটি বইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, কেননা মানুষের চোখ প্রথমে প্রচ্ছদের দিকেই যায়।
বই এর ক্ষেত্রে শুধু নান্দনিকতা নির্ভর হলে তিনি মনে করেন বইয়ের সাথে প্রতারণা করা হয়। বিষয়বস্তুকে তুলে ধরাই যে প্রচ্ছদ শিল্পের প্রধান কাজ তা ঠিক নয়। বিষয়বস্তু এবং নান্দনিকতা উভয়ের সমষ্টিগত চিন্তা থেকেই কেবল একটি ভালো প্রচ্ছদ হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্বাস করেন।
চারু পিন্টু'র জন্মদিন উপলক্ষে সাহিত্য বার্তা পরিবারের পক্ষ থেকে গুণী এই প্রচ্ছদ শিল্পীকে জন্মদিনে অফুরান শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন। আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, দীর্ঘজীবী হোন।