কবি : বিশ্বজিৎ লায়েক
কাদের কথা বলছিলাম, কাদের কথা শুনছিলাম
এইখানে রোদ এসে
তোমার মুখে পাপ লিখবে বলে সরে দাঁড়াল নিষ্পাপ
এসো আজ ঢাক বাজাই লোকে অন্তত জানুক আজ আমাদের বিসর্জন
হাত পাতিনি তাই বলে আমার ভিতরে লোভ নেই সেকথা বলছিই না
বাজনা বাজাচ্ছি
লোফালুফি করছি
তাই দেখে ভাবলে ডালপালা খুলে নিয়েছাল ছাড়িয়ে
নুন হলুদ ঘীমাখা বেনিজের মৃতদেহে
তেমন আড়ালে যেও না
ব্যথা নিয়ে তেমন মেঘে যেও না তুমি
বৃষ্টিভরা রাতে উড়ে যাব বাড়ি ফেরার কথা ভাববই না
লাফ মেরে চলে যাব
বন্ধুরা ঢিল ছুড়বে
ক্রোধ নিয়ে এখন ভাবছিই না বরং জলে নেমে সাঁতার দেব হাডুডু খেলব মাঠে
ঠোঁট নিয়েও ভাবব না লিপস্টিক নিয়ে ভাবতে পারি
যদি জলে নেমে দেখি হুইসেল বাজিয়ে ছেড়ে গেল স্টিমার
যদি জলে নেমে দেখি ডুবে যাচ্ছি থই পাচ্ছি না
সবটুকু দিয়ে বলব এই নাও ক্রোধও উপশম
শুধু ইয়ার্কির মত আমাকে ভাসিয়ে দাও একবুক জলে
বিপ্লবে যাচ্ছি না প্রভু
পাখি হয়ে উড়ে যাওয়া যায় পাগল হয়েও পড়ে থাকতে পারি
আকাঙ্ক্ষার শীত নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে আমরা গোল হয়ে বসব
ছবি তুলে পটাপটসেঁটে দেবে ফেসবুকে
লাইক জমবে কিছু কিছু কমেন্টে নামবে বাঘ, বেড়াল, পেঁচা ও রাক্ষস
বিপ্লবে যাচ্ছি না প্রভু
আকাঙ্ক্ষা হয়ে ফুটতে পারি তোমার চৌরাস্তার মোড়ে
রাজা উজির মারাব না
এইটুকু ফুসফুস নিয়ে বড়জোর বাদামতলা থেকে পানপাড়া তক্ যাওয়া যায়
তারবেশি এগোতে গেলে দাঁত ও নখ নিয়ে বসে থাকতে হবে
কখন এসে ডাক পড়ে আসুন আসুন ফাঁকা গাড়ি বসে পড়ুন
কার ডালে গিয়ে বসব
কার মাচায় গিয়ে বাঁধব কোলাহল
হিম্মত নিয়ে বাঁচব বলেই সব দৃশ্যেই ঢুকে যেতে পারব
কোনো বাছবিচার না করেই বলতে পারব
খিঁচুড়িতে সামান্য ধনেপাতা কুচি দিও, লঙ্কা গুঁড়োর বদলে কাঁচা লকলকে ঝাল
আহা মজা নিতে থাকো
লোকাল ট্রেন চলে যাচ্ছে খড়দহ, টিটাগড় পেরিয়ে ব্যারাকপুর
এসো চা খাব
মাইরি বলছি তোমাকে দেখলে লালা আমার গড়াতেই থাকবে
হঠাৎ লাফ মেরে জ্যোৎস্না মেখে ঘুমিয়ে পড়লে
এখানে গভীর ছোঁয়াছুঁয়ি
কাজ নেই বন্ধ হয়ে পড়ে আছে চালের গুদাম
বস্তির চাঁদ শেষটুকু দিয়ে আবার সাজাচ্ছে হাসি হাসি মুখ
দু'হাত তুলে নাচো সব দাগ মুছে মুছে
সব ঢেউ মুছে মুছে আঁচলে পড়ে থাকবে পৃথিবীর তিনভাগ জল
আর বাকি টুকু অপ্রকাশিত কথোপকথন