কবি হেনরী স্বপন'র নাতনি
এক.
ভোরের দেশে নাকি ?
আলসে’ খোকাখুকি
ঘুমিয়ে ওঠে কাল্ সে ?
.
পড়তে পড়তে শুয়ে পরা
একটা ফড়িং দেয় না ধরা।
বরফ ঝরায় বৃষ্টি
পাটালি গুড় মিষ্টি।
.
পড়তে পড়তে পাখির মন
নাতনি বাড়ি আরলিংটন।
দুই.
হাসের ছানা, দুধের ক্ষীর
হাসতে মান্, পরির ভিড়।
ঝিলিক দিচ্ছে বাইরে রোদ
পরিরা সব ওড়ায় পারদ।
.
পারদ উড়লে পালায় জ্বর
বাঁশ বাগানের মাথার উপর।
মাথা ভরতি এক গাদা চুল
ভালুক চুলে লাজুক শাপলা ফুল।
.
ফুলের বনে একলা মনে, বেড়ায় পরি ছুটে
স্বপ্ন ভেঙে, খুব সকালে মায়ের সঙ্গে ওঠে।
তিন.
মায়ের মুখটা হঠাৎ হলো হেলোইনের হুলো
বোকা হুলোর বাচ্চাগুলো নরম নরম তুলো।
.
মায়ের মুখের আদল-বদল
করা কঠিন নাতনি ;
ছোট্ট বেলার মা-ও ছিল,
মন্ডা মিঠাই চাটনী।
,
দুরন্ত নয় দুষ্টমি নয় একলা পরি ঘুমায় খাটে
খাটের উপর পান্ডা হালুম বেজায় ঝগরাটে।
.
গোলমেলে সব খেলার সাথী
পুতুল খেলনারা ;
বাঘটা ভীষন হালুম-খালুম
চেঁচিয়ে মাতায় পাড়া।
.
টফি খায় না, জুস- লেবেঞ্চুষ এসব খেতেও মানা
নাতনি তো নয়, আদুরে সে, মায়ের বেড়াল ছানা।
চার
বাবার সঙ্গে মায়ের সঙ্গে একটা টিয়ে
বরফ কুচির ঝড় দেখছে বাইরে গিয়ে...
.
উলুক ভালুক, শাপলা শালুক
বিচ্ছু-টি নেই, কিচ্ছুটি নেই।
ফুরফুরিয়ে উড়ছে হাজার প্রজাপতি
বরফগুলো কলম্বাসের শুভ্রজাতি...।
.
লাল জ্যাকেটের টোপর পরা টিয়ের মাথায়
পশমি বরফ কুচিগুলো জমছে ক্যাটের গায়।
পাঁচ
অল্প অল্প পড়াশুনা, অধিক সময় খেলা
খেলতে খেলতে হারিয়ে যাচ্ছে মেলা--
পরির ছোট্ট বেলা।
.
সকাল হলেই খুলে বসে, ল্যাপটপের খাতা
লিখবে না-কি, ভাবছে, রঙিন ছাতা--
আঁকবে সবুজ পাতা।
.
মাউসটা তো, দৌড়ে পালায় বাবার কম্পুটরে
ফেউরি টেলস” শুনতে শুনতে ঘরে--
হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়ে।
.
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখে, একটা পুঁচকে ছোঁড়া
টগ-বগিয়ে যাচ্ছে ছুটে, রাজকুমারের ঘোড়া।