পারিজাত সেনগুপ্ত : পত্রপত্রিকাগুলির প্রায় অধিকাংশই নিজস্ব পরিমণ্ডল থাকে।
আর সেই পরিমণ্ডলের বাইরের পৃথিবীটি আসলে কিছু শ্রেনীর পত্রপত্রিকা ও সংবাদপত্রের কাছে শুধুই অধরাই তা-নয়,তাঁরা নিজস্ব পৃথিবী বাইরে টিকে প্রত্যক্ষই করতে পারেননা।
এটি বাংলা সাহিত্যের জন্যে শুধুই ক্ষতিকর নয়,একশ্রেনীর সংবাদপত্র ও মাসিক সাময়িক পত্রের কাছে কালো দিকও বটে।লক্ষ্য করলে পাঠক এ-ও প্রত্যক্ষ করতে পারবেন ২০০০ সাল-এর পরবর্তী সময় পর্যন্ত বাংলা কবিতা কিভাবে আবর্তিত হচ্ছে।এই পরিবর্তন অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।কিন্তু সাম্প্রতিককে গ্রহন করতে মানুষের বিলম্ব হয়।
এটি চিরাচরিত নিয়ম।কিন্তু বাংলা কবিতার এই পালাবদলকে, বাংলা কবিতার পূর্বসূরি একশ্রেণীর কবি ও সাহিত্যিকরা নানা ভাবে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছেন। কেউ আবার এর ধারকাছ দিয়েও হাঁটেননি। বিভিন্ন গুষ্টিতে বিভক্ত হয়ে বাংলা কবিতা চিরদিন পথ হেঁটেছে।আজো হাঁটছে।
এটা নতুন কিছু নয়।নতুনের জন্য কিছু ভাবা, নতুনের জন্যই কিছু পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সম্পর্কে কবি রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ ওঁর লেখালেখি শুরুর দিক থেকে অত্যন্ত উদ্যমী ও অতন্ত পরিশ্রমী তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।কবি রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ নিজেও তরুণ। আর তারুণ্য শক্তিকে সবসময় প্রশ্রয় দিয়েছে বর্তমান ও অতীত।নতুন ভাবনাকে দেখে বাঙালীকে নাক সিটকানোর অভ্যাস নতুন কিছু নয়।
তাতে কি? এতে তারুণ্যের থোড়াই কেয়ার! যেমন বলতে খুব গর্ববোধ করছি ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে তরুণ কবি রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ অনলাইন দৈনিক কবিতা পত্রিকাটি শুরু করেছেন।
কেউ কি জানতেন বাংলা সাহিত্যেই কেবল নয়, সারা বিশ্বসাহিত্যে পত্রিকাটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে?অবাক হবেন না,রাজেশের সম্পাদিত 'দৈনিক বজ্রকন্ঠ' বিশ্বের সর্বপ্রথম দৈনিক অনলাইন কবিতা পত্রিকা।যা আর কেউ এমন নজির স্থাপন করতে পারেননি। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকার ২৫০ তম সংখ্যাটি।এই সংখ্যায় কবিতা লিখেছেন বর্তমান সময়ের তাবড় তাবড় কবি।কবি পিয়াস মজিদ,বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়, সানি সরকার,সুবীর সরকার,গিরীশ গৈরিক, বিজয় ঘোষ, কবির কবিতায় ভরে উঠেছে পত্রিকাটি।
কোন দল নয়।কোন গোষ্ঠী নয়। বাংলা কবিতা ও কবিদের এক ছাতার নিছে নিয়ে আসার জন্য অপরিসীম পরিশ্রম চালাচ্ছেন আগরতলা বাসিন্দা এই তরুণ কবি ও বিশ্বের সর্বকালের দীর্ঘস্থায়ী একটি দৈনিক কবিতা পত্রিকার সম্পাদক রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ। ওঁর কথায় 'কবিতাতো সর্বকালের, সর্বসময়ের।কবিতায় বা কবিতা পত্রিকায় আবার বিভাজন কিসের? ব্যাপারটি আমার কখনোই ভালো লাগেনি।আজো লাগেনা' রাজেশ এই প্রসঙ্গে আরো সংযোজন করেন 'দৈনিক বজ্রকন্ঠ করার জন্যে আমাকে দীর্ঘসময় ভাবনাচিন্তা করতে হয়েছে। আমি জানতাম এই পত্রিকাটি চালাতে গিয়ে বহু ঝড়ঝাপটারও সম্মুখীন হতে হবে,এবং হতে হয়েছে।আজো হচ্ছে।
' ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই সম্পাদক, বাংলা কবিতা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন।তার লেখাতেও প্রস্ফুটিত হয় সেই দৃঢ় ভাবনাগুলি।ইতিমধ্যে রাজেশ অনেকগুলি পুস্তকেরই প্রণেতা। ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার বইগুলি।তবে এখন তার একমাত্র ধ্যান কেবলমাত্র দৈনিক বজ্রকন্ঠ অনলাইন সাময়িক পত্রটিতেই।ইতিমধ্যে এই অনলাইন দৈনিক সাময়িক কবিতাপত্রটি বিশ্বের অসংখ্য বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের মাঝে সাড়া ফেলেছে।