বরেণ্য সাংবাদিক, বাংলা একাডেমী প্রবাসী পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক কাজল আর নেই।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লন্ডনের কুইন্স হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্নালিল্লাহি….. রাজিউন)।
বরেণ্য এই সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্ম মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার গ্রামে।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ালে লন্ডনের বাঙ্গালী কমিউনিটি ও মিডিয়া হাউসে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বর্ষীয়ান সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের লেখক ইসহাক কাজল দেশে-প্রবাসে সমধিক পরিচিত একজন সংগ্রামী রাজনীতিবিদ হিসেবে। বৃহত্তর সিলেটে চা-শ্রমিকদের নায্য দাবি দাওয়া আদায়ের আন্দোলনের পুরোভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন এ রাজনীতিবিদ। জীবনভর শ্রমজীবি মানুষের পাশে থাকায় ব্যাপৃত ইসহাক কাজল মৌলভীবাজারসহ দক্ষিন সিলেটের মানুষের আস্থা ও ভালবাসার নন্দিত সন্তানে পরিনত হন তাঁর কর্মময়তার পরিক্রমায়।
ষাটের দশক থেকে তিনি সাংবাদিকতার পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে গনমানুষের কল্যানের রাজনীতিতে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক, জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি,বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির জেলা শাখার প্রতিষ্টাতা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেন ইসহাক কাজল। এবারের বইমেলায় সর্বশেষ প্রকাশিত হয় তারঁ গ্রন্থ বাংলাদেশের তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ বিদেশী আগ্রাসন। তাঁর প্রকাশিত ১২টি গ্রন্থ দেশ-বিদেশে পাঠকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।
ইসহাক কাজলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্য, সিলেট কালচারাল ও হ্যারিটেজ একাডেমি, জালালবাদ ফাউন্ডেশন ইউকে, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে সহ বিভিন্ন সংগঠন ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন। আমীন।