প্রায় তিন দশক ধরে অঘোরপন্থির মতো কাব্যে নিমজ্জিত কবি মোহাম্মদ হোসাইন।
বছর বায়ান্ন পূর্বে এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সৃষ্টিশীল
জীবনের সহযাত্রী ও আত্মজনেরা তাঁকে অভিনন্দন জানাতে আজই মিলিত হই।
কবি ও
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শামসুল আলম সেলিমের কাছ থেকে দিনের দ্বিতীয় ভাগে
বৃন্দস্বর আড্ডাখানায় মিলিত হবার এত্তেলা আসে। তিনিই যোগাযোগ করেন বয়সে
বত্তর থেকে আফের্তা বৃন্দস্বরীদের সঙ্গে। জেরা-জবরের সুযোগ না-দিয়ে আনখা
চমক দিতে আমি ডেকে নিয়ে আসি মোহাম্মদ হোসাইনকে।
একে একে হাজির-নাজির হলেন সভাশুভ্র কবি এ কে শেরাম, সহাস উজ্জ্বল কবি
এনায়েত হাসান মানিক, আনন্দ সুন্দর ভ্রামণিক ও ছড়াকার মিলু কাশেম। উপস্থিত
হন জি কে কিবরিয়া, রানাকুমার সিংহ, খোকন ফকির, খতিবুর রহমান জামাল, মনজুর
মোহাম্মদ, সৈয়দ মুক্তদা হামিদ, আশরাফুল ইসলাম অনি প্রমুখ।
নিত্যানন্দময়
কবি মোহাম্মদ হোসাইনের হাতে তোহফা হিশেবে আমরা অর্পণ করি ফুলের
তোড়া---হৃদয়ের অর্ঘ্য। কবিও তসলিমের সঙ্গে গ্রহণ করেন। শরমিন্দা হয়ে
হাসিমুখে ছবি তোলেন। কেক-মিষ্টি মুখে নেন। অন্যকেও খাইয়ে দেন। ছবি তোলার
গোপন ইজাজত পেয়ে অনি কর্মটি চালায়।
সকলের সঙ্গে মুসাবিদা করে আমি আর
শেরামদা নিজ নিকেতনে ফেরার উদ্দেশে প্রথম বৃন্দস্বর ত্যাগ করি। আগামীদিনেও
ইয়াদ করিয়ে দেবে আজকের এই আনন্দ রঙিন মুহূর্তের কথা।
সিলেট
১ অক্টোবর, ২০১৮