নীলিমা শামীম'র ৪টি কবিতা
নীলিমা শামীম'র ৪টি কবিতা

কবি: নীলিমা শামীম

বাস দূর্ঘটনা

নিথর দেহ দুইখানা, নিস্তব্ধ পুরা শহর !
হঠাৎ আসা বাসখানি করলো কি খবর ,
রাজিব - দিয়া আরো অনেকে ছিল ফুটপাত
নেশালো ড্রাইভার ছাত্রদের উপর হানলো নিপাত ।

যে যার মতো বাচার আশায় ছুটলো সকলে মিলিয়া
ঝাপিয়ে বাস উঠিলো চড়ে আহা দুজনার উপরে গিয়া,
সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়ায় খবর ছড়ালো ডিজিটাল যুগ ধরে
মা-বাবা ভাই-বোন স্তব্দ হইলো নিহতদের শিরো ধারে ।

নিস্তব্ধ সহপাটি ,স্তব্দ পরিবার পরিজন হাসিলেন অন্য একজন
শিক্ষার্থীরা হইল কঠোর সারাদেশ জুরে কমলমতিদের কন্ঠে স্লোগান,
লাইসেন্স, ফিটনেস সরকারি কাগজ পত্র সর্বদা সঙ্গে রাখার আহবান
পরিস্থিতির জোরে দেশবাসী অজ্ঞ ছিল চক্ষু খুলিল ছাত্র সবার এখন ।

প্রিয় নেত্রী নিহতদের পরিবারে সঞ্চয় পত্র হস্তান্তর করিলেন চল্লিশ লক্ষ
নোমন্ত্রী দুই পরিবারের সাথে বহন করিলেন শিক্ষার ভার ও দশ লক্ষ,
নয় দফা দাবী ছিল ছাত্রদের দাবিতে ,১১ দফা আলোচনায় রাখিলেন নেত্রী
এখন শুনুন সকল শ্রোতা অবাদ্ব কাজ করবেন প্লিজ হইয়েন না জেলের যাত্রী ।

মৃত্যু কভু আসেনা জানি বিধাতার ইচ্ছা বিহীন ,শান্তনা পত্র হউক মা-বাবার
বিলীন হউক যত অগাছার ,শান্তি ফিরুক দুটি সুন্দর ,সচ্ছল শান্তিময় ঘরের ,
হুশিয়ার  থাকুন  সকল ড্রাইভার ভাই ,পথ চলুন প্রিয় যাত্রী মহাময় এবার
দেশ আমাদের তাই করছি মোনাজাত বাকি জীবনের চাই শুভকামনা সবার ।।

নির্জন

এই নির্জন প্রান্তরে
  বসে একা পাহাড়ে
ভাবচি কি বা জীবনে পেলাম?
শুধু কষ্টের হাহাকারে
তোমায় খুজে চোখ বারে বারে,
মনের জানালায় উকি মেরে দেখি
বেশতো আছি আমি
অন্যদের চাইতেও যদি দূরে।
আপনদের ভালো ভেবে
তোমায় রেখেছিলাম অনুভবে
বাস্তবের চেয়ে বুঝি নেই কিছু?
আজ শুন্য এই হাতে খুজি শুধু বেদনাকে
সুখ পাখি কই তারে চোখে পড়েনারে
সুদুর ঔ ধু ধু বালুচরে,
একা একা হাটি আমি বন প্রান্তরে
যদিও বা তুমি এসে ধরা দাও মোরে।

প্রিয়ার দীর্ঘশ্বাস

মান-অভিমান সেতো এক ভালোবাসার রুপ
অবিচ্ছেদ্য  অংশ,  হৃদয়ের আর্তনাদ স্বরুপ
অভিমানের পালা শেষ , ভালোবাসার শুরু
এই যেন এক হৃদয়ের নিরব বন্ধন৷৷

কবে তোমার অভিমানের,  পালা শেষ হবে?
কবে তুমি ফিরে আসবে? এত অভিমান, এত যন্ত্রণা
এত আকুতি,এত মিনতি, আমি কখনো
জানতে চাইনি, তোমার অভিমানের কারণ।
কখনো বুঝতে চাইনি,
তোমার না বলা কথা, তোমার গভীর প্রেম।

তুমি যন্ত্রণায় নিজেকে জ্বলে পুড়ে শেষ করে দাও
আমি কখনো দেখতে পাইনি সেই নিশ্চুপ ব্যাথা
তোমার ভালোবাসার পরিমাপ, কখনো মাপতে পারিনি।

প্রিয়ার দীর্ঘশ্বাস নিয়ে কেটেছে অশান্ত  বেলা,
প্রতিরাত নির্ঘুম কাটিয়েছো এটা জানি আমি
আমি কখনো রাত জাগার কারণ জানতে চেয়েছি কি?

শুধু প্রশ্ন -----
তোমার একা থাকার কারণ কভু কখনো
খুঁজতে যাইনি কবে তোমার অভিমানের
পালা শেষ হবে? কবে তুমি ফিরে আসবে?

অবাদ্ব্য প্লাবনে তোমাকে  চাই

পৌষের প্রথম শিশির  হীরক ঝলমল
রোদের গুজ্ঞন,
সে আমার মায়াময় শুন্য হাতে
ভরা শ্রাবন।
মাঘের প্রথম কনকনে শীতের
মধুর আলিঙ্গন।
সে আমার জড়ানো পাজরে তোমার
ভালোবাসার স্পন্দন,
প্রভাতে ঝরা বকুলে বিছানো পথ
অপূর্ব উঠান।
যেন তোমার কুড়ানো স্বপ্নের জলছাপ
নিরব ভুবন।।

আসো নদীর স্রোতে আঁজলা ভরে দুজনে
আলোক কুড়াই,
এ জীবনের শেষ পাঠে গিয়ে যেন দুজনাই
পথ না হারাই।
আজন্ম দুঃখ মিলায়ে বুনবো স্বপ্নজাল আখিতে
রঙিন আলপনা-,
গোপনে বুকে ধরে রাখবো বিরহ জ্বালা তবুও
সইবো বেদনা।
হয়তো তুমি বিলীয়মান  পথে খুঁজে ফিরছো--
আজো আমাকে,

তাইতো আমি অন্তরে লালল করি অনুভুতিতে
প্রতিটি মুহুর্তকে।
কত কি আমার মনে রয়েছে নীল রঙের কামনায়
ধূসর হিমবিষণ্নতা,
তোমার জন্য কুড়ায়ে রাখবো যৌবনের শুভ্র বাসনা
মনের মাধুরিতা।
তুমি চাইলে জীবন ভাসিয়ে দেব শুন্য মরুধ্যানে
ফুরাবো সেথায়,
স্বপ্নগুলি হাঁসবে পৌষের অমল ধবল পাল যমুনায়
অপার সিগ্ধতায়।

যেদিন তোমার আসার পথে খুলে দেব মরুদ্যান
আমার হৃদয় -
সেদিন আটলান্টিক শুষে চোঁখের জলধারা
দেব তোমায় ।
এই বসন্তে তুমি এলে সাজাবো বাগান ফুলেল
জ্যোৎস্না ঘাসে,
শিশিরের মাঝে বাসর রচিব দুজনায় প্রেমালাপে
শুধুই ভালোবেসে।
মধুময় হবে রজনী মোদের কাটিবে দ্বি- প্রহর
শত শত বছর,


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান