কবি: নজরুল জাহান
কবি অনেক কিছুরই বিপক্ষে
আমি জীবন নাশক অগ্নি প্রতিরোধক কবি।
এখানে শান্তির বরফ গলা নদী খনন করে চলছি।
আমি অশান্ত হাওয়ার পাথুরে বৃষটি নিক্ষিপ্ত হওয়ার বিপক্ষ এক কবি।
এখানে চনমনে দখিনা হাওয়া আনায়নে
সরস বৃক্ষ বপনের কৃষি কাজ ধরেছি।
অমানবিক নোখ-দন্ত আর হিংসা বিরোধি নিশ্চিত এক কবি
এ মত থেকে মুক্ত হতে হিংসা কার্টার যুক্ত কবিতা উতপাদনের ওয়ার্কশপ করে চলছি।
কামাগ্নি রোপিত পরিযায়ীর শিকার সংসার,
শিশু উতপাটন, স্বামী স্ত্রী উতখাত বিরুদ্ধচারী এক অবিনাশী কবি
মানুষের পরিচ্ছন্ন ভিটে মাটি গড়ার প্রকল্প গ্রহন করেছে
প্রেম যেন পোলার আইস্ক্রিম ইগলু ফাস্ট ফুড
ছন্নছাড়া উচ্ছন্নে যাওয়ার বিরুদ্ধচারী এক দুসাহসী বিএসটিআই কবি
দুস্মনি করতে এক চুলও পিছ পা হবে না
যুদ্ধ ঘোষনা করে পরিযায়ীর শ্বাস রোধ করে দেবে
শ্লোগান- "বিনাশ হোক এ অপপ্রবন্ধের"
ঘুণ স্বভাবী জাতির কীট দেশমার রক্ত মাংস অস্থি খুঁড়ে খায় নীলঠোঁটে
সেই ভৃংগশকুন বিরোধী কবিরা নেমেছে কৃচ্ছাভিযানে সোনার মাকে বাঁচাতে।
নেই ভয়--
সাথে আছে কবির মাপ্রেম।
সেই রাত্রি
সে "রাত্রির" ভোর হয়েছে।
রাত্রিকে চেনা হলো ?
দিন গড়িয়ে শরিরে জড়িয়ে পূরাণ,
হয়েছে সরবর মসৃন আভা-উজ্জ্বল।
মুখ বুক সুখেন অর্কেস্ট্রায়
উদ্বেল উতফুল্ল ঝলমল হাস্যে উদ্দীপ্ত উদ্দীপক।
কিছুরই ম্লানতা রাখে না
চোখেরই নির্বোধজল ডাকে না সেধে
উদাসী ভাব-চোখ রাখে না ভাসায়ে হাওয়ায়,
সকলেই বকুল-সু-দুল সু-মাল্য গলে উজার নাচ্ছে গাচ্ছে, সাজছে সুডোল অংগ কারুকাজে, সে তো আর বায়ুবিকে উবে না।বয়স পেরোয় না, বয়স জোরায়
ভরায় রঞ্জন রশ্নির বসনে।
কতো নিরন্ত, ওভাবে এ ভাবে ফুটবে এখানে
তা কেউই স্বপ্ন কষতে পারে না
স্বপ্নের ভেতরে স্বপ্নই ফোটে
সেই রাত্রি ভাংগার দিন-ই যে এই
ছবিও যে এই
তা তো ক্ষণিকবসন্ত নয়ই -
একটি-ই কবিতার কোটি কবি,
আমার কবিসম্ভাবা বাংলাদেশ
হ্যা সেই বাংলাদেশ,
যা বুকের ভেতর থেকে বেড়ে এই,
কোনো কাঞ্চনেই প্রিয়তরের মুল্য মিলবে না,
সেই রাত্রি-ই এই দিবসের সুর্য।
আহা আজি এ
বসন্ত আসে!
কবিকে কবিতা শোনায় না
বসন্ত আসরে কবি বসন্তকে কবিতা শোনায়।
কবি একবারও ভাবে না কবির কবিতা দিয়েই যে বসন্ত ফুল ফোটায়।
নিজের প্রতি কবি কতই কৃপন !
একবারও কি বলে? "আমার কবিতার মুল্যটি তো দিয়ে যাও !"
তো একদা দেখা হয় কবির বসন্তের সাথে-
কবি হাস্যোজ্জল ছুটে যায় খুব -
যেন সেই দিনটি ফের ফিরে এসেছে কবির !
প্রথমে কবিকে তাঁর রয়ালিটি শোধ দিবে
তারপর, ফের, নিবে কবিতা!
কিন্তু কবির ভাব ও বাস্তবতা সতালু মায়ের পেটে জন্ম নেয়, জন্ম হলো -
মিথ্যুক এক প্রকাশক যার জিভ লোভী সারেমেয়র, সারেমেয় রসালো। তার --
রসশিক্ত বাক ভংগিমা শুনে সরল কবি
বক্র হয়ে এক থাপ্পর বসিয়ে দেয় বসন্তের গালে।
থাপ্পড় খেয়ে বেজে ওঠে গান বসন্তের -
"আ হা আজি এ"... বসন্তের যত ফুল ফোটে
সকল কবির কি রয়ালিটি জোটে ?
মানুষের হচ্ছে না
সেই সকালটাই আসলো যাকে কাল দেখেছি আসতে
তরণীতেই তো সুর্য মেঘডাংগার ওপারে
দেখেছি হাসতে
পাখির ডানা, ফিংগের দোলা নাড়া
দেখেছি রাংতে
খচ্চরের বোকা-ধোঁকা পন্থগুলো
দেখলাম ভাংতে
কেমন লাগলো সেদিন রচিত স্বপ্ন
চাক্ষুস্মানে আঁকতে
বলতেই পারো পকেটে স্মৃতিমেদূরা
পৃষঠাগুলো থাকতে।
আগুনে ঝলক রূপপর্দা পলক পুড়ে
জ্বলবে, ছলক তুলবে
অসংখ্য মুখ ছাই-কাঁই লোগো ঝেড়ে
ফুটবে ও মুখ খুলবে
তুমি বুঝছো খুঁজছো কাঁদছো কি
হাসছো জান না
এই শোনো অপরকে তুলতে গিয়ে মরে না
সুর্য ওঠানো প্রাণ না
সুর্য ফোটানর গানও না, তবে?
সুর্য্যের মুখের সুখটুকুই বুঝি
মানুষের হল না।
যে কৃষাণ আবাদ ভরে ভালোবাসায়
যে সোনালি আলোর রং
ফুটি ফুটি করে,
মনে কতো রং ধরে
ফোটা হলে চারদিক
যাবে ভরে--
দেখা পাবে সুখীমেয়েটির ঘরে ঘরে।
তুমি তার হাতে
আলতো ছোঁয়ায়ে রাখবে মুখ
ঘুম সর্গে চুমুতে যাবে সুখ
পুর্ণ করবে বুক
শ্যামলিমায়,
সেই অন্তরিক্ষের পানে
বৃক্ষ-মানুষ-পক্ষি-দোয়েল-পদ্ম
সাপলা-শালুক-শালিক-টিয়ে, ভোঁদর-
চেয়ে আছে আশা স্নিগ্ধ।
আসছে ধান তোলার লগ্ন।
স্বপ্নর আঁচলে কাজল চোখ এক,
মাঠ প্রান্তর-
চোখে লিরিক-নকশা বাংলার
মরা নদীও স্ফীত হবে বলে
ডাকছে সবাই নিরন্তর।
ঘূণাক্ষরও যায় না বিফলে,
যে কৃষাণ আবাদ ভরে ভালোবাসায়
মাঠ তাঁর জনক জননী সন্তানে,
পুরো হয়ে যায় ঘি-ফলে।
কবিদের হাতে
কবিদের হাতে কি শুধুই কলম ?
কলমও হয়ে যায় কখনো বল্লম ?
কবিদের কবিতা, নিছকই কবিতা ?
না কি কবিতা জনতার সংগীতা ?
'জনতা ও কবি' নয় কোনো আলাদা
জনতার দুর্দিনে কলমটা ভালো-দা ।
মনে পড়ে একুশ ও একাত্তর
মনে পড়ে নব্বইয়ে গণশত্রুর
রোষের স্মৃতি-
ইকবাল ও নুরের মৃত্যুর,
কি- উজ্জ্বল লেখে কবি প্ল্যাকার্ড একটুর।
সেই কবি আছে আজো বাংলাদেশে
ভয় নেই সূর্যটা উঠবে হেসে।
সেই ভালোবাসা স্রোতে
সেই ভালোবাসা স্রোতে ভাসা শিমুলগন্ধ
এখনো কি বয়ে যায় সেই প্রেমিকার দেশে?
প্রেম কি তার দেশে ফোটে আর ঝরে?
মনে বলে, একবার ফুটলে আর না মরে।
ভালোবাসার রক্তাক্ত কবর উঠে ছিল হৃদপিন্ডে হৃপিন্ডে
এখানে প্রেমাগ্নিস্রোত কী ভাব ধরে ভালোবাসায় ছুটে ছিল।
মনের কবর খোঁড়া যতো শিমুল ফাগুন গলে ছিল,
ঊর্ণাভ জাল ফেলা হলে একটান হেইও দুইটান হেইও
যেন চোখ আর রক্ত বহরে রণতরী
সপ্তকোটির নউবহর।
তারপর মতস্যরা
রক্তশিক্ত মাটিচর, গোলাপচর, ভাঁটচর, হলদেটে পউসের সর্সেভার--
একাট্রার রক্ত মিশেলে কলইয়ের নিশির স্নানে বাংলাদেশ ফুটলো।
সেই বংগের সুরসুন্দরী
আয়নায় দৃশ্যমান
হাওয়াতে করে গান
গানেতে ছড়ায় ঘ্রাণ
পাগলও করে যে প্রাণ
অবিনাশি প্রেম
প্রেমাসক্তি দান।
ওড়লেতো ওড়ে
প্রেম ঘোড়ে
ওম দেওয়া হাওয়া তোড়ে।