ছবি : পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের আজকের এ দিনে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।
তাকে দাফন করা হয় ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুরে পৈতৃক বাড়িতে তার প্রিয় ডালিমগাছের তলায়।
১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মোহাম্মাদ জসীমউদ্দীন মোল্লা তার পূর্ণ নাম হলেও তিনি জসীমউদ্দীন নামেই পরিচিত। তার বাবার নাম আনসার উদ্দিন মোল্লা, তিনি পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় এ কবির লেখা উপন্যাস ‘বেদের মেয়ে’, কাব্য ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’, ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘কবর’, আসমানীসহ বিভিন্ন কবিতা পাঠকমনে নাড়া দেয়। তার নকশী কাঁথার মাঠ কাব্যটি দি ফিল্ড অব এমব্রয়ডার্ড কুইল্ট এবং বাঙালির হাসির গল্পগ্রন্থটি ফোক টেল্স অব ইস্ট পাকিস্তান নামে ইংরেজিতে অনূদিত হয়।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৬৮ সালে তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি. লিট উপাধি ও ১৯৭৬ সালে একুশে পদক, ১৯৭৬ ইউনেস্কো পুরস্কার, ১৯৭৮ স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (মরণোত্তর) পান।
১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন জসীমউদ্দীন।