আবদুল জলিলঃ “শুদ্ধ প্রকাশ” থেকে অমর একুশে বইমেলা ২০২০- এ আসছে কথাসাহিত্যিক রিপন আহসান ঋতুর উপন্যাস ‘গল্পের মোড়কে মানুষ’। পাওয়া যাবে বইমেলায় শুদ্ধ প্রকাশের ৭০২ নং স্টলে। উপন্যাস সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন, “ উপন্যাসের কাহিনিতে আছে মায়া। আছে প্রেম আর শূন্যতা। আছে বিশ্বাস আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এক গ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ি, উত্তাল কাশ্মীরের শ্রীনগর শহর জুড়ে এই উপন্যাসের বর্ণাঢ্য প্রেক্ষাপট।
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রে থাকা অমিয়
বলতে চেয়েছিল তার নিজের গল্প। ভয়ংকর কঠিন সত্যে মোড়ানো গল্পটা হতে পারতো
একটি মহাকাব্যিক উপন্যাস। কিন্তু মহাকালের পথে হাঁটতে হাঁটতে অমিয়র সাথে
যাদের দেখা হয়, তাদের প্রত্যেকের জীবনই অন্যরকম সব কাহিনিবৃত্তে ভরা। সে
জীবন আরো জটিল মায়ার ঠাসবুনটে মোড়ানো এবং কৌতূহলোদ্দীপক। সেখানে
হর্ষ-বিষাদের নানা রং বেরঙের ঘুড়ি ঘাই মারে প্রতি মুহূর্তে। হাসনাহেনা
নামের একটা মেয়ে ছিল অমিয়র মনের মানুষ। অথচ রুপা আর বন্যা নামের বন্ধুরাই
হাসনাহেনার জানের জান পরানের আধখান। চিত্রশিল্পী সিঁদুল, সাগুফতা আর ডালিয়া
অমিয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু। ডাক্তার শাহনাজ আর কাশ্মীরের ছাত্রনেতা
সারাফ উভয় চরিত্রই অসাধারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কমরেড হুদা স্যার,
গাছপাগল আবদুল কাদের, অঙ্কের মাস্টার জহির, তুলসী, আমলকী প্রত্যেকেই কমবেশি
কাহিনির নিজস্বতা অর্জনে সহায়ক।
বিশেষ কি আছে এই উপন্যাসে? লেখক বলছেন; ‘এখানে আমি সামান্য ইঙ্গিত থেকেই
ব্যক্তি বিশেষের বহুমাত্রিক ছবি এঁকেছি। পুরো উপন্যাস জুড়েই রয়েছে ভাষার
কাব্যিক সুবাস। ভাষাশৈলীর এই কাঠামোটি বাংলা উপন্যাসের পরিচিত ধাঁচের চেয়ে
একটু আলাদা। উপন্যাসে ঘটেছে বিষয় এবং লিখনশৈলীর বিস্তার। সমকাল এবং অতীতের
মেলামেশা এই উপন্যাসে দিয়েছে বিরল সৌন্দর্য। ‘গল্পের মোড়কে মানুষ’ উপন্যাসে
অমিয় বলতে চেয়েছিল যে শূন্যতার গল্প, সেই একক গল্পের সঙ্গে আলাদা আলাদা
আরো অনেক গল্প মিলেমিশে হয়ে উঠেছে একটি বৃহৎ জীবনাখ্যান। বাস্তব জীবনের এমন
বিচিত্র চালচিত্রই এই উপন্যাসের শক্তি।
লেখকের অন্যান্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘যাদুর নীল বেলুন’ (গল্পগ্রন্থ), ‘অতঃপর প্রহসন’ (প্রবন্ধগ্রন্থ)।