নজির আহমেদ এর চারটি কবিতা
কবি : নজির আহমেদ
পরিব্রাজক
আমার ধর্মের নাম হলো ভালোবাসা,
গাঁথি মানুষে শেকড়।
মানুষকে পাঠ করে,ভালোবেসে স্পর্শ করতে চাই
মানবিক উৎকর্ষতার শিখর।
নিসর্গের প্রাকৃতিক প্রাণপ্রাচুর্যে ধ্যানমগ্ন
আমি এক পরিব্রাজক।
এক ও অভিন্ন যাত্রায় ভিন্ন এবং বিভিন্ন মাত্রাযোগ
আমাকে দ্যায় কবিতার ছবক....
বিস্ময়
মাঝেমধ্যে ঘটনার ঘনঘটায় কিংকর্তব্যবিমূঢ়
হয়ে যাই অবাক ও হতবাক
বিস্ময়াভিভূত দৃষ্টিতে,সৃষ্টিতে আত্নপ্রকাশ করে
জীবনের জটিল ও কঠিন বাঁক!
ঘাতক পাতক ও প্রতারক এক ও অভিন্ন মানুষের সুরতে ভিন্নভিন্নরূপে হাসে
ত্রাসে ও সর্বনাশে-স্বভাবে ঋজু এবং উদ্ধত
মতে অটল ও আপোষহীন,বিনয়ে খাই ঘুরপাক
বলতে গেলে শ্রোতা বলে,আজ থাক!
একাল সেকাল
কুড়িতে এক ছুড়ি বলেছিলো, ভালোবাসি।
ভেবেছিলাম,হৃদয়টা এখনই দিয়ে দিলে হয়তোবা
হারিয়ে বসবে কোথাও।
বললাম__এখনও তুমি অপ্রাপ্ত বয়স্কা কিশোরী।
তোমার জন্যই রেখে দিলাম;প্রাপ্তবয়স্কা হলে চেয়ে নিও।
প্রাপ্ত বয়স্কা হবার আগেই মেয়েটি ছেড়েছে ঘর,
অন্যহাত ধরে।সেদিনের সেই ছুড়ি,
বছর বছর মা হতে গিয়ে এখন ত্রিশেই যেন বুড়ি!
০৭ জানুয়ারী,২০১৯খ্রিষ্টাব্দ।
প্রত্যাবর্তন
প্রত্যাবর্তনের দিন গুনছে ফাল্গুনের প্রজাপতি
সর্ষে ক্ষেতে হাসছে ফুল
ভ্রমরার গুন্জন নিয়ে উত্তরমুখী পবন ধাবমান
হিম কষ্টের ভ্রমণ চিত্রে আমি
বিশ্বাসের বহুব্রীহি স্পর্শ ঘুড়ি উড়াই নীল আকাশে...
করমর্দন করতে চাইলেই চিহ্নিত সুখী মানুষেরা
ব্যস্ততার কপাট খুলে দ্যায়
কালো ফলকে ফুল-পাখি,আকাশ-নদী ও পাহাড়
আঁকতে গেলেই বারুদ সভ্যতার ভ্রুকুটি
নীরবতার গোপনে একাকী পুড়তে পুড়তে পুড়তে
হেঁটে চলেছি প্রত্যাবর্তনের ইশারায়...