ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিনয়শিল্পী ও বরেণ্য চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব আলোচনা হয়ে গেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলের পর যেকোনো সময় তাঁকে ব্যাংককে নিয়ে যেতে ঢাকায় আসবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এমনটাই জানালেন আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক সোহেল আরমান।
সপ্তাহখানেক আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় ঢাকার তেজগাঁওয়ের ইমপালস
হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আমজাদ হোসেনকে। হাসপাতালে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যা
কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। শুরু থেকেই তাঁকে কৃত্রিম উপায়ে
শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের বরেণ্য এই নির্মাতার
শারীরিক অসুস্থতার খবর শুনে হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মাথায় তাঁর
চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসপাতালে
আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন চিকিৎসক শহীদুল্লাহ সবুজ। তিনি আজ
সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তো আগেই বলেছি, আমজাদ হোসেনের শারীরিক
অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারের ইচ্ছে আমজাদ
হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার, তাই আমরাও পরিবারের
সিদ্ধান্তে রাজি হয়েছি।’
বরেণ্য চলচ্চিত্রকার, গীতিকার ও চিত্রনাট্যকার এবং লেখক আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার খরচ বাবদ ২০ লাখ টাকা এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া বাবদ ২২ লাখ টাকা পরিবারের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ৪২ লাখ টাকার চেক গ্রহণ করেন আমজাদ হোসেনের ছেলে সোহেল আরমান। প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
সোহেল আরমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বাবার চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেবেন, তিনি কথা রেখেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে ব্যাংককে নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসার খরচ বাবদ মোট ৪২ লাখ টাকা দিয়েছেন। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এর মাধ্যমে বাবাকে যে সম্মান দেওয়া হলো, তা আজীবন স্মরণ রাখব।’