অনুষ্ঠানের ছবি _ জাগোনিউজ
পহেলা বৈশাখ ও বাঙালি সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনা ও কবিতা পাঠ করেছেন শরীয়তপুরের কবি-লেখকরা। ১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টায় পৌরসভা মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ শরীয়তপুর জেলা শাখা।
আলোচনা সভায় পহেলা বৈশাখ ও বাঙ্গালি সংস্কৃতি নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ শরীয়তপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কবি মোদাচ্ছের হোসেন।
বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি কবি আসাদুজ্জামান জুয়েলের সভাপতিত্বে আলোচক ছিলেন অধ্যাপক শফিউল বাসার স্বপন, জেলা উদীচী সভাপতি এম এম আলমগীর, কবি শ্যামসুন্দর দেবনাথ ও কবি শাহজালাল মিয়া।আলোচকরা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির জন্য কোন উৎসবমুখর দিন ছিল না। ছিল জমিদারের খাজনা বা কর পরিশোধের দিন। ছিল খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ কৃষকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন। পহেলা বৈশাখে মহাজন ও ব্যবসায়ীরা হালখাতা পালনের মাধ্যমে বকেয়া ঋণ ও পাওনা আদায় করতো। বকেয়া ঋণ ও পাওনা আদায়ের জন্য তারা নানাবিধ নির্যাতন ও অপমান করতো, এখনো তার প্রচলন রয়েছে। এমনই হৃদয়বিদারক ছিল পহেলা বৈশাখ। সেই কলঙ্ক এখন মোচন হয়েছে বা চাপা পড়েছে।
জেলা উদীচী সভাপতি এম এম আলমগীর বলেন, ‘সংস্কৃতি আগে, পরে রাজনীতি। কিন্তু এখন রাজনীতি আগে, পরে হচ্ছে সংস্কৃতি। বর্তমানে কৃষক, গরিব, মেহনতি মানুষের মধ্য থেকে সরে এসেছে পহেলা বৈশাখ। ঢুকে গেছে ধনী, মধ্যবিত্ত ও নাগরিক সমাজের মধ্যে। সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, মৌলবাদ এখন বাঙালি সংস্কৃতির শত্রু।’আলোচনা সভা শেষে কবিতা পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মফিজুল ইসলাম, এএইচ নান্নু, মোতালেব হোসেন, সুদীপ্ত ঘোষ রানা, খান মেহেদী মিজান, ইয়াসিন আযিয, মানিক লাল সাধু, ইশতিয়াক আতিক খান, সাইফ রুদাদ, তারক নাথ কংসবনিক, জেবুন্নেসা সিমী প্রমুখ।