মাহবুব মিত্র এর কবিতাগুচ্ছ
পৃথিবী এখন খুব গোপনের---কুয়োতলে কুয়াশাচর
কোনো রাগ নেই---ভাসছে বেলুন---ফাটছে ছায়া,
বারবার কেটে ফেলছে ফটোগ্রাফ---গ্রিনহাউজে ধোঁয়া
বুকের গহীনে ভাসমান নাগিনীরা ফেলছে নিঃশ্বাস;
কাঁদছে বাসের জানালা---কষ্টরা নিত্যফেরিওয়ালা
সারা বাসজুড়ে কাঁচা-পাকা গন্ধ---তুমিই উড়াচ্ছো ছাই!
জানালা আর আয়নায় তোমারই দীঘল ছায়া দোলে
সরল মানুষের ডানায় চলন্ত বাসের ঘামক্লান্ত শরীর;
স্নানাগারে যাও---দ্যাখো, উদোম করেছে ঊরুর কপাট
আধঘণ্টা খুব বেশি নয় সময়---শুধু একবার এসো...
গন্ধ শুঁকে বুঝে নিবো তুমি পারিজাত প্রজাপতি
প্রেমের কোকিল যেভাবেই ডাকে---গান হয়ে যায়;
শুধুই দু'জন---প্রতিদিন বাসায় একই লাইটপাখি জ্বলে
রেডি হয়ে যাও---সেলুলয়েডে ছাপা হবে অর্ধনগ্ন নাভী,
রোজসংসার আর ভালোলাগে না---উড়িয়ে দাও মেঘ;
পৃথিবী দেখুক থমকে দাঁড়িয়ে---চলো পাখি হই ডানাহীন।
দুঃখ~ভেজা
কাঠ। ওরা মৃদঙ্গবিলাসী---কাঠের বোতাম। পিতলের হাঁস হাসে চুকচুক।
ক্ষুব্ধ~কাঠবলদ; কাঠবিড়ালির আনন্দমজমা। দাঁড়িয়াবান্দা হারিয়ে যায়
হাঁড়িয়াবান্দায়। শৈশব একটা গ্লাসহাউজ~কাশপিয়ান ভেলা~কাস্পিয়ান ইঁদুর।
ঘুমঘুম পাতা ঝরে; কিংবা ঝরাপাতার মুখরোচক কলরোল। গভীর দুঃখ~বিবিধ
নিষেধাজ্ঞা---বহুমাত্রিক মৃত্যুর রঙ; উৎসব গান আর এপিটাফ।
জল গড়িয়ে যায়~কুলফির ব্যথা; জুলফিওয়ালি জিরাফ নাচে। আত্মজার আত্মা পুড়ছে---ধর্ম ধর্ম~ওম শান্তি! শিক্ষানবিশ শিক্ষানীতি তিমিরশিক্ষক~দারুণ-দারুণ অরুণ-তরুণ বইতরণী প্রপাত। আত্মা পুড়ছে~আত্মা হাসছে~ভাসছে চোখে-চোখে নিমহাওয়া। কোল-কূল, উপকূল-মানবকূল---জননীকোলে শিশু, আত্মা আর চৌম্বকফুল।
মাতাল-চাতাল-পাতাল; বিনিদ্র দুঃখবিরতি। ব্লাউজফাটা আর্তনাদ। আঙিনায় ছড়ানো অসমাপ্ত জ্যোৎস্নাবাগান। নদী আর পুকুরের বানান হাঁটি-হাঁটি পা-পা জলজ-আঁধার-মিনার। মহাশূন্যের ছায়ায়-ছায়ায় ওড়ে আত্মাযান। আত্মা~ ধুকধুক ছায়াবাজি খেলা...
দারুণ
একটা ভুল ছবি;~আঁকতে-আঁকতে ভুলে গেছি পৃথিবীর মুখ---একটা ভুল শরীর,
প্রেমিকাদের হলুদ-পুকুর ঋতুচক্র ও তার ওজনস্তর;~মাপতে-মাপতে ভুলে গেছি
E=mc2. পাটিগণিত, বীজগণিত, ত্রিকোণমিতি, স্থিতিবিদ্যা, গতিবিদ্যা,
ক্যালকুলাস ও জ্যামিতির আঁকাবাঁকা পাহাড়;~লুকিয়ে আছে একটা বাঁকা দেহে।
খাঁজকাটা নদীর ভিতর শুধু কাঁকড়া, বালিয়াড়ি~সন্দেশ ও দারুচিনি দ্বীপ!
রাত চলে যায়, দিন আসে---দিন চলে যায়, রাত আসে। মাতাল দেহ। মুগ্ধ চোখ। ঠসঠসে জিহ্বা। দারুণ একটা ভুল নদী~তারপর বিগ ব্যাং টু ব্ল্যাকহোল। স্টিফেন হকিং রোদে ভিজতে-ভিজতে পথ হারায়। পৃথিবীর বয়স মানে একটা জীবন। শিশুরা মঞ্চ বোঝে না; তাদের মুখে ললিপপ আদর। ডিউক এন্ড ডাচেস, ডায়াস-ফেসেস আর ডার্ক { Duke and Duchess, Dais-faces are dark}; ছোটো কিংবা বড়---তাও তাদের চোখে ভিন্ন কিছু নয়~অম্ল বা ক্ষার। জননীর কপালে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।
দারুণ একটা ভুল ছবিতে~আটকে আছে আহ্নিক ও বার্ষিকগতি। ক্যালেন্ডারের দিন ও তারিখ কবরের শূন্যতা~আর বায়োমেট্রিক নিঃশ্বাস। তখন আইনস্টাইন, নিউটন, পীথাগোরাস, সক্রেটিস, জ্যাঁ জ্যাক রুশো, চসার, কার্ল মার্কস আর ফ্রয়েড পিঁপড়ের চেয়েও ছোটো। তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুড়সুড়ি। আঙুলে উড়ুক্কু-সুড়সুড়ি। চোখে নেশাক্ত-সুড়সুড়ি। জিহ্বায় নিকোটিন-সুড়সুড়ি। ঊরুর জলজ-সুড়সুড়ি। মনোমৈথুনে ধ্বসে পড়ে চীনের প্রাচীর।
ভয়ঙ্কর সুন্দর একটা বাঁকে হারায়~গোল চাঁদ। খানাখন্দে গভীরে নামতে-নামতে মরিখাদ। একই গোলার্ধে ঘুরতে-ঘুরতে পৃথিবী ক্লান্ত। মিথ্যা অহঙ্কারে ঢেকে গেছে নিজস্ব কক্ষপথ। বিড়ালের রক্তপাতহীন অপ্রতিরোধ্য যুদ্ধ। সকাল দুপুর রাত্রি~ডুবছে ভাসছে~খেলছে হরেকরকম আতসবাজি। একটা ছবি আঁকতে-আঁকতে, ঘষতে-ঘষতে, কাটতে-কাটতে~হারিয়ে গেছে ঘুমঘড়ি। বিজ্ঞান ও গণিতের সবগুলো সূত্র মানে---একটা দীর্ঘতর ভুল ছায়া! বিভ্রম ছায়াটি বড় হতে-হতে আজ বেদনাকর্ষ শক্তি---একটি ডালিমডিম~কয়েক লক্ষ পৃথিবী।
দমদম
হাওয়াটুস্ট; হাসতে-হাসতে ভাসতে-ভাসতে~আমি এখন থোকা-থোকা বোকা-সোকা
ভ্রূণফুল। কবিকুল মহাসঙ্কুল~মহাশয়ের মহাশঙ্খ বাজে মহারণ্যে। নাকপাশ ঘিরে
নাগপুরের নাগপুষ্প উড়ায় নগরনাগর। কী এক হট্টগোল রটে-রটে রুটে-রুটে
ছুটে-ছুটে ফুটায় কবিতাশ্রম!
বিভ্রমাশ্রমে ওরা কারা~যারা তারা বানায়~নদীর বাঁকে ফাঁকে-ফাঁকে। একদিন সাঁকো-সাঁকো সাঁতারখেলা হবে আঁকুপাঁকু; সাঁতারু এঁকেবেঁকে এঁকে যাবে বাঁকো-সাঁকো কৌণিক ঢেউ। কবিতাকাশে খসে-খসে ঝরে পড়বে খসখসে আঁধার! এবার থামাও সেতারের ভুলভাল মুদ্রানাচ।
মশারির ঝালরে স্ফীত হয় মুদ্রানীতি। চায়ের লোহিতকণিকায় হ্রাস পাচ্ছে শ্বেতকণিকার রাশভারি চোখ। দলছুট বানর হয়ে~শব্দ-বাক্য-যতিচিহ্নের যত্রতত্র পড়ে আছে~অতিশয় নীচু বামন। বামুনের ছলছল ছলাকলায় বিস্মৃত বাকল-বকনা যেনো কবিতাগতর।
তোমার হাসি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মুখ যেনো পাতালরেলের ভিত্তিপ্রস্তর,
দাঁতগুলো মুক্তবাজার বিজ্ঞাপন
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং তোমার বর্ণিল গাউন;
যে-নদীটি শুয়েছিলো শৈশবে
দুর্বিনীত সাঁকোর কলরবে,
তুমি সে-নদীর জ্যামিতিক ভগ্নাংশ
নদীগুলো আজ ফোসকা-চটপটির ক্লেদাক্ত দোকান;
লিপস্টিক-পাউডার কামুক দৃষ্টি
তোমার দিকে তাকিয়ে আছে বিদ্যালয়ের খালি বেঞ্চ
তোমার বুক বিপণীবিতানের বোবা মূর্তি;
বারবার ফিরে আসুক নাবালক ড্রেস
বারবার ফিরে এসো বুকের ডাকে, জেনে রেখো
ডাহুকের চিলেকোঠায়; আমিই তোমার শৈশবের ইস্কুল।
তুমি কি পিল খাও---না...
'না' বলে পাখিটি উড়ে গেলো
পিছনে পুকুরের জলে একটি দীর্ঘ ছায়া
শোনো, শিশুটি কাঁদছে পিলের উষ্ণতায়!
টেড হিউজ আর সিলভিয়া প্লাথ টেমসের দুঃখ
গাছের ডালে-ডালে কথা কয় কবিতাপুত্র,
শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা তাকিয়ে আছে বোবা
সিগ্রেট জ্বলছে---তোমার মুখে ধূমকেতু;
আপনি থেকে তুমি---আর সেই থেকে (a+b)2
(a-b)2 ভাবতে-ভাবতে প্রপাগান্ডিস্ট কাদায় লুকায়,
শতশত জীর্ণ মুখ দাঁড়ায় (a2-b2)-এর ক্ষুধার্ত সারিতে;
মন্দিরের ঘণ্টার মতো চেয়ে আছে শীতল দু'টি চোখ।
কবি : মাহবুব মিত্র
সেলুলয়েড প্রেমিকা
কোনো রাগ নেই---ভাসছে বেলুন---ফাটছে ছায়া,
বারবার কেটে ফেলছে ফটোগ্রাফ---গ্রিনহাউজে ধোঁয়া
বুকের গহীনে ভাসমান নাগিনীরা ফেলছে নিঃশ্বাস;
কাঁদছে বাসের জানালা---কষ্টরা নিত্যফেরিওয়ালা
সারা বাসজুড়ে কাঁচা-পাকা গন্ধ---তুমিই উড়াচ্ছো ছাই!
জানালা আর আয়নায় তোমারই দীঘল ছায়া দোলে
সরল মানুষের ডানায় চলন্ত বাসের ঘামক্লান্ত শরীর;
স্নানাগারে যাও---দ্যাখো, উদোম করেছে ঊরুর কপাট
আধঘণ্টা খুব বেশি নয় সময়---শুধু একবার এসো...
গন্ধ শুঁকে বুঝে নিবো তুমি পারিজাত প্রজাপতি
প্রেমের কোকিল যেভাবেই ডাকে---গান হয়ে যায়;
শুধুই দু'জন---প্রতিদিন বাসায় একই লাইটপাখি জ্বলে
রেডি হয়ে যাও---সেলুলয়েডে ছাপা হবে অর্ধনগ্ন নাভী,
রোজসংসার আর ভালোলাগে না---উড়িয়ে দাও মেঘ;
পৃথিবী দেখুক থমকে দাঁড়িয়ে---চলো পাখি হই ডানাহীন।
বৈতরণী হাওয়া
জল গড়িয়ে যায়~কুলফির ব্যথা; জুলফিওয়ালি জিরাফ নাচে। আত্মজার আত্মা পুড়ছে---ধর্ম ধর্ম~ওম শান্তি! শিক্ষানবিশ শিক্ষানীতি তিমিরশিক্ষক~দারুণ-দারুণ অরুণ-তরুণ বইতরণী প্রপাত। আত্মা পুড়ছে~আত্মা হাসছে~ভাসছে চোখে-চোখে নিমহাওয়া। কোল-কূল, উপকূল-মানবকূল---জননীকোলে শিশু, আত্মা আর চৌম্বকফুল।
মাতাল-চাতাল-পাতাল; বিনিদ্র দুঃখবিরতি। ব্লাউজফাটা আর্তনাদ। আঙিনায় ছড়ানো অসমাপ্ত জ্যোৎস্নাবাগান। নদী আর পুকুরের বানান হাঁটি-হাঁটি পা-পা জলজ-আঁধার-মিনার। মহাশূন্যের ছায়ায়-ছায়ায় ওড়ে আত্মাযান। আত্মা~ ধুকধুক ছায়াবাজি খেলা...
একটা ভুল ছবি ও একটি ডালিমডিম
রাত চলে যায়, দিন আসে---দিন চলে যায়, রাত আসে। মাতাল দেহ। মুগ্ধ চোখ। ঠসঠসে জিহ্বা। দারুণ একটা ভুল নদী~তারপর বিগ ব্যাং টু ব্ল্যাকহোল। স্টিফেন হকিং রোদে ভিজতে-ভিজতে পথ হারায়। পৃথিবীর বয়স মানে একটা জীবন। শিশুরা মঞ্চ বোঝে না; তাদের মুখে ললিপপ আদর। ডিউক এন্ড ডাচেস, ডায়াস-ফেসেস আর ডার্ক { Duke and Duchess, Dais-faces are dark}; ছোটো কিংবা বড়---তাও তাদের চোখে ভিন্ন কিছু নয়~অম্ল বা ক্ষার। জননীর কপালে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।
দারুণ একটা ভুল ছবিতে~আটকে আছে আহ্নিক ও বার্ষিকগতি। ক্যালেন্ডারের দিন ও তারিখ কবরের শূন্যতা~আর বায়োমেট্রিক নিঃশ্বাস। তখন আইনস্টাইন, নিউটন, পীথাগোরাস, সক্রেটিস, জ্যাঁ জ্যাক রুশো, চসার, কার্ল মার্কস আর ফ্রয়েড পিঁপড়ের চেয়েও ছোটো। তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুড়সুড়ি। আঙুলে উড়ুক্কু-সুড়সুড়ি। চোখে নেশাক্ত-সুড়সুড়ি। জিহ্বায় নিকোটিন-সুড়সুড়ি। ঊরুর জলজ-সুড়সুড়ি। মনোমৈথুনে ধ্বসে পড়ে চীনের প্রাচীর।
ভয়ঙ্কর সুন্দর একটা বাঁকে হারায়~গোল চাঁদ। খানাখন্দে গভীরে নামতে-নামতে মরিখাদ। একই গোলার্ধে ঘুরতে-ঘুরতে পৃথিবী ক্লান্ত। মিথ্যা অহঙ্কারে ঢেকে গেছে নিজস্ব কক্ষপথ। বিড়ালের রক্তপাতহীন অপ্রতিরোধ্য যুদ্ধ। সকাল দুপুর রাত্রি~ডুবছে ভাসছে~খেলছে হরেকরকম আতসবাজি। একটা ছবি আঁকতে-আঁকতে, ঘষতে-ঘষতে, কাটতে-কাটতে~হারিয়ে গেছে ঘুমঘড়ি। বিজ্ঞান ও গণিতের সবগুলো সূত্র মানে---একটা দীর্ঘতর ভুল ছায়া! বিভ্রম ছায়াটি বড় হতে-হতে আজ বেদনাকর্ষ শক্তি---একটি ডালিমডিম~কয়েক লক্ষ পৃথিবী।
কবিতার গর্ভপাতকলা
বিভ্রমাশ্রমে ওরা কারা~যারা তারা বানায়~নদীর বাঁকে ফাঁকে-ফাঁকে। একদিন সাঁকো-সাঁকো সাঁতারখেলা হবে আঁকুপাঁকু; সাঁতারু এঁকেবেঁকে এঁকে যাবে বাঁকো-সাঁকো কৌণিক ঢেউ। কবিতাকাশে খসে-খসে ঝরে পড়বে খসখসে আঁধার! এবার থামাও সেতারের ভুলভাল মুদ্রানাচ।
মশারির ঝালরে স্ফীত হয় মুদ্রানীতি। চায়ের লোহিতকণিকায় হ্রাস পাচ্ছে শ্বেতকণিকার রাশভারি চোখ। দলছুট বানর হয়ে~শব্দ-বাক্য-যতিচিহ্নের যত্রতত্র পড়ে আছে~অতিশয় নীচু বামন। বামুনের ছলছল ছলাকলায় বিস্মৃত বাকল-বকনা যেনো কবিতাগতর।
তোমার হাসি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মুখ যেনো পাতালরেলের ভিত্তিপ্রস্তর,
দাঁতগুলো মুক্তবাজার বিজ্ঞাপন
মাল্টিলেভেল মার্কেটিং তোমার বর্ণিল গাউন;
যে-নদীটি শুয়েছিলো শৈশবে
দুর্বিনীত সাঁকোর কলরবে,
তুমি সে-নদীর জ্যামিতিক ভগ্নাংশ
নদীগুলো আজ ফোসকা-চটপটির ক্লেদাক্ত দোকান;
লিপস্টিক-পাউডার কামুক দৃষ্টি
তোমার দিকে তাকিয়ে আছে বিদ্যালয়ের খালি বেঞ্চ
তোমার বুক বিপণীবিতানের বোবা মূর্তি;
বারবার ফিরে আসুক নাবালক ড্রেস
বারবার ফিরে এসো বুকের ডাকে, জেনে রেখো
ডাহুকের চিলেকোঠায়; আমিই তোমার শৈশবের ইস্কুল।
পিলের মমতায় বাড়ছে প্রেম
'না' বলে পাখিটি উড়ে গেলো
পিছনে পুকুরের জলে একটি দীর্ঘ ছায়া
শোনো, শিশুটি কাঁদছে পিলের উষ্ণতায়!
টেড হিউজ আর সিলভিয়া প্লাথ টেমসের দুঃখ
গাছের ডালে-ডালে কথা কয় কবিতাপুত্র,
শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবা তাকিয়ে আছে বোবা
সিগ্রেট জ্বলছে---তোমার মুখে ধূমকেতু;
আপনি থেকে তুমি---আর সেই থেকে (a+b)2
(a-b)2 ভাবতে-ভাবতে প্রপাগান্ডিস্ট কাদায় লুকায়,
শতশত জীর্ণ মুখ দাঁড়ায় (a2-b2)-এর ক্ষুধার্ত সারিতে;
মন্দিরের ঘণ্টার মতো চেয়ে আছে শীতল দু'টি চোখ।