শূণ্যতা
একদিন তোমাকে না পাওয়ার দুঃখে সিগারেট ছুঁয়ে ছিলাম,
তারপর ইতিহাস .....
ভালোবাসা আচ্ছন্ন করেছিল পুরোটা বিকেল।
আমি সুবোধ বালকের মতো তোমাকেই আরাধ্য জেনেছি,
অথচ তোমার কাছে শুধু পূজারীদেরই একজন,
তাই কখন যে সিগারেটের বদলে মারিজুয়ানা হাতে আসলো বুঝতে পারিনি।
এখন রাত হলেই তোমাকে ভুলতে সরাপ তুলে নেই মুখে,
শ্রাবণে এই বৃষ্টিতে ভুল করে ছাতা রেখে আসি
পাছেনা আবার চোখের জলে দাগ কেটে যায়
বৃষ্টির সুরে ভুলে যাই দুঃখ জাগানিয়া গান।
সিগারেট আর মারিজুয়ানার উচ্ছিষ্ট ছাই দখল করে নেয় তোমার শূন্যস্থান।
তুমি আমি দুজনেই ভিন্ন জিনিসে পূর্ণ করি নিজেদের শূণ্যতা।
পাপ ও পাপবোধ
বেআব্রু অন্ধকারে উচ্ছিষ্ট নীলাভ্র এই নামানুষ,
বিষন্ন মানুুষদের ভীড়ে অস্তির এই মাতাল
ওই অদ্ভুত হাতেই এবার তুলে দাও পৃথিবীর যত পাপ,
তাকে আরোও মাতাল করে দাও
পাপবোধ আরো টলে উঠোক !
পাপ আসলে কী !
তোমাদের পবিত্র নগরীর ভেতরে অন্ধকার গলি
নাকি এই যে মৌরীর স্তনে হাত রেখে দুঃখ ভুলে যাচ্ছি
মাসীর ঘরে বসে বসে গেলাসে গেলাসে কষ্ট গিলছি তাই
অথচ আমার অনুভূতি খুব সুন্দর
তাহলে পাপবোধ কী !
চাকরি হয়না বলে অন্যরে হাতে প্রেমিকা রঙিন হয়ে ওঠে
মধ্যবিত্ত বাবার সংসারে এখন দোযখ দোযখ।
আমাকে আর একটু মাতাল হতে দাও।
আমি তোমাদের শিখাবো পাপ ও পাপবোধ কী ।
যাওয়ার আগে একটু থামো
চলে যাবার আগে একটু থামো
আরেকবার ভাবো
এই চোখে চোখ রাখো কিছুক্ষণ
চলে গেলেতো ফেরা যায় কতটা
আক্ষেপ থেকে যাবে না বলার ব্যার্থতা।
এক চন্দ্রাভুক অমাবস্যার রাত পেরিয়ে ধবল জোৎস্না মাঠ পাড়ি দেবো, এইতো ছিল সন্ধিপাঠ।
অথচ অজস্র জোৎস্না অমাবস্যা এসে থেমে আছে চিলেকোঠায়
চলে যাওয়ার আগে মেঘেদের কথা শুনো
আরেকবার নিজের মুখোমুখি হও
ধুয়াশা ঐ পথে এখনই পা বাড়িও না।
ভাঁট ফুলের কথা মনে করো
মনে করো বুনো বাতাসের ঠোঁট
ভালোবাসার ঘ্রাণ শুঁকে ভুলগুলো মুছে ফেলো
শপথ থাকলো বিশ্বাসী নদীর।
ফের যদি ভালোবাসা পাই
হৃদয়ের সব অলিগলি ভরে দেবো ভালোবাসার ফুলে
"ভালোবাসতে বাসতে ফতুর করে দেবো"।
ভালো থাকি
যাবার সময় --- তোমাকে খুব মনে পড়ছিল
যেতে যেতে মনে হলো কেন বলা হল না'' ভালো থেকো '' ?
আমি তো চলে যাচ্ছি,
সেও জানি গেলে আর ফিরা হবে না।
তবুও ভেতরে ভেতরে পোড়ে যাচ্ছে
তোমাকে ছাড়া আমার কি ভালো থাকা হয় !
তুমিই কী ভালো থাকবে আমাকে ছাড়া ?
তোমাকে রেখে যাচ্ছি তোমার দেশে
আমি পরিযায়ী পাখিদের সাথে
আমার নেই কিছু আর,সব পরে রইলো তোমার কাছে
শূণ্যতা বুকে পোষে কতদূর আকাশ উড়া যায়।
আমি আমাকেই ভেঙেছি অজস্রবার
তবুও থাকা হলো না তোমার আকাশ জুড়ে।
সব ছেড়েছুড়ে যদি তুমি ভালো থাকো
তবে যেনো ডানা পোড়ে আমি ও ভালো থাকি।
ধর্মাবতার
হে অজস্র গুণবাচক নামের মালিক
আমিও বিশ্বাস করেছিলাম আপনি তাই
আমার সব জিকির ছিল আপনার জন্যই
আমি যখন জিকির করছিলাম অন্যরা তখন প্রশংসা করছিল। তবুও আমি আপনাতেই নিমজ্জিত ছিলাম।
অথচ; আমি আমার পরিবার কে হারালাম ভিন্ন মতের কারনে।যারা থাকলো তারা ক্ষুধার্ত পেটে অসহ্য সুখে ছিল।
আপনি তো সব জানেন !
আমি বাসস্থান হারালাম
এমনকি দেশ।
আমি যখন রাষ্টহীন হলাম,
উদ্বাস্তু মানুষের মিছিলে মিশে গেলাম।
এখানে গণতন্ত্র নেই
বাসস্থান নেই
মানবাধিকার নেই।
এবার যখন আমি সংশয় প্রকাশ করছি
তখন অজস্র চাপাতি তরবারি দৌড়ে আসতে লাগল।
তখনও আপনি সব দেখছিলেন
আপনি নির্বিকার,
অথচ ওরা আপনাকে ছাড়িয়ে ধর্মাবতার হয়ে উঠলো।