বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে লাটিমের মতো,
আমি বসে আছি মনের আয়নায়; মাথায় বিঁধছে গরমের তীর।
সময় নাচছে হাতির পিঠের 'পর, পপকর্ন লাফাচ্ছে তেল আর লবণের মায়ায়; কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো ঘুরছে এ-মোড়ে ও-মোড়ে---তোমার চিঠিগুলো ঠিকানাবিহীন।
তবুও তৃষ্ণার্ত পাখিটি অপেক্ষা করছে জলের ঘ্রাণে... সময় বসে আছে চোখের পাতায়, পলকে-পলকে হুইস্কির তন্দ্রা; বারবার আমাকে ঘেঁষে যাচ্ছে-আসছে টিনএজ বালিকা---তার সাইজবিহীন সদ্য ফোটা কলির মোহন ডাকে আমি পলাতক সৈনিক।
স্টেশনে ঘুমের বিরতি---রাতের হুইসেল বাজাচ্ছে অন্ধ বাজিকর।
বুক উঠছে, বুক নামছে, ঊরু কাঁপছে, মাথা ঘুরছে, বালিশ হাসছে, বালিশ কাঁদছে, ক্ষুধার্ত মাছির ভনভন; মেয়েটি মা'কে বলছে---তোমার একজন মাংসখেকু পুরুষ দরকার!
বাতাসের শব্দ থেমে গেছে, সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে গেছে, সৈকতে বালি আর লাল কাঁকড়ার সংসার।
সময় উড়ছে, সময় ভাঙছে ছায়ার কলরবে; বুকের কাচের বোতাম খসে-খসে পড়ছে বিষাক্ত সাপের দংশনে।
ক্ষয়ে-ক্ষয়ে ধ্বসে পড়ছে প্রেমের প্রাচীর; সঙ্গমে ফুল নেই, মধু নেই, শুধু রসহীন রংহীন ঘামের বুদবুদ।
সারারাত একটানা আর্তনাদ করছে একটি পুরাতন পাখা ও দেয়ালঘড়ি; সময় আর প্রেমিকা মায়াপাখি---হাত ধরাধরি করে মিশে যাচ্ছে আলো ও আঁধারের শেষ সীমানায়।