তুমি বিষয়ক-১
এ শহর বয়ে চলে ক্ষতবিক্ষত শোক
ঝিম মেরে থাকা ছোট্র গলির মোড়টাতে
চাঁদের বেখেয়ালি সুখ..
অথচ ছোট্র বারান্দায় নিকোটিনের বেহায়া উল্লাসে
পুড়ে পুড়ে যায় নগরের ছোট্র গলি
আজ চাঁদের আলোতেও পুর বে এ শহর
তুমি চাইলে তোমার হাসিটা হবে ফায়ার সার্ভিস
অথচ এককালে এ হাসিতেই পুরেছি বহুবার...
তুমি বিষয়ক-২
লম্বা সময় ধরে অজস্র নিকোটিনের ধোঁয়ায়
আমার জলক্ষেত পুরিয়েছিৃ
মূহুর্তে নেশা লেগে যেতো আমাদের বৈকালিন বৈঠক
অজস্র রঙে সাজতো স্মৃতিপাঠ
পাখির নখে কামরে ধরা মাটিতে
অজস্র স্বপ্নের বীজ বপন
কি আশ্চার্য!
শরৎ এ এমন মেঘলা আকাশ দেখলে
বুকের ভিতর চিন চিনে ব্যাথা হয়
পাখির ঠোঁট নরলে বড্ড হিংসে হয়
এ হিংসে মানুষ আমি কোটি কোটি বছর ধরে পুষে রেখেছি
নিজের অজান্তেইৃ
অথচ সম্ভাব্য জীবন নিয়ে
কি উম্মাদনায় মেতেছিলাম
আমিৃ
অথচ কি আশ্চর্য
আমার হাতের রেখা মুছে দিয়ে
অজস্র ভাবে
নির্মাণ কাজ চলছে আমার বুকের উপরৃ
তুমি বিষয়ক-৩
জানালার পাশে আমার সম্ভাব্য কবিতা
পাখির চোখে জমানো ক্ষোভ;নখে ছোট্র শহরের বুক
কতকাল হারিয়ে যাওয়া আমার-তোমার কবিতার ফেরি
মুছে যাওয়া শহরে কবিতা উড়ে উড়ে যায়
একখানি সম্ভাব্য কবিতা তোমার জানালায় করা নাড়েৃ
তুমি বিষয়ক-৪
পুরোনো ইটের শরীরে নস্টালজিয়া গন্ধ;প্রেম..
পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া ধূলায় ;আতকে উঠা চিৎকার
কিছুক্ষণ বাদেই সে ইশ্বর সেবায় মগ্ন হবেৃ
আমি বলি আমরা কতদিন ইশ্বরের কাছাকাছি হয়নি
রাঁত গভীর হলেই ইশ্বরকে স্পর্শ করবোৃ
কত কত বছর হলো বুকে জমেনি খারাস্রোতৃ
বালির উষ্ণতায়;বিষ্ণণ বালিকাকে চিনি সে একসময় অনেক হাসত
কতযুগ পাড় হয়েছে?সে আজ হাসতে ভুলে গেছেৃ
আমরা একসাথে ইশ্বরকে স্পর্শ করব..
দেখবে ইশ্বর হাসবে;সাথে তুমি ও তোমার পুরোনো প্রেমিক