মিলি সুলতানা'র ৫টি কবিতা
কখনো মিষ্টি গন্ধে মুখরিত হব
কবি : মিলি সুলতানা
চাঁদের আঁচলের স্পন্দন
সূর্যের কিরণ তোমার গায়ে লেগে থমকে দাঁড়ায়
অপরুপ তোমায় দেখতে আঁখিযুগল
তড়িৎবেগে হয়ে উঠে প্রবাল পাথর।
অবেলায় চাঁদের আঁধার আঁচলে ভরে
উড়িয়ে দিয়েছ পাহাড়ের ঘন সবুজ ছাউনিতে
আনমনে স্পর্শের স্পন্দন পেতে
কান পাতি নির্দয় কোন অরণ্যে।
বড় জানতে ইচ্ছে করে, জানতে ইচ্ছে করে
আমায় তুমি কি শুনতে পাও?
সাগরের শান্ত ঢেউয়ের অপেক্ষায় আছি,
কবে জলের ঢেউ খেলা আয়নায়
দেখব তোমার আবেগী চেহারা।জ্বলন্ত দগদগে স্মৃতি
ছুটে চলেছি মানচিত্রের শেষ থেকে শুরুতে।
উত্তর থেকে দক্ষিণে।
হাজারও লাল নীল সবুজ বেগুনী
কমলা গোলাপি আলো।
পাহাড় সমতলে ঢেউ খেলে
হাইওয়ে রোড পাড়ি দিয়ে
অবিরত ছুটে চলেছি
আমার জীবনের হাজারো স্মৃতি বিজড়িত
আমার স্বপ্নের এই শিরীষ শাখার প্রাঙ্গণ।
আমি তো জন্মেছি দগদগে জ্বলন্ত পা নিয়ে ।
একা একা যদি হাঁটি;
মরু, কাঁকড়
বলো, তাতে কার ক্ষতি ?
রাজবন্দী
ঘুমের মত ভাব ধরে থাকলে
এমন কি আর প্রলয় হবে!
দুস্কর্মকে প্রশ্রয় দিয়ে
দিব্যি ভালো থাকা যায়
নাক গলিয়ো না
ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে
অন্যের শুভ চিন্তক হয়ে
কাজ নেই আর।
সাদার গায়ে ডাস্টবিনের
আবর্জনা পড়তে দাও
না দেখার ভান করে যাও।
বিচার আছে বিশ্বাস কোরোনা
একটাও মানুষ নাই
অবিচারের সাম্রাজ্যে।
মনে রেখো সকলেই
আমরা রাজবন্দী।উর্বশী শরত
অজানা মনের কোণে, কোনো এক কাশবনে
আনন্দ ঘণ্টা বাজে।
শরতের বুকে আমিও যে এক উর্বশী নারী
আমার বুকেও গন্ধ আছে, অচেনা সুর ও ছন্দ আছে;
আমিও কাউকে না কাউকে ভোলাতে পারি।
সে কি তুমি জানতে?
যদি জানতে, তবে সব কিছু ভুলে আমাকেই
আরো কাছে টানতে।
আমার ঠিকানা এই বাংলার সবুজ বুকে
যেখানে রোদ-বৃষ্টির সাথে আলো-ছায়া খেলা করে
বাতাস ঘুমায় খোলা জানালায় চিরসুখে।ঊষাস্নান
কানে বাজবে রিম ঝিম ঝিম বৃষ্টির আওয়াজ। তারপরে ঝুল বারান্দায় এসে দাড়াব।
মাঝারি সাইজের বৃষ্টির ফোটায়
অবলীলায় ঝরবে অজস্র শিউলি ফুল।
হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পরশ নিব,
মৃদু ছুঁয়ে যাবে শিউলির পতন।
কখনো বা হারিয়ে যাব।
ভিজতে ভিজতে শিউলি কুড়াব।
দুর থেকে বয়স্করা দেখে কানাকানি করবে।
ধাড়ি মেয়ে কেমনে ছেলেমি দেখায়।
অসাধারণ সেসব দৃশ্যপট!!