চোখ দু'টো জেগে থাকে জানালার কাঁচে
হৃদয় পড়ে থাকে তোমার কাছে
চোখ দুটো জেগে থাকে জানালার কাঁচে
তুমি তো জানো না গো আমার এ হাল
তুমি তো খবর রাখো আকাশ ও পাতাল
তোমার সুরের মাঝে কে খেলে ব্যাকুল
খুঁজিতে হারিয়ে দেখি এ কুল ও কুল
তুমিতো স্বপনে এসে নীরবে হাসো
দেখিতো হাসির ভেলায় একাকী ভাসো
ভেসে ভেসে আমাকেই বেসেছো ভালো
তবু কেনো লাগে দ্বিধা জমলো কালো।
বুঝি নাই কালো এসে ঘিরিছে আমায়
একদা খুঁজিয়া পাই প্রেমহারা তোমায়
কেনো তুমি প্রেমহারা কাকে দিয়ে প্রেম
প্রশ্নটা বিঁধে বুকে, আমি কি পেলেম ?
একে বুঝি দুর্ভাগা বলে হতভাগা
হয়ে গেছি নিশীথের পাখি-রাতজাগা
শেষে হলো প্রেম দিয়ে কি যে বিনিময়
দ্বিচারিণী জয়ী হলে। প্রেম হলো লয়।
প্রফুল্লচিত্ত বালক
আমি চিনেছি চোখের আদর
চিনেছি মুখের আদর
চিনেছি হৃদভালোবাসা
কি আর দরকার এখানে আমার।
আমি বরং উঠানের সিঁড়ি ধরে ধরে নেমে যাই,
ঠিক নিচের কোঠায়, যেখানে-
দখিনের জানালা,তার ধারে গিয়ে বসি-
সেখানে ঘোড়া দিঘীর পাড়ে পাড়ে
বালক-বাল্মীকির কবিতার ওড়া-ওড়ি দেখা যায় ।
সেখানে নিঝুম দুপুরে রোদহাওয়ায় ভেসে ভেসে নেচে বেড়ায়
কমলার মধুর হলুদ রস ফোঁটা ফোঁটা।
আমাকে মুগ্ধ করে
চঞ্চল করে
জাগিয়ে তোলে
চিত্তাকর্ষক সেই সব খেলা
প্রফুল্লচিত্তবালক-যাই, ছুঁতে যাই।
প্রিয়া আমার প্রিয়া
প্রিয়া আমার প্রিয়া
তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি।
নব বাতাসে পেয়ে লিখেছি তোমায়।
তোমাকে তো শরিরে গঠনে আকারে প্রকারে শ্রীঅবয়বে আঁকিনি।
এঁকেছি কবিতা পংতিতে
অলংকার উপমা উতপ্রেক্ষায়।
সে আর তুমি আগ্নেয়লাভা একি কথা প্রিয়া !
চাবুকের নীলকামরে আমাকে ওরা কুচি কুচি চিবিয়েছে, বুঝ নাই ?
কুকুর কামড় হায়েনার কামড়
ত্রিশ লক্ষ হাড়ের পুষ্ঠে ওরা ওদের পেট পুড়িয়েছে।
ওরা তো শুনেনি কোন অনুনয় -
বিনয় আর্তনাদ আর্তস্বর।
তোমার স্বপ্ন আমাকে দিয়েছে ত্রিলোক
সত্য জ্ঞেয়ান
তোমার একশিশির কান্না
এক ম্লানমুখ চাহনি
আমাকে কর্তিত কর্তিত করে।
মুহুর্ত করিনি কুন্ঠা নিজেকে উড়িয়ে তোমাকে জ্যোতিন্দ্রীয় দিতে।
তোমার সমগ্রতায় রচেছো আমার কবর
সে কি আমি বুঝি না ?
শেষে এটমিক বিপ্লবে
প্রেমকে করেছি স্বার্থক।
তুমি জানো যে মেঘপালকের হাওয়ায়
তোমার আমার প্রেম মূর্ত হয়নি।
হয়েছে যে কী ব্যথায় কী প্রসবকষ্টে
তা ছাই, মাটির পেট জানে আর জানি নীলকন্ঠ আমি।
তুমি ? সব বেছে নিলে আমাকেই পাশে ফেলে, বললে - "কবিতা লেখো যে কাব্যে আমি বিস্তৃত রবো "
হ্যা প্রিয়া কবিতা লিখি,
চিরশ্বাশত কবিতা তোমাতেই লিখি।