ফরিদা ইয়াসমিন সুমি এর ২০টি কবিতা
এক
একবার নেশা হয়ে গেলে,
গেলাশের শূন্যতাও মদ!
দুই
কার কী এসে যায় আমার রাত্রি জাগরণে?
তোমার চোখ আর বুকের পশমেরা জানে!
তিন
ছিঁড়ে না নিলেও
স্পর্শের মালিকানাটুকু হোক;
নাহয় ভিজলো না ওষ্ঠপুট,
চোখের পাতায় চুমুটা থাকুক!
চার
ছিনতাইয়ের অভিজ্ঞতা নেই একেবারে,
এবার হবে;
উঁকি দেয়া লোমশ বুকটাকে,
ছিনিয়ে নেবো,
বেঁধে নিয়ে প্রেমের বাঁকে।
পাঁচ
লোমশ বুক প্রলুব্ধ করে তুললে অধিকার জন্মে যায় আহ্লাদী আবদারের;
অন্তত একদিনের জন্য ঐশ্বর্যশালী কোরো, ইশ্বর! শুধু একটি দিন!
ছয়
তখন তোমার কাছেই থাকি
তবু উঠি শিরশিরিয়ে,
ডাকনামে ডাকো যদি
বিশেষ সময় ফিসফিসিয়ে!
সাত
আমি লিখছি না, কেউ লিখিয়ে নিচ্ছে,
ভালোবাসছি না, কেউ বাসিয়ে নিচ্ছে,
সুরা খাচ্ছি না, কেউ মাতাল করে দিচ্ছে!
আট
কে ভেবেছে,
এতো ছোট কিছু চিরকালীন হয়?
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু এত্তো বিশাল হয়?
কে ভেবেছে অপেক্ষায় ছিলাম
এর জন্যেই?
কে জেনেছে চুম্বনেই মিলবে এতো উত্তর!
নয়
স্বাধীন-পাখি উড়ে গেলে থাকে মায়া আর বাঁচা,
পরাধীন-পাখির থাকে শুধু শূন্য খাঁচা।
দশ
তুমিও লেখো আজ
লিখব আমিও,
প্রমোদে ডোবা হলে
আমাকে থামিয়ো।
এগারো
ঢেউয়ের মতো চলো কুমার
ঢেউয়ের মতো বলো,
আমি কন্যা ডুইবা মরলে
মন্দ কেন বলো?
বারো
তোমার কি মায়োপিয়া?
আমারও তাই,
এতো কাছে দু'জন
চশমাকে বাই বাই!
তেরো
দূরে গেলে চুরচুর ভেঙে পড়ে স-ব,
কী মিনার, কী মহল, ঐরাবতের রব!
জানতে চেয়ো না কত দূরে কলরব-
শুধু জেনো, দূরে গেলে সব-ই নীরব!
চৌদ্দ
জলকেলি করি, যেন হাঁস
দীঘল চুল ঝাড়ি, যেন নারী,
পালকের খাঁজে জলঝলক
কুড়োনো শামুক ঝিনুক!
দখল করেছ পুরোটাই
বিশ্রান্ত আগুনে পুড়ে ছাই!
পনেরো
দোয়েল হাঁটে আকাশজুড়ে
উঠোনজুড়ে মেঘ,
এমনতরো ওলট-পালট
প্রেমেরই আবেগ!
ষোলো
বৃষ্টির ঘ্রাণে কিছু মাটি, কিছু গাছ, কিছু আকাশের গন্ধ মিলেমিশে থাকে।
বিশ্বাস না হলে বুকে শুঁকে দ্যাখো!
সতেরো
কুয়োর জলে
চাঁদের ছায়ায়
রাতের মায়া!
আকাশ জুড়ে
তারার মেলায়
প্রেমের কায়া।
উড়ে যাওয়া
পাখির ডানায়
তোমার ছায়া।
আঠারো
তাকে ছিল দুইজোড়া বই
দুইদেহ দুই মনবই।
একজোড়া আমি
আর একজোড়া তুমি,
দেহমনে অ-মিলনে
যেতে হবে থামি।
উনিশ
বুকের পাঁজরে ছড়িয়েছ শেকড়
নীলাভ-ফুল হয়ে ফুটেছে স্তনবৃন্তে,
অতলে পেতেছো ধীবরের সূক্ষ্ম-জাল
একত্রে কামনার্ত তাই ছড়ানো মীনেরা,
নোনাজলের আনন্দরা উদগ্র, চঞ্চল
কী করে দূরে থাকি বলো, প্রজাপতি...?
বিশ
সম্ভাবনা সত্ত্বেও কাঠগোলাপ না হয়ে
হলাম টবে ফোটা জবা, ভালোবাসতে বলে!
সমুদ্দুর না-হয়ে হলাম অগভীর দিঘি,
এমনি আরো কত কী...
শুধু তুমি ভালোবাসতে বলে!
হাওয়া ভালোবাসো বলে অদৃশ্য হলাম
ছুঁয়ে থাকবো বলে-
অথচ, বেমালুম গেলে ভুলে!
নিঃশব্দে বয়ে যাই আজও
খিড়কি খুলে দিলে,
শুধু তুমি ভালোবাসবে বলে!
এক
একবার নেশা হয়ে গেলে,
গেলাশের শূন্যতাও মদ!
দুই
কার কী এসে যায় আমার রাত্রি জাগরণে?
তোমার চোখ আর বুকের পশমেরা জানে!
তিন
ছিঁড়ে না নিলেও
স্পর্শের মালিকানাটুকু হোক;
নাহয় ভিজলো না ওষ্ঠপুট,
চোখের পাতায় চুমুটা থাকুক!
চার
ছিনতাইয়ের অভিজ্ঞতা নেই একেবারে,
এবার হবে;
উঁকি দেয়া লোমশ বুকটাকে,
ছিনিয়ে নেবো,
বেঁধে নিয়ে প্রেমের বাঁকে।
পাঁচ
লোমশ বুক প্রলুব্ধ করে তুললে অধিকার জন্মে যায় আহ্লাদী আবদারের;
অন্তত একদিনের জন্য ঐশ্বর্যশালী কোরো, ইশ্বর! শুধু একটি দিন!
ছয়
তখন তোমার কাছেই থাকি
তবু উঠি শিরশিরিয়ে,
ডাকনামে ডাকো যদি
বিশেষ সময় ফিসফিসিয়ে!
সাত
আমি লিখছি না, কেউ লিখিয়ে নিচ্ছে,
ভালোবাসছি না, কেউ বাসিয়ে নিচ্ছে,
সুরা খাচ্ছি না, কেউ মাতাল করে দিচ্ছে!
আট
কে ভেবেছে,
এতো ছোট কিছু চিরকালীন হয়?
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কিছু এত্তো বিশাল হয়?
কে ভেবেছে অপেক্ষায় ছিলাম
এর জন্যেই?
কে জেনেছে চুম্বনেই মিলবে এতো উত্তর!
নয়
স্বাধীন-পাখি উড়ে গেলে থাকে মায়া আর বাঁচা,
পরাধীন-পাখির থাকে শুধু শূন্য খাঁচা।
দশ
তুমিও লেখো আজ
লিখব আমিও,
প্রমোদে ডোবা হলে
আমাকে থামিয়ো।
এগারো
ঢেউয়ের মতো চলো কুমার
ঢেউয়ের মতো বলো,
আমি কন্যা ডুইবা মরলে
মন্দ কেন বলো?
বারো
তোমার কি মায়োপিয়া?
আমারও তাই,
এতো কাছে দু'জন
চশমাকে বাই বাই!
তেরো
দূরে গেলে চুরচুর ভেঙে পড়ে স-ব,
কী মিনার, কী মহল, ঐরাবতের রব!
জানতে চেয়ো না কত দূরে কলরব-
শুধু জেনো, দূরে গেলে সব-ই নীরব!
চৌদ্দ
জলকেলি করি, যেন হাঁস
দীঘল চুল ঝাড়ি, যেন নারী,
পালকের খাঁজে জলঝলক
কুড়োনো শামুক ঝিনুক!
দখল করেছ পুরোটাই
বিশ্রান্ত আগুনে পুড়ে ছাই!
পনেরো
দোয়েল হাঁটে আকাশজুড়ে
উঠোনজুড়ে মেঘ,
এমনতরো ওলট-পালট
প্রেমেরই আবেগ!
ষোলো
বৃষ্টির ঘ্রাণে কিছু মাটি, কিছু গাছ, কিছু আকাশের গন্ধ মিলেমিশে থাকে।
বিশ্বাস না হলে বুকে শুঁকে দ্যাখো!
সতেরো
কুয়োর জলে
চাঁদের ছায়ায়
রাতের মায়া!
আকাশ জুড়ে
তারার মেলায়
প্রেমের কায়া।
উড়ে যাওয়া
পাখির ডানায়
তোমার ছায়া।
আঠারো
তাকে ছিল দুইজোড়া বই
দুইদেহ দুই মনবই।
একজোড়া আমি
আর একজোড়া তুমি,
দেহমনে অ-মিলনে
যেতে হবে থামি।
উনিশ
বুকের পাঁজরে ছড়িয়েছ শেকড়
নীলাভ-ফুল হয়ে ফুটেছে স্তনবৃন্তে,
অতলে পেতেছো ধীবরের সূক্ষ্ম-জাল
একত্রে কামনার্ত তাই ছড়ানো মীনেরা,
নোনাজলের আনন্দরা উদগ্র, চঞ্চল
কী করে দূরে থাকি বলো, প্রজাপতি...?
বিশ
সম্ভাবনা সত্ত্বেও কাঠগোলাপ না হয়ে
হলাম টবে ফোটা জবা, ভালোবাসতে বলে!
সমুদ্দুর না-হয়ে হলাম অগভীর দিঘি,
এমনি আরো কত কী...
শুধু তুমি ভালোবাসতে বলে!
হাওয়া ভালোবাসো বলে অদৃশ্য হলাম
ছুঁয়ে থাকবো বলে-
অথচ, বেমালুম গেলে ভুলে!
নিঃশব্দে বয়ে যাই আজও
খিড়কি খুলে দিলে,
শুধু তুমি ভালোবাসবে বলে!