মোখলেসুর রহমান | দুইটি কবিতা
মোখলেসুর রহমান | দুইটি কবিতা
সেই রক্তেরা হয় জয়ী

এবং আমরা বরাবরই সমান্তরালে সূর্যের সাথী
আর আকাশে চাঁদের আলো
যেন আমাদের জীবনের সৌন্দর্য ও সুখের প্রতীক।
কোন নভেম্বরের এক রাত ম্লান চাঁদের আলো
ছায়া দিলো মনের উঠোনে আলোহীন ইমেজ
স্মৃতির পাঁজরে জমা হয় দু:খময় ইতিহাস
বন্দুকের গর্জন জন্ম দিলো মানচিত্রে বেদনার অসুখ।

পৃথিবীর আলোর অধিকারে কোন প্রাণের
অসময়ের মৃত্যু বা হত্যা
পৃথিবী কখনো বরণ করে না
স্মরণে দাগচিহ্ন জমা থাকে পৃথিবীর খতিয়ানে।
রক্তের আর্তনাদে লাল রক্ত কখনো ম্লান হয় না
দিকবিদিক দৌড়ে আর স্হানু হয় বিবেকের আলো ঘরে।

ঝরে যাওয়া রক্তেরা সময়ের ব্যবধানে আরাধনা করে
রক্তেরা কথা কয় ইহলৌকিক ও পারলৌকিক এজলাসে।
জেনে রাখো শেষমেষ রক্তের আর্তনাদ কালান্তর
এবং সেই রক্তেরই হয় জয়।

একটি সমুদ্র হৃদয়

উৎসর্গ প্রিয় মুরশিদ।

আমি পেয়েছি জীবন গল্পে ভরা একটি সমুদ্র হৃদয়
যে হৃদয়ের কান আছে শুনে সকলের ডাক
যে হৃদয়ের চোখ আছে দেখে সকলের মুখের ছাপ
যে হৃদয়ে আছে ভালোবাসা,ভালোবাসেন সকল মাখলুকাত।

যিনি মহততম আকাঙখা দিয়ে বলেন সৃষ্টির রহস্য
ভালোবাসেন সৃষ্টির রহস্যের ভালোবাসার মহততম।
সময়ের স্রোত শরতের নিরুপম আলোয় ধ্যানী হৃদয়
হৃদয়ের চোখ দেখে কে আসে
ঐ যে আসছেন আমার অমুক।

নিশ্চয়ই যাঁর ভালোবাসার হৃদয় ছিল অপেক্ষমান।
হাল হকিকতের ভাষায় বুঝ আসে মনে
তিনি যে ভালোবাসেন কতো যে হৃদয়গ্রাহী।

নিরুপম ধ্যানী সম্পর্কের বাগানে আমাদের আয়ুষকাল
সময়ের অতলে অবিনাশী আত্মার কোরাস একই সমান্তরাল
মুতমাঈন হৃদয় দেখে অনুভবে সাত আসমানে
ফিরে আসে হৃদয় জমিনে ভালোবেসে মাখলুখাতের মিলনে।


সাবস্ক্রাইব করুন! মেইল দ্বারা নিউজ আপডেট পান