রমেন মজুমদার এর কবিতা

সোয়ারী
দেখতে পাও জলের ভিতর জ্বলছে তারারা
রঙ খেলে যায় ঢেউয়ে ঢেউয়ে অনেক দূর!
রোশনাই জ্বলে জলের অতল গহ্বরে জুড়ে!
শব্দেরা ইশারা করে সোয়ারীর আগমনে---।
কিছুক্ষণ আগে বাতির রোশনাই এঁকেছিল আকাশ
ঢেউগুলি ইশারা করে পথিকের নব আগমনে।
হেঁয়ালি পথিক নৈঃশব্দের হারাম খুঁজে দৃষ্টিতে !
বিধাতার রংমহল এঁকে রাখে কর্ম পাঠশালা।।
একটু আগে হয়েছিল নৌকা বাইচ! এখন নিস্তব্দ!
গলুইয়ে বসে বাদাম ও ফুলেল বিকিকিনির পসরা,
নিরুপায় পথিক কিনে নেয় দুধ সাদা গোলাপ;
পাঁপড়ি ছিড়ে যাবে কিছুক্ষণ পরে সিক্ত দলনে!!
বৈধব্যের সাদা বসনে গোলাপের পাঁপড়ি মিশে যাবে
বিকিনির ঝলসানো রাত্তির মুছেদিবে অর্থ পিপাসা,
সোয়ারীর নতুন জুতায় নষ্ট হয় ঝলমলে প্রহর!
কেটে যাবে একটি রজনী বেহিসাবি অঙ্কের খাতা ।
তবুও সোয়ারী পার হয় রাজনীর বুক জুড়ে
থেকে যায় ঝলসানো রাত্তির মাখানো জলরং
একটি প্রহর অপেক্ষা করে নতুন ভোরের সূর্য
শান্তির পৃথিবী মুছে দেয় বৈধব্যের কাঙ্খিত অসুখ।।