কবি : রত্নদীপা দে ঘোষ
১
ছায়াদের কফিন থেকে মৃত্যুর বর্ণনাসহ
প্রিজনভ্যান
এক বিখ্যাত ছবি
জিয়ন কয়েদির তামাতুলি । মায়াময়ালের
স্থিরগুলি । নাচছে না যদিও ছবিজুড়ে । লাগাতার কেউ ফ্যানাটিক । আঁকায় ব্যস্ত
ত্রিভুজ । ব্যাপারু । মনে হচ্ছে ।
মন বলছে খুন হচ্ছে । সর্পবিদ্যা ।
ফলিত ফণায় তার । কাতরানিটুকু ।
সেই খুন হয়ে যাওয়া । ছায়াদের স্থাপত্য । জিনবদলের ইংগিত ।
দিচ্ছে । আমার । তোমারো ।
২
ছয় ফুট বাই
আঠারো নম্বর কুয়াশা
স্প্যাজম খিলখিলিয়ে হাসছে
নিজের ভেতরেই ফিরে আসা
নিজেকে ফেরত দিচ্ছে ছায়া
না দেখার । আনন্দ ।
দুঃখের কোঁচড় ফেরত । চাইছে
ছায়া । বদল করার । কায়দা ।
টেবিল বদলের । হাতেখড়ি ।
এক হাতে হেডলাইন । লুফে ।
ওভার বাউন্দারি । মার্জিন ।
কম্পাসের পঙক্তি। ফুটে ।
উঠছে ছক্কা । ছক্কা ।
৩
তোমার ছায়া আজ র্যা নডম
একটা সুনামি অথবা
একটা বৃষ্টি বেওয়ারিশ
প্রতিদিনের মত আজো
সপ্তম ঘোড়া ডিঙিয়ে
এখন তুমিই । জরুরি ।
কে কাকে বাঁচাবে ।
কাকে কে । নাচাবে । কার ।
আস্তাবল জেগে উঠে । অতঃপর তুমিতে ।
তুমির । চুরমার । খেলনার । মেহফিলের । শুন্যবয়েসের ।
স্ক্রিনশট । চিনিয়ে । দেবে ফসিলের রাজত্ব ।
ঝুঁকে । থাকবে নাইটফল । সাদাস্তন । গুলাবী ফ্রিলপাখি ।
ফ্রেম তোমাকে । তোমার । ছায়া । পেরিয়ে প্রপোজ দেবে ।
৪
কপালে একটার
ছায়া ।
ছায়ার । ভেতরে ছায়া
ছায়ার ভেতরে ।
গতস্মৃতির
কলকল ।
তলোয়ার
তেষ্টার অস্ত্র । এ ভাবেই
যুদ্ধে সামিল । লুটেরা ছিটকে । এসে ।
লাগতেই । পারে উদ্ধত অনির্বাণ ।
আঙটির চূড়ান্ত জড়ানো । কণ্ঠ ।
বাতাসিয়া বলো । একবার
যা এতদিন । বলা । হয়নিকো ।
যে অলঙ্কার নেশার । নয় । তাকে একবার । বলো একবার ওকে ।
শুনি গল গল কোরে । বেরনো । ঝিমুনি ।
৫
ছায়াতেই লিখেছি তোমার
দ্রুতস্কেচের তুলিতে লিখেছি
তোমার লেখার ভঙ্গি
তুলি ধরার ভরবিন্দু
আঙুলের বাচন
হাতের বাক
সব তোমার ছায়াতেই
ধাতুভেদে আলাদা হয়েছি
কখনো কখনো বুঁদ অভিমানে
কিন্তু দ্যাখো
ছায়া বোঝাতে গিয়ে
তোমার ছায়াটিকেই
লেখনী ।
ব্যবহার করছি ।
৬
কতদিন পর ডাক দিলুম । ডাকনামের ভাস্কর । টুক করে ছায়ার পোরসেলিন ।
লাফিয়ে নামছে চাট্টিখানির। চিত্রকর । সদ্য ঠিক । হাওয়া তার ক্রাউনসাইজ ।
জুম আর স্পট । যারা । লোগো আর গ্যালাক্সির । সাম্পান দূরপান ।
দূরকেও পান করা যায়
যেন অনেক কাছের
এক গ্লাস । সাম্পান ।
আত্মীয়পানে ভরা
কাচের ছবির কায়া
আমি সেই
ছায়ার খুলি হাড় এবং
ব্যক্তিগত প্রেমযোনির । সুস্থতা ।
কামনা করি ।
৭
দূরে ছায়ার শব্দ
চালচুলহীন নৌকোয়
গুঁড়ি মেরে
সব নৌকোই ।
নিয়ে যায় ডিঙিদের ।
সাব – সাব – ছায়া - ওয়ে
আবডালে কত
কতখানি ভেতরে ।
আলো থাকে না প্রায়ই
কতবার । অনুপমের ।
গান গোটানো । ভিজে
তারাদের চুবিয়ে ।
আমাদের না-জন্মানো । মেয়ে ।
তার খিদে তেষ্টা দুধেশ্বাস
একবজ্ঞা দুষ্টুমির । বায়নার ।
সেতার
কে রাখে