শামীম আহমদ এর চারটি কবিতা
নরকের চৌকিদার
আমি বৃষ্টির ঠিকানা ভুলে
পায়ে পায়ে মাড়িয়েছি রক্তাক্ত গোলাপ !
আমার দৃষ্টির ঢালু বেয়ে
নির্ভয়ে নেমে যায় নরকের চৌকিদার
যার হাত ধরে ,এই বন্দরে ,ভিড়ে ছিলো-
মেদহীন মাংসের জাহাজ ।
চোখের পেয়ালায় এখন অন্ধকার থৈ থৈ করে
মহা প্লাবনের ভয়ে আমি শুধু খোঁজে ফিরি
নূহের কিস্তি সিনাই পর্বতের চুঁড়ায় ...
বৃষ্টিছায়া
অন্তিম শ্লোক
একদিন নদীর ছায়া পড়েছিলো তল্লাটে
ছায়ার বেড়িবাঁধে রক্তজবা ফুলে ,
রক্তের বাগানে জল সিঞ্চন আর কতো
একদিন রক্ত জল হবে
জল বাস্প হয়ে উড়ে যাবে মেঘের দেশে
তারপর মেঘ বৃষ্টি হয়ে মৃত্তিকায় মিশে হবে লীন ।
তাই নিজের হাতকে প্রসারিত করো বন্ধু
কিন্তু পূর্ণিমার শৃঙ্খল ভাঙতে এসোনা
জলোচ্ছ্বাসের মতো -
বেগবতি বিবমিষা ভাসিয়ে নিবে দৃষ্টির সমুদ্র !
সমুদ্রের বাস্পিত আদ্র পাউডার প্রকাশ্যে উড়ে উড়ে
ঘোষণা পত্রে
লিখে দিবে তোমার বেলা শেষের অন্তিম শ্লোক ।
মারমেইড
জলের অতলে দেখি প্রিয়ার বিক্ষত মুখ ।
বজ্রের হাসিতে হৃৎপিণ্ড দ্বিখণ্ডিত হয়ে ছিলো তার
জলেই সমাধি হয়ে ছিলো
কোনসে কষ্টে সে সমাধি নিয়ে ছিলো জলে
কে জানে !
প্রচণ্ড স্রোতেও স্থির হয়ে আছে মুখ
এখন সে মারমেইড
তারই পুচ্ছ ধরে ঢেউ গুলো ভেসে ওঠে
এক সমুদ্র কান্না নিয়ে ,
মিহি সুরের কান্না কেউ শোনেনা ,
আমি শুনি
অবারিত কান্না নিয়ে স্রোতশ্বিনী বয়ে যায় ...
খুব নিকটে পায়ের নূপুর যেনো এখনও
ছন্ ছন্ ছন্দিস !
জলের মাছ গুলো জড়ো হয় প্রকাণ্ড ক্ষুধায়
আগুন পোকার মতো অতলের বাঈজি ঘরে ।
সুরা নেই পাত্র নেই
তবুও ওরা ছন্দে মাতাল এই জলজ পানশালায় !